০৭:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
বোয়ালখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর বিষপানে মৃত্যু অপো আনলো রেনো১৪ সিরিজ ফাইভজি নাইটলাইফ রেনোগ্রাফি প্রতিযোগিতা শেখ হাসিনা ও ৩২ জনের বিরুদ্ধে সুখরঞ্জন বিলির অভিযোগ দাখিল বোয়ালখালীতে যৌথ বাহিনীর অভিযান, অস্ত্রসহ ৩ জন আটক প্রস্তাবিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মেডিকেল কলেজের জন্য মানববন্ধন এনসিপি থেকে বহিষ্কারের পর মাহিনের বিশ্লেষণমূলক মন্তব্য নরওয়ে গবেষণা জাহাজ বঙ্গোপসাগরে মৎস্য ও ইকোসিস্টেম জরিপ শুরু করেছে বয়স হলে ভুল বোঝার ব্যাপারটা বুঝতে পারবে, তখন লজ্জিত হবে নিজেকে নিয়ন্ত্রকদের সম্পদ তদন্ত চাই দুদকের ইইউ ৪ মিলিয়ন ইউরো আর্থিক সহযোগিতা দেবে বাংলাদেশের নির্বাচন উন্নত করতে

টিউলিপ সিদ্দিকের অভিযোগ, হাসিনা-ইউনূস দ্বন্দ্বে আমি ‘বলির পাঁঠা’

বাংলাদেশে দুর্নীতির এক মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার পর ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্য ও প্রাক্তন ট্রেজারি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক নিজেকে ‘বলির পাঁঠা’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি দাবি করেন, মামলাটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছেন। ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন টিউলিপ।

৪২ বছর বয়সী এই লেবার পার্টির নেত্রী জানান, তিনি গত সপ্তাহে জানতে পেরেছেন যে, ঢাকার পূর্বাচলে জমি বরাদ্দের বিষয়টি প্রভাবিত করতে গিয়ে তাকে এবং আরও ২০ জনকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। মামলার শুনানি আগামী ১১ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে, যদিও তিনি এখনো আনুষ্ঠানিক সমন পাননি এবং অভিযোগপত্র দেখেননি। তার ভাষায়, ‘আমি যেন এক অদ্ভুত দুঃস্বপ্নের মধ্যে আটকে আছি, যেখানে বিচার শুরু হতে যাচ্ছে কিন্তু আমি জানি না আমার বিরুদ্ধে আসল অভিযোগ কি।’

বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, দ্বিপাক্ষিক প্রত্যর্পণ চুক্তি না থাকায়, প্রয়োজনে তার অনুপস্থিতিতেই তার বিচার সম্ভব হতে পারে।

গত বছরের জুলাইয়ে লেবার পার্টির নির্বাচনী জয়ে টিউলিপ অর্থনৈতিক সচিব ও সিটি মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছিলেন। সেই সময় তিনি দেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ উপভোগ করছিলেন। কিন্তু একই সময়ে বাংলাদেশে ছাত্র নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভে শেখ হাসিনার সরকার পতন হয়। ক্ষমতা পরিবর্তনের পরে, অর্থনীতিবিদ ও শেখ হাসিনার দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী মুহাম্মদ ইউনূস ক্ষমতায় আসার পর থেকে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তৈরি হয়।

প্রথমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের রাশিয়া চুক্তি থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে, যা টিউলিপ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে উড়িয়ে দেন। পরে ২০০৪ সালে লন্ডনের কিংস ক্রসের একটি ফ্ল্যাট উপহার পাওয়ার অভিযোগও ওঠে, যা তিনি ব্যাখ্যা করেছেন।

নিরাপত্তাজনিত কারণে অন্য কারো মালিকানাধীন বাড়িতে থাকার বিষয়েও সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। তবে যুক্তরাজ্যের মানদণ্ড অনুযায়ী, মন্ত্রীদের আচরণবিধি পর্যালোচনায় স্বতন্ত্র উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাস তার আর্থিক বিষয়াদি খতিয়ে দেখে অভিযোগকে নাকচ করেন।

