১১:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
এনসিপি থেকে বহিষ্কারের পর মাহিনের বিশ্লেষণমূলক মন্তব্য নরওয়ে গবেষণা জাহাজ বঙ্গোপসাগরে মৎস্য ও ইকোসিস্টেম জরিপ শুরু করেছে বয়স হলে ভুল বোঝার ব্যাপারটা বুঝতে পারবে, তখন লজ্জিত হবে নিজেকে নিয়ন্ত্রকদের সম্পদ তদন্ত চাই দুদকের ইইউ ৪ মিলিয়ন ইউরো আর্থিক সহযোগিতা দেবে বাংলাদেশের নির্বাচন উন্নত করতে ইভেন্ট বুকিংয়ে এক বছরের জন্য ৫০% ছাড় দিচ্ছে আইসিসিএল ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার ঝিনাইদহের আওয়ামী লীগ সভাপতি পরীক্ষায় ফেল, টানা ২৬ বছর গৃহবন্দী নারীকে উদ্ধার খাদ্য মন্ত্রনালয়ের রেকর্ড পরিমাণ ধান ও চাল সংগ্রহ গাইবান্ধায় ১৪৯০ মিটার দীর্ঘ ‘মওলানা ভাসানী সেতু’ উদ্বোধন করবেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা

নির্বাচনে ভয় পায় যারা, তারা পিআর পদ্ধতিকে চায়: শামসুজ্জামান দুদু

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, যারা পিআর পদ্ধতির জন্য জোর দিচ্ছেন, তারা মূলত নির্বাচনে ভয় পাওয়ার কারণেই এই দাবি তুলে ধরছেন। আজ শনিবার তার নিজস্ব বাড়িতে নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সামনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

দুদু বলেন, যারা পিআর পদ্ধতি চালু করতে চান, তাদের ভেতরে অনেকেই নির্বাচনের ফলাফলে আশঙ্কা করছেন। বিশেষ করে ইসলামি দলগুলো—যেমন ইসলামী আন্দোলন—যারা অনেক সময় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করেই থাকেন, তারা এই পদ্ধতি প্রচার করছেন। উল্লেখ্য, এই দলগুলো অনেক সময় নি:শেষভাবে আওয়ামী লীগের সম্মুখীন হয়েছে; যেমন বরিশালের শেষ নির্বাচনে তাদের পীরের রক্তাক্ত হওয়ার ঘটনা ঘটে। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নির্বাচনে তারা সবসময় অংশগ্রহণ করে এসেছে, এবং আওয়ামী লীগকে তারা শক্তিশালী সংগঠন বলে মনে করে।

দুদু আরও বলেন, যারা পিআর পদ্ধতিকে জনপ্রিয় মনে করছেন, তাদের উচিত এতে বিশ্বাস করে নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়লাভের মাধ্যমে প্রমাণ করা। কারণ এই পদ্ধতি চালু করতে সংসদের বেশি সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন, যা অনেক দেশে জনপ্রিয় হলেও ইতিহাস বলছে, এর ফলে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অধিক্ষেত্রে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হয়। উদাহরণ হিসেবে নেপালকে দেওয়া হয়, যেখানে তিন বছরের মধ্যে অন্তত ১০ বার সরকারের পরিবর্তন হয়েছে। প্রবৃদ্ধি, উন্নয়ন ও অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে হলে সরকারে স্থিতিশীলতা খুব জরুরি, যা পিআর পদ্ধতিতে সম্ভব নয়।

