০৭:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
অপো আনলো রেনো১৪ সিরিজ ফাইভজি নাইটলাইফ রেনোগ্রাফি প্রতিযোগিতা বোয়ালখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর বিষপানে মৃত্যু শেখ হাসিনা ও ৩২ জনের বিরুদ্ধে সুখরঞ্জন বিলির অভিযোগ দাখিল বোয়ালখালীতে যৌথ বাহিনীর অভিযান, অস্ত্রসহ ৩ জন আটক প্রস্তাবিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মেডিকেল কলেজের জন্য মানববন্ধন এনসিপি থেকে বহিষ্কারের পর মাহিনের বিশ্লেষণমূলক মন্তব্য নরওয়ে গবেষণা জাহাজ বঙ্গোপসাগরে মৎস্য ও ইকোসিস্টেম জরিপ শুরু করেছে বয়স হলে ভুল বোঝার ব্যাপারটা বুঝতে পারবে, তখন লজ্জিত হবে নিজেকে নিয়ন্ত্রকদের সম্পদ তদন্ত চাই দুদকের ইইউ ৪ মিলিয়ন ইউরো আর্থিক সহযোগিতা দেবে বাংলাদেশের নির্বাচন উন্নত করতে

‘ফিলিস্তিনের পতন হলে ইরান, সৌদি ও তুরস্ক হবে পরবর্তী টার্গেট’

ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী-আইআরজিসির সাবেক এক প্রধান কমান্ডার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ফিলিস্তিন ও লেবাননের দেশগুলোর বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধ শেষ করতে পারলে ইসরায়েল সরকার ও তার মিত্ররা ওইসব দেশসহ পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলের আরও কয়েকটি দেশকে টার্গেট করা শুরু করবে।

ইরানের এক্সপিডিয়েন্সি কাউন্সিলের সদস্য মেজর জেনারেল মোহসেন রেজায়ি স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ইরান যুদ্ধের কেন্দ্রে রয়েছে।

গাজায় ইসরায়েলি সরকারের গণহত্যা ও লেবাননে হত্যাযজ্ঞে অন্তত ৪৩ হাজার ৯৭২ জন ফিলিস্তিনি এবং ৩ হাজার ৫৪৪ জন লেবাননের মানুষ নিহত হওয়ার প্রেক্ষাপটে এমন মন্তব্য এলো।

‘যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলি গণহত্যার পেছনে সরাসরি মদদদাতা’

ইসরায়েল নৃশংস সামরিক আক্রমণে সবচেয়ে নিবেদিত মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক, সামরিক ও গোয়েন্দা সহায়তা পাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন মোহসেন রেজায়ি।

ইসরায়েলি ‘যুদ্ধ মনোভাবের’ কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে রেজায়ি বলেন, যুদ্ধ চালিয়ে শত্রুরা তথাকথিত বার্তা দিতে চায় যে, ‘পশ্চিম এশিয়া হয় তাদের জন্য একটি জায়গা অথবা ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের।’

যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলি গণহত্যার পেছনে সরাসরি মদদদাতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই অঞ্চলে তারা সাম্রাজ্যবাদ ও তথাকথিত ‘পরাশক্তির মর্যাদা’ দীর্ঘায়িত করতে চায়।

ইরান এসব ‘সহ্য করে না’

তবে ইরান এসব ‘সহ্য করে না’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা নিজেদের রক্ষা করার বিষয়ে কোনো বিভ্রান্তির মধ্যে নেই।’ আঞ্চলিক প্রতিরোধ ফ্রন্টকে আরও শক্তিশালী করার কথা জানান তিনি।

‘মার্কিন-ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের’ সম্ভাব্য পরিণতি সম্পর্কে মন্তব্য করে এই কর্মকর্তা বলেন, এই দুই দেশের অপরাধ বিশ্বের চোখে আরও স্পষ্ট হয়ে উঠবে এবং সময়ের সাথে সাথে আরও প্রতিক্রিয়া আসবে।

তিনি বলেন, তাই ইরানের অভ্যন্তরে বিপ্লবী শক্তিসমূহের উচিত গাজা ও লেবাননের জনগণকে সাহায্য করার প্রচেষ্টায় তাদের সকল সামর্থ্য উৎসর্গ করা।

‘ইসরায়েলের সন্ত্রাসী যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপের প্রযুক্তি’

রেজায়ি জোর দিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের অনেক দেশ সামরিক আগ্রাসন পরিচালনার সময় তাদের (ইসরায়েলকে) সব ধরনের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা দেয়। ইহুদিবাদী সরকার ফিলিস্তিনের নিপীড়িত জনগণের বিরুদ্ধে যেসব সরঞ্জাম মোতায়েন করেছে, তা এক সপ্তাহ আগে আমেরিকান অস্ত্র কারখানায় তৈরি করা হয়েছে।

