০২:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
আগামী এক মাসের মধ্যে আলুর দাম কিছুটা বাড়তে পারে: বাণিজ্য উপদেষ্টার আশঙ্কা মৎস্য খাতে বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের অবদান দেশের গর্বের বিষয়: মৎস্য উপদেষ্টা চিকিৎসকদের মানবিকতা 강조 করে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার আহ্বান মহানবী (সা.)-এর জীবনাদর্শ বিশ্বে শান্তি ও কল্যাণের পথ দেখাতে পারে মেধাভিত্তিক নিয়োগ হলে সকলেই দেশের সম্পদ হবেন: আসিফ মাহমুদ উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি সভা অনুষ্ঠিত ভূমধ্যসাগরে পাড়ি দিতে গিয়ে বাংলাদেশির মৃত্যু প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘ আবাসিক সমন্বয়কের সাক্ষাৎ, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে সহযোগিতা আশা মৎস্য অধিদপ্তরের অফিস প্রাঙ্গণ সম্পূর্ণভাবে তামাকমুক্ত করতে সভা অনুষ্ঠিত ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উপলক্ষে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থার পরিকল্পনা

বাগেরহাটে ভেজাল প্রসাধনী কারখানা সিলগালা এবং জরিমানা

বাগেরহাটে বিসিক শিল্প এলাকায় ভেজাল প্রসাধনী তৈরির একটি কারখানা সিলগালা করে দিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। পাশাপাশি ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে দেড় লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এ ঘটনা ঘটে বুধবার বিকেলে, যখন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শরিফা সুলতানা নেতৃত্ব দেন অভিযানে।

শরিফা সুলতানা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনী ও অধিদপ্তর সদস্যরা যৌথভাবে এই অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে বিভিন্ন ভেজাল পণ্য যেমন ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী, অর্গানিক হেয়ার রিমুভাল ক্রিম, ফ্লোরিয়াস লিহান রং ফর্সাকারী ক্রিম, অর্গানিক হারবাল হেয়ার টনিক, গুলাবারি, মিস অ্যান্ড মিসেস বুস্টার, লাভ ইন বিউটি ক্রিম, স্পট আউট স্কিন ক্রিম, হিড কুল অয়েল, হানি অ্যান্ড আমন্ড স্ক্রিন, গ্লিসারিন, রোজ ওয়াটার এবং মোড়কবিহীন সাবানের প্রস্তুতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। এছাড়াও, বিভিন্ন পণ্যের মোড়কও জব্দ করা হয়।

শরিফা সুলতানা আরও জানান, মাত্র তিনটি পণ্যের অনুমতি নিয়ে ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভেজাল এই পণ্যগুলো তৈরি করছিলেন। বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ব্যতীত এসব পণ্য মোড়কজাত ও বিক্রি করায় তাকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। ভেজাল ও মানহীন পণ্য ধ্বংস করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।

বিসিক সূত্রে জানা গেছে, অলিফ কুমার নামে একজন ব্যবসায়ী প্রথমে টিনের ফ্যাক্টরি হিসেবে এই প্লটটি ইজারা নেন। পরে তিনি এটি ভাড়া দেন মিজানুর রহমান নামে একজন প্রসাধনী ব্যবসায়ীর কাছে। তবে অভিযানের সময় সেখানে শুধু দুটি কর্মচারী ছিলেন, অন্য শ্রমিক ও çalışanরা পালিয়ে যায়।

বিসিকের প্রমোশন কর্মকর্তা মো. শরীফ সরদার জানান, এই কারখানায় বিএসটিআই অনুমোদিত পণ্য ছাড়াও বিভিন্ন অননুমোদিত ও ভেজাল পণ্য তৈরি করা হচ্ছিল। প্রশাসন ও সংস্থাগুলোর তথ্যের ভিত্তিতে کارروানি চালিয়ে স্থানটি শনাক্ত করা হয়। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই ধরনের অভিযান চলমান থাকায় মানুষের স্বাস্থ্যের নিরাপত্তা আরও সুদৃঢ় হবে।

