০১:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
আন্তর্জাতিকভাবে দাবি জানানোয় বন্দিদের মুক্তি ঘোষণা বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর দোয়ার আবেদন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্কটকালে মায়ের স্নেহ পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমারও: তারেক রহমান মৌসুমি সবজি বাজারে ভরপুর, দাম কমে গেছে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় দোয়া ও মোনাজাত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের জন্য ভর্তুকির দাবি আরব আমিরাতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া ২৪ ব্যক্তির মুক্তি আসছে বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা মনের আকাঙ্ক্ষা ও রাজনৈতিক বাস্তবতার মধ্যে দ্বন্দ্ব: তারেক রহমানের মন্তব্য বাজারে মৌসুমি সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি ও দাম কমে যাচ্ছে

ওষুধের কৃত্রিম সংকট ও ওষুধে ভেজাল করলে যাবজ্জীবন শাস্তি

ভেজাল এবং নকল ওষুধ তৈরি করলে ও ওষুধের কৃত্রিম সংকট তৈরি করলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রেখে ‘ঔষধ আইন ২০২২’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এছাড়া চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রিতে নগদ ২০ হাজার টাকা জরিমানার বিধানও রাখা হয়েছে।

নতুন আইনে ‘ঔষধ’-এর সঙ্গে ‘কসমেটিকস’ শব্দটিও যোগ করা হয়েছে। আইনটি এখন থেকে ‘ঔষধ এবং কসমেটিকস আইন-২০২২’ নামে হয়েছে। ফলে কসমেটিকসে ভেজালের ক্ষেত্রেও অনুরূপ সাজা কার্যকর হবে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধানের কথা জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, খসড়া আইনে ওষুধ অবৈধভাবে মজুত করে সংকট সৃষ্টি এবং ভেজাল ওষুধ তৈরি করলে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

এছাড়াও কোনো ওষুধ ক্ষতিকারক হলে তাৎক্ষণিকভাবে তা বাজার থেকে বাতিল করার বিধান রাখা হয়েছে নতুন আইনে। আর এই আইন অনুযায়ী ওষুধের উৎপাদন থেকে সব ব্যাপারে ডব্লিউএইচও এর গাইডলাইন অনুসরণ করতে হবে।

সচিব বলেন, রেজিস্ট্রার চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র (প্রেসক্রিপশন) ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করা যাবে না। কোনো দোকান থেকে ব্যবস্থাপত্র ছাড়া এন্টিবায়োটিক বিক্রি করা হলে ২০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া ওষুধের কৃত্রিম সংকট তৈরি করলেও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে নতুন আইনে। আর নিবন্ধন ছাড়া কারখানা থেকে ওষুধ উৎপাদন করলে ১০ লাখ টাকা জরিমানা এবং ১০ বছরের কারাদণ্ড হবে।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

ওষুধের কৃত্রিম সংকট ও ওষুধে ভেজাল করলে যাবজ্জীবন শাস্তি

প্রকাশিতঃ ০১:১৫:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

ভেজাল এবং নকল ওষুধ তৈরি করলে ও ওষুধের কৃত্রিম সংকট তৈরি করলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রেখে ‘ঔষধ আইন ২০২২’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এছাড়া চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রিতে নগদ ২০ হাজার টাকা জরিমানার বিধানও রাখা হয়েছে।

নতুন আইনে ‘ঔষধ’-এর সঙ্গে ‘কসমেটিকস’ শব্দটিও যোগ করা হয়েছে। আইনটি এখন থেকে ‘ঔষধ এবং কসমেটিকস আইন-২০২২’ নামে হয়েছে। ফলে কসমেটিকসে ভেজালের ক্ষেত্রেও অনুরূপ সাজা কার্যকর হবে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধানের কথা জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, খসড়া আইনে ওষুধ অবৈধভাবে মজুত করে সংকট সৃষ্টি এবং ভেজাল ওষুধ তৈরি করলে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

এছাড়াও কোনো ওষুধ ক্ষতিকারক হলে তাৎক্ষণিকভাবে তা বাজার থেকে বাতিল করার বিধান রাখা হয়েছে নতুন আইনে। আর এই আইন অনুযায়ী ওষুধের উৎপাদন থেকে সব ব্যাপারে ডব্লিউএইচও এর গাইডলাইন অনুসরণ করতে হবে।

সচিব বলেন, রেজিস্ট্রার চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র (প্রেসক্রিপশন) ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করা যাবে না। কোনো দোকান থেকে ব্যবস্থাপত্র ছাড়া এন্টিবায়োটিক বিক্রি করা হলে ২০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া ওষুধের কৃত্রিম সংকট তৈরি করলেও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে নতুন আইনে। আর নিবন্ধন ছাড়া কারখানা থেকে ওষুধ উৎপাদন করলে ১০ লাখ টাকা জরিমানা এবং ১০ বছরের কারাদণ্ড হবে।