ফেব্রুয়ারি মাসের নির্বাচনের বিষয়ে দুদু বলেন, বর্তমানে দেশে কোন জনপ্রিয় সরকার নেই। এমন সময়ে যদি কোন রাজনৈতিক দল স্ব উদ্যোগে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে, তা দলের জন্য বড় ব্যর্থতা। অবশ্যই বিভিন্ন দলের বিভিন্ন দাবী থাকবে, যা নির্বাচনের সময় তাদের কর্মসূচিতে তুলে ধরে সাধারণ জনতা পর্যন্ত পৌঁছে দিতে হবে। যদি সেই দাবিগুলোর জনপ্রিয়তা বেশি হয়, তাহলে তারা নির্বাচনে বিজয়ী হবে। তবে অন্যের দাবি প্রতিষ্ঠার জন্য অন্যকে কণ্টকিত পথ অবলম্বন করা ন্যায়সঙ্গত নয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ওয়াহেদুজ্জামান বুলাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

আজ উদ্বোধন হচ্ছে মাওলানা ভাসানী সেতু

নির্বাচনে ভয় পায় যারা, তারা পিআর পদ্ধতিকে চায়: শামসুজ্জামান দুদু

প্রকাশিতঃ ০৮:১৯:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, যারা পিআর পদ্ধতির জন্য জোর দিচ্ছেন, তারা মূলত নির্বাচনে ভয় পাওয়ার কারণেই এই দাবি তুলে ধরছেন। আজ শনিবার তার নিজস্ব বাড়িতে নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সামনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

দুদু বলেন, যারা পিআর পদ্ধতি চালু করতে চান, তাদের ভেতরে অনেকেই নির্বাচনের ফলাফলে আশঙ্কা করছেন। বিশেষ করে ইসলামি দলগুলো—যেমন ইসলামী আন্দোলন—যারা অনেক সময় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করেই থাকেন, তারা এই পদ্ধতি প্রচার করছেন। উল্লেখ্য, এই দলগুলো অনেক সময় নি:শেষভাবে আওয়ামী লীগের সম্মুখীন হয়েছে; যেমন বরিশালের শেষ নির্বাচনে তাদের পীরের রক্তাক্ত হওয়ার ঘটনা ঘটে। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নির্বাচনে তারা সবসময় অংশগ্রহণ করে এসেছে, এবং আওয়ামী লীগকে তারা শক্তিশালী সংগঠন বলে মনে করে।

দুদু আরও বলেন, যারা পিআর পদ্ধতিকে জনপ্রিয় মনে করছেন, তাদের উচিত এতে বিশ্বাস করে নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়লাভের মাধ্যমে প্রমাণ করা। কারণ এই পদ্ধতি চালু করতে সংসদের বেশি সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন, যা অনেক দেশে জনপ্রিয় হলেও ইতিহাস বলছে, এর ফলে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অধিক্ষেত্রে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হয়। উদাহরণ হিসেবে নেপালকে দেওয়া হয়, যেখানে তিন বছরের মধ্যে অন্তত ১০ বার সরকারের পরিবর্তন হয়েছে। প্রবৃদ্ধি, উন্নয়ন ও অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে হলে সরকারে স্থিতিশীলতা খুব জরুরি, যা পিআর পদ্ধতিতে সম্ভব নয়।

ফেব্রুয়ারি মাসের নির্বাচনের বিষয়ে দুদু বলেন, বর্তমানে দেশে কোন জনপ্রিয় সরকার নেই। এমন সময়ে যদি কোন রাজনৈতিক দল স্ব উদ্যোগে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে, তা দলের জন্য বড় ব্যর্থতা। অবশ্যই বিভিন্ন দলের বিভিন্ন দাবী থাকবে, যা নির্বাচনের সময় তাদের কর্মসূচিতে তুলে ধরে সাধারণ জনতা পর্যন্ত পৌঁছে দিতে হবে। যদি সেই দাবিগুলোর জনপ্রিয়তা বেশি হয়, তাহলে তারা নির্বাচনে বিজয়ী হবে। তবে অন্যের দাবি প্রতিষ্ঠার জন্য অন্যকে কণ্টকিত পথ অবলম্বন করা ন্যায়সঙ্গত নয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ওয়াহেদুজ্জামান বুলাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।