শরীফ সরদার বলেন, এ ধরনের কার্যক্রম অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠানকেও সচেতন করবে। ভবিষ্যতে বিসিক ও অন্যান্য সংস্থা নজরদারি জোরদার করে ভেজাল ও মানহীন পণ্য উৎপাদন রোধে কাজ করবে, যাতে সাধারণ মানুষ সুস্থ থাকেন।

ট্যাগ :

বাগেরহাটে ভেজাল প্রসাধনী কারখানা সিলগালা এবং জরিমানা

প্রকাশিতঃ ১০:৫১:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাগেরহাটে বিসিক শিল্প এলাকায় ভেজাল প্রসাধনী তৈরির একটি কারখানা সিলগালা করে দিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। পাশাপাশি ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে দেড় লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এ ঘটনা ঘটে বুধবার বিকেলে, যখন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শরিফা সুলতানা নেতৃত্ব দেন অভিযানে।

শরিফা সুলতানা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনী ও অধিদপ্তর সদস্যরা যৌথভাবে এই অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে বিভিন্ন ভেজাল পণ্য যেমন ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী, অর্গানিক হেয়ার রিমুভাল ক্রিম, ফ্লোরিয়াস লিহান রং ফর্সাকারী ক্রিম, অর্গানিক হারবাল হেয়ার টনিক, গুলাবারি, মিস অ্যান্ড মিসেস বুস্টার, লাভ ইন বিউটি ক্রিম, স্পট আউট স্কিন ক্রিম, হিড কুল অয়েল, হানি অ্যান্ড আমন্ড স্ক্রিন, গ্লিসারিন, রোজ ওয়াটার এবং মোড়কবিহীন সাবানের প্রস্তুতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। এছাড়াও, বিভিন্ন পণ্যের মোড়কও জব্দ করা হয়।

শরিফা সুলতানা আরও জানান, মাত্র তিনটি পণ্যের অনুমতি নিয়ে ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভেজাল এই পণ্যগুলো তৈরি করছিলেন। বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ব্যতীত এসব পণ্য মোড়কজাত ও বিক্রি করায় তাকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। ভেজাল ও মানহীন পণ্য ধ্বংস করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।

বিসিক সূত্রে জানা গেছে, অলিফ কুমার নামে একজন ব্যবসায়ী প্রথমে টিনের ফ্যাক্টরি হিসেবে এই প্লটটি ইজারা নেন। পরে তিনি এটি ভাড়া দেন মিজানুর রহমান নামে একজন প্রসাধনী ব্যবসায়ীর কাছে। তবে অভিযানের সময় সেখানে শুধু দুটি কর্মচারী ছিলেন, অন্য শ্রমিক ও çalışanরা পালিয়ে যায়।

বিসিকের প্রমোশন কর্মকর্তা মো. শরীফ সরদার জানান, এই কারখানায় বিএসটিআই অনুমোদিত পণ্য ছাড়াও বিভিন্ন অননুমোদিত ও ভেজাল পণ্য তৈরি করা হচ্ছিল। প্রশাসন ও সংস্থাগুলোর তথ্যের ভিত্তিতে کارروানি চালিয়ে স্থানটি শনাক্ত করা হয়। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই ধরনের অভিযান চলমান থাকায় মানুষের স্বাস্থ্যের নিরাপত্তা আরও সুদৃঢ় হবে।

শরীফ সরদার বলেন, এ ধরনের কার্যক্রম অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠানকেও সচেতন করবে। ভবিষ্যতে বিসিক ও অন্যান্য সংস্থা নজরদারি জোরদার করে ভেজাল ও মানহীন পণ্য উৎপাদন রোধে কাজ করবে, যাতে সাধারণ মানুষ সুস্থ থাকেন।