১১:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫, ৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
আজ কক্সবাজারে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে অংশীজন সংলাপ শুরু দেশে সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবীদের আত্মহননের ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে ডিসেম্বরের মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাড়ে ১৩ হাজার শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা খুলনায় পলিথিন জব্দ, তিন প্রতিষ্ঠানকে অর্থদণ্ড ২৬টি রাজনৈতিক দল জুলাই সনদ পর্যালোচনা করে মতামত জমা দিল বিমানবন্দর এলাকায় ট্রেন লাইনচ্যুত, ঢাকামুখী ট্রেনের চলাচল ব্যাহত কুলাউড়ায় চক্ষু হাসপাতালে আমেরিকান ফ্যাকো মেশিনের উদ্বোধন এবারের ডাকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণ ৮ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে বিজিবির অভিযানে মাদকসহ দুই যুবক আটক আইন সংশোধনে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন সম্ভব: সিইসি

আইন সংশোধনে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন সম্ভব: সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, আনুপাতিক পদ্ধতি বা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন সংবিধানে নেই। সংবিধির বাইরে আমরা যেতে পারি না। তবে, যদি আইন পরিবর্তন হয়, তবে এই পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শনিবার (২৩ আগস্ট) সকাল ১০টায় রাজশাহী আঞ্চলিক লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রাজশাহী অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সিইসি আরও বলেন, ‘নির্বাচন হবে কি হবে না, এই বিষয়টি নিয়ে আমরা কোন রাজনৈতিক দলের বক্তব্যে সচেতন হতে চাই না। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নির্দেশনা অনুযায়ী, আমরা চলমান প্রস্তুতিতে সচেষ্ট। বিগত কয়েক মাস ধরে নির্বাচন প্রস্তুতি জোরদার করা হয়েছে, যাতে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে, রমজানের আগে নির্বাচনের কাজ সম্পন্ন করা যায়।’

তিনি বলেন, ‘আনুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত নয়। এটি নিয়ে কি এবং কেন বিতর্ক হচ্ছে, তা আমি বিবেচনায় নিচ্ছি না। যদি আইন পরিবর্তন হয়, তাহলে এই পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে।’

সিইসি আরও জানান, ‘নির্বাচনের জন্য সেনাবাহিনীকে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। আগে যা ছিল ডিস্ট্রিক্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বা পুলিশ সুপার, তাদের দায়িত্বে একেবারেই পরিবর্তন আসছে না। সেনাবাহিনীকে শুধু আইন-শৃঙ্খলার জন্য ব্যবহারের প্রক্রিয়া চলছে।’

প্রাধান্য দিয়ে বলেন, ‘বিগত সরকার আমলে নিযুক্ত নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ওপর কোনও বদল আনা হয়নি। বর্তমানে কমিশনের কাছে মোট ৫৭০০ কর্মকর্তা রয়েছেন, যারা আগে থেকেই দায়িত্ব পালনে অভ্যস্ত। তবে যারা স্বপ্রণোদিত হয়ে আগের নির্বাচনে অনিয়ম করে থাকতেন, তাদের আর দলে রাখার পরিকল্পনা নেই।’

সরকারের প্রতি কোনও চাপ রয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সরকার থেকে এখনও পর্যন্ত কোনো চাপ আমি পাইনি। যদি চাপ দেয়, আমি আমার দায়িত্ব থেকে সরব। আমি চেয়ার ছেড়ে দেব, কোনও আপোষ করবো না।’

প্রসঙ্গত, তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বর্তমানে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নেই। তাদের বিচারে দেরি হচ্ছে। বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত, তারা নির্বাচনে অংশ নেবে না। কিছুটা সময় লাগবে, দেখা যাক আচরণে কেমন প্রভাব পড়ে।’

সিইসি আশ্বাস দেন, ‘ভোটের সময় পরিস্থিতি আরও উন্নত হবে। আগামি ফেব্রুয়ারির আগে নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য জোর প্রস্তুতি চলছে। যারা ভোটের কেন্দ্রে অস্ত্র ও অন্য অসামাজিক সুবিধা দখলের স্বপ্ন দেখছেন, তাদের স্বপ্ন ভঙ্গ হবে।’

তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘ব ভোট কেন্দ্রে দখল বা অস্ত্রের আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভোট কেন্দ্রে অবৈধ প্রস্তুতি নেওয়া বা জোরপূর্বক দখল করা হলে তার ফলাফল বাতিল করা হবে।’

সভায় তিনি রাজশাহী অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তাদের নানা দিকনির্দেশনা দেন যাতে তারা আগামী দিনের নির্বাচনী পরিস্থিতি চালানোর ব্যাপারে প্রস্তুত থাকেন।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

আজ কক্সবাজারে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে অংশীজন সংলাপ শুরু

আইন সংশোধনে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন সম্ভব: সিইসি

প্রকাশিতঃ ১০:৪৬:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, আনুপাতিক পদ্ধতি বা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন সংবিধানে নেই। সংবিধির বাইরে আমরা যেতে পারি না। তবে, যদি আইন পরিবর্তন হয়, তবে এই পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শনিবার (২৩ আগস্ট) সকাল ১০টায় রাজশাহী আঞ্চলিক লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রাজশাহী অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সিইসি আরও বলেন, ‘নির্বাচন হবে কি হবে না, এই বিষয়টি নিয়ে আমরা কোন রাজনৈতিক দলের বক্তব্যে সচেতন হতে চাই না। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নির্দেশনা অনুযায়ী, আমরা চলমান প্রস্তুতিতে সচেষ্ট। বিগত কয়েক মাস ধরে নির্বাচন প্রস্তুতি জোরদার করা হয়েছে, যাতে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে, রমজানের আগে নির্বাচনের কাজ সম্পন্ন করা যায়।’

তিনি বলেন, ‘আনুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত নয়। এটি নিয়ে কি এবং কেন বিতর্ক হচ্ছে, তা আমি বিবেচনায় নিচ্ছি না। যদি আইন পরিবর্তন হয়, তাহলে এই পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে।’

সিইসি আরও জানান, ‘নির্বাচনের জন্য সেনাবাহিনীকে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। আগে যা ছিল ডিস্ট্রিক্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বা পুলিশ সুপার, তাদের দায়িত্বে একেবারেই পরিবর্তন আসছে না। সেনাবাহিনীকে শুধু আইন-শৃঙ্খলার জন্য ব্যবহারের প্রক্রিয়া চলছে।’

প্রাধান্য দিয়ে বলেন, ‘বিগত সরকার আমলে নিযুক্ত নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ওপর কোনও বদল আনা হয়নি। বর্তমানে কমিশনের কাছে মোট ৫৭০০ কর্মকর্তা রয়েছেন, যারা আগে থেকেই দায়িত্ব পালনে অভ্যস্ত। তবে যারা স্বপ্রণোদিত হয়ে আগের নির্বাচনে অনিয়ম করে থাকতেন, তাদের আর দলে রাখার পরিকল্পনা নেই।’

সরকারের প্রতি কোনও চাপ রয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সরকার থেকে এখনও পর্যন্ত কোনো চাপ আমি পাইনি। যদি চাপ দেয়, আমি আমার দায়িত্ব থেকে সরব। আমি চেয়ার ছেড়ে দেব, কোনও আপোষ করবো না।’

প্রসঙ্গত, তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বর্তমানে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নেই। তাদের বিচারে দেরি হচ্ছে। বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত, তারা নির্বাচনে অংশ নেবে না। কিছুটা সময় লাগবে, দেখা যাক আচরণে কেমন প্রভাব পড়ে।’

সিইসি আশ্বাস দেন, ‘ভোটের সময় পরিস্থিতি আরও উন্নত হবে। আগামি ফেব্রুয়ারির আগে নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য জোর প্রস্তুতি চলছে। যারা ভোটের কেন্দ্রে অস্ত্র ও অন্য অসামাজিক সুবিধা দখলের স্বপ্ন দেখছেন, তাদের স্বপ্ন ভঙ্গ হবে।’

তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘ব ভোট কেন্দ্রে দখল বা অস্ত্রের আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভোট কেন্দ্রে অবৈধ প্রস্তুতি নেওয়া বা জোরপূর্বক দখল করা হলে তার ফলাফল বাতিল করা হবে।’

সভায় তিনি রাজশাহী অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তাদের নানা দিকনির্দেশনা দেন যাতে তারা আগামী দিনের নির্বাচনী পরিস্থিতি চালানোর ব্যাপারে প্রস্তুত থাকেন।