এই কর্মকর্তা ইসরায়েলি আগ্রাসনকে একটি অভূতপূর্ব ‘সন্ত্রাসী যুদ্ধ’ হিসাবে বিবেচনা করেন। রেজায়ি বলেন, বর্তমান যুদ্ধে আমরা যা সাক্ষ্য দিচ্ছি তা হলো হত্যাকাণ্ড ও গণহত্যা।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

টিউলিপ সিদ্দিকের অভিযোগ, হাসিনা-ইউনূস দ্বন্দ্বে আমি ‘বলির পাঁঠা’

‘ফিলিস্তিনের পতন হলে ইরান, সৌদি ও তুরস্ক হবে পরবর্তী টার্গেট’

প্রকাশিতঃ ০৫:৪০:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪

ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী-আইআরজিসির সাবেক এক প্রধান কমান্ডার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ফিলিস্তিন ও লেবাননের দেশগুলোর বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধ শেষ করতে পারলে ইসরায়েল সরকার ও তার মিত্ররা ওইসব দেশসহ পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলের আরও কয়েকটি দেশকে টার্গেট করা শুরু করবে।

ইরানের এক্সপিডিয়েন্সি কাউন্সিলের সদস্য মেজর জেনারেল মোহসেন রেজায়ি স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ইরান যুদ্ধের কেন্দ্রে রয়েছে।

গাজায় ইসরায়েলি সরকারের গণহত্যা ও লেবাননে হত্যাযজ্ঞে অন্তত ৪৩ হাজার ৯৭২ জন ফিলিস্তিনি এবং ৩ হাজার ৫৪৪ জন লেবাননের মানুষ নিহত হওয়ার প্রেক্ষাপটে এমন মন্তব্য এলো।

‘যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলি গণহত্যার পেছনে সরাসরি মদদদাতা’

ইসরায়েল নৃশংস সামরিক আক্রমণে সবচেয়ে নিবেদিত মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক, সামরিক ও গোয়েন্দা সহায়তা পাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন মোহসেন রেজায়ি।

ইসরায়েলি ‘যুদ্ধ মনোভাবের’ কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে রেজায়ি বলেন, যুদ্ধ চালিয়ে শত্রুরা তথাকথিত বার্তা দিতে চায় যে, ‘পশ্চিম এশিয়া হয় তাদের জন্য একটি জায়গা অথবা ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের।’

যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলি গণহত্যার পেছনে সরাসরি মদদদাতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই অঞ্চলে তারা সাম্রাজ্যবাদ ও তথাকথিত ‘পরাশক্তির মর্যাদা’ দীর্ঘায়িত করতে চায়।

ইরান এসব ‘সহ্য করে না’

তবে ইরান এসব ‘সহ্য করে না’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা নিজেদের রক্ষা করার বিষয়ে কোনো বিভ্রান্তির মধ্যে নেই।’ আঞ্চলিক প্রতিরোধ ফ্রন্টকে আরও শক্তিশালী করার কথা জানান তিনি।

‘মার্কিন-ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের’ সম্ভাব্য পরিণতি সম্পর্কে মন্তব্য করে এই কর্মকর্তা বলেন, এই দুই দেশের অপরাধ বিশ্বের চোখে আরও স্পষ্ট হয়ে উঠবে এবং সময়ের সাথে সাথে আরও প্রতিক্রিয়া আসবে।

তিনি বলেন, তাই ইরানের অভ্যন্তরে বিপ্লবী শক্তিসমূহের উচিত গাজা ও লেবাননের জনগণকে সাহায্য করার প্রচেষ্টায় তাদের সকল সামর্থ্য উৎসর্গ করা।

‘ইসরায়েলের সন্ত্রাসী যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপের প্রযুক্তি’

রেজায়ি জোর দিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের অনেক দেশ সামরিক আগ্রাসন পরিচালনার সময় তাদের (ইসরায়েলকে) সব ধরনের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা দেয়। ইহুদিবাদী সরকার ফিলিস্তিনের নিপীড়িত জনগণের বিরুদ্ধে যেসব সরঞ্জাম মোতায়েন করেছে, তা এক সপ্তাহ আগে আমেরিকান অস্ত্র কারখানায় তৈরি করা হয়েছে।

এই কর্মকর্তা ইসরায়েলি আগ্রাসনকে একটি অভূতপূর্ব ‘সন্ত্রাসী যুদ্ধ’ হিসাবে বিবেচনা করেন। রেজায়ি বলেন, বর্তমান যুদ্ধে আমরা যা সাক্ষ্য দিচ্ছি তা হলো হত্যাকাণ্ড ও গণহত্যা।