টিউলিপ অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশের ক্ষমতা পরিবর্তনের পর ‘নোংরা রাজনীতি’ তার ওপর চালানো হচ্ছে। তার দাবি, ‘এটি মুহাম্মদ ইউনূস ও আমার খালা শেখ হাসিনার মধ্যে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের ফলফল, এবং আমি এর বলি হইছি। তবে, বাংলাদেশের যারা অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত, তাদের অবশ্যই শাস্তি হওয়া উচিত, কিন্তু আমি সেই তালিকায় নেই।’

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

টিউলিপ সিদ্দিকের অভিযোগ, হাসিনা-ইউনূস দ্বন্দ্বে আমি ‘বলির পাঁঠা’

টিউলিপ সিদ্দিকের অভিযোগ, হাসিনা-ইউনূস দ্বন্দ্বে আমি ‘বলির পাঁঠা’

প্রকাশিতঃ ১০:৪৮:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

বাংলাদেশে দুর্নীতির এক মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার পর ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্য ও প্রাক্তন ট্রেজারি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক নিজেকে ‘বলির পাঁঠা’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি দাবি করেন, মামলাটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছেন। ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন টিউলিপ।

৪২ বছর বয়সী এই লেবার পার্টির নেত্রী জানান, তিনি গত সপ্তাহে জানতে পেরেছেন যে, ঢাকার পূর্বাচলে জমি বরাদ্দের বিষয়টি প্রভাবিত করতে গিয়ে তাকে এবং আরও ২০ জনকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। মামলার শুনানি আগামী ১১ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে, যদিও তিনি এখনো আনুষ্ঠানিক সমন পাননি এবং অভিযোগপত্র দেখেননি। তার ভাষায়, ‘আমি যেন এক অদ্ভুত দুঃস্বপ্নের মধ্যে আটকে আছি, যেখানে বিচার শুরু হতে যাচ্ছে কিন্তু আমি জানি না আমার বিরুদ্ধে আসল অভিযোগ কি।’

বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, দ্বিপাক্ষিক প্রত্যর্পণ চুক্তি না থাকায়, প্রয়োজনে তার অনুপস্থিতিতেই তার বিচার সম্ভব হতে পারে।

গত বছরের জুলাইয়ে লেবার পার্টির নির্বাচনী জয়ে টিউলিপ অর্থনৈতিক সচিব ও সিটি মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছিলেন। সেই সময় তিনি দেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ উপভোগ করছিলেন। কিন্তু একই সময়ে বাংলাদেশে ছাত্র নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভে শেখ হাসিনার সরকার পতন হয়। ক্ষমতা পরিবর্তনের পরে, অর্থনীতিবিদ ও শেখ হাসিনার দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী মুহাম্মদ ইউনূস ক্ষমতায় আসার পর থেকে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তৈরি হয়।

প্রথমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের রাশিয়া চুক্তি থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে, যা টিউলিপ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে উড়িয়ে দেন। পরে ২০০৪ সালে লন্ডনের কিংস ক্রসের একটি ফ্ল্যাট উপহার পাওয়ার অভিযোগও ওঠে, যা তিনি ব্যাখ্যা করেছেন।

নিরাপত্তাজনিত কারণে অন্য কারো মালিকানাধীন বাড়িতে থাকার বিষয়েও সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। তবে যুক্তরাজ্যের মানদণ্ড অনুযায়ী, মন্ত্রীদের আচরণবিধি পর্যালোচনায় স্বতন্ত্র উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাস তার আর্থিক বিষয়াদি খতিয়ে দেখে অভিযোগকে নাকচ করেন।

টিউলিপ অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশের ক্ষমতা পরিবর্তনের পর ‘নোংরা রাজনীতি’ তার ওপর চালানো হচ্ছে। তার দাবি, ‘এটি মুহাম্মদ ইউনূস ও আমার খালা শেখ হাসিনার মধ্যে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের ফলফল, এবং আমি এর বলি হইছি। তবে, বাংলাদেশের যারা অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত, তাদের অবশ্যই শাস্তি হওয়া উচিত, কিন্তু আমি সেই তালিকায় নেই।’