০২:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
শুক্রবারের মধ্যে জুলাই সংবিধানের চূড়ান্ত রোডম্যাপ প্রকাশের আশা স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট নভেম্বরের মধ্যে চায় জামায়াত হাসিনার বিরুদ্ধে আজ সাক্ষ্য দেবেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এনবিআরের সিদ্ধান্ত: এমপি কোটার ৩০ বিলাসবহুল গাড়ি নিলামে বিক্রির পরিবর্তে হস্তান্তর মেনন-পলক-দস্তগীরসহ চারজনের বিরুদ্ধে নতুন মামলায় গ্রেফতার তীব্র যানজটে আটকা পড়ে সড়ক উপদেষ্টা মোটরসাইকেলে গন্তব্যে পৌঁছেছেন ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের পাশে আবর্জনার স্তূপ ঢেকে দেওয়া হলো বিশিষ্ট উপদেষ্টার আগমনের জন্য পাঁচ দিন ধরে সাগরে ভাসমান ২৬ জেলেকে উদ্ধার করলো নৌ বাহিনী প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ: দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার প্রত্যয়

এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদ একীভূত হচ্ছে

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও গণঅধিকার পরিষদ একীভূত হওয়ার আলোচনা ইতিবাচক হিসেবে চলছে বলে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন জানিয়েছেন। তিনি অনুরোধ করেছেন, এই আলোচনা ও সম্ভাব্য ঐক্যকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কোনো মন্তব্য যেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে না করা হয়। রোববার রাতে নিজের ফেসবুক পাতায় তিনি এই অনুরোধ জানান।

রাশেদ খাঁন বলেছেন, তরুণরা ঐক্যবদ্ধ হওয়ার এই আলোচনা ইতিবাচক দিক দিয়ে এগুচ্ছে। যদি নির্দিষ্টভাবে না হয়ে, তবে ঐক্যবদ্ধভাবে পথচলা শুরু হলে দেশের রাজনীতিতে অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। ভবিষ্যতে সক্রিয় রাজনীতি ও আন্দোলনের ইতিহাসে এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদের অনেক ভূমিকা রয়েছে, যার মধ্যে ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন, ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচন ও ২০২১ সালের মোদির আগমন বিরোধী আন্দোলন উল্লেখযোগ্য।

২০২৪ সালে গণঅভ্যুত্থানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্ল্যাটফর্মে এই দুই সংগঠন একত্রে কাজ করছে, যা এক ধরনের সখ্যতা সৃষ্টি করেছে। রাশেদ খাঁন বলেন, দেশের তরুণ সমাজও এই প্রত্যাশা করছে যে, তারা এক হয়ে কাজ করবে। এই প্রক্রিয়া চলমান থাকাকালীন, উভয় পক্ষের নেতারা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রাখছেন এবং সমাজে এই ঐক্যকে বাধাগ্রস্ত করে এমন মনোভাব পরিহার করতে অনুরোধ করছেন।

অন্যদিকে, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রধান সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী মন্তব্য করেছেন যে, রাজনৈতিক দৃশ্যপটে তিনটি শক্তিশালী ব্লক তৈরি হচ্ছে। একদিকে ইসলামিক ব্লক, অন্যদিকে বিএনপির নেতৃত্বে আরেকটি ব্লক, এবং সর্বশেষ এনসিপি নেতৃত্বাধীন একটি মুক্ত ও স্বতন্ত্র জোট। এই জোটটি তরুণদের নিয়ে গঠিত সবচেয়ে বড় দল হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এনসিপি নেতারা ভবিষ্যতে শাপলা প্রতীকের মাধ্যমে ভোট দিয়ে প্রায় ১৫০টি আসন পেতে পারেন বলেও দাবি করেন। তিনি উল্লেখ করেন, বিএনপি বা জামায়াতের সঙ্গে জোট হচ্ছে না; তারা স্বতন্ত্রভাবে কাজ করবে। ভবিষ্যতে, এই দলের নেতৃত্বে তরুণদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা and গণমাধ্যমে তাদের অগ্রসরতা তুলে ধরা হবে বলে জানান তিনি।

প্রশ্নের জবাবে, নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী স্বীকার করেন যে, গণঅভ্যুত্থান ও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য এ ব্যাপারে আলোচনা চলছে এবং আদর্শিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘কথাবার্তা চলছে; আমরা সম্মত হয়েছি। কীভাবে এগোবে, সেটার পরিকল্পনা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।’ এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক আরও জানান, গত ১৫ বছরে বিভিন্ন ব্যানার ও শক্তির সমন্বয়ে বৃহত্তর তরুণ ঐক্য গড়ে তুলতে এগোচ্ছেন তারা।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, এ বৃহৎ জোটে অন্তত ১৫০টি আসন থাকবে। ভবিষ্যতে, যেখানে জামায়াত থেকে তরুণরা, বিএনপি থেকে অংশ নেওয়া তরুণরা অংশগ্রহণ করছে, তাদেরকে বিভিন্ন জায়গায় সমর্থন দেওয়া হবে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, এই দেশপ্রেমিক তরুণদের জন্য আগামীতে সংসদে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির কোনও প্রভাব থাকবে না—ব্যালটের মাধ্যমে এই ব্যবস্থা বদলে দেওয়া হবে বলে বিশ্বাস করেন।

এনসিপির সংগঠনের প্রতীক ও নাম রাখা হবে একই, অন্য দলের প্রতীকগুলো বিলুপ্ত হবে এবং এনসিপির আওতায় আরও নতুন দল ও ব্যানার যুক্ত হবে বলে জানান তিনি। উল্লেখ্য, এই সমাবেশ ও প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এক বিশাল রাজনৈতিক পার্টি গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদ একীভূত হচ্ছে

প্রকাশিতঃ ০৮:০৮:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও গণঅধিকার পরিষদ একীভূত হওয়ার আলোচনা ইতিবাচক হিসেবে চলছে বলে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন জানিয়েছেন। তিনি অনুরোধ করেছেন, এই আলোচনা ও সম্ভাব্য ঐক্যকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কোনো মন্তব্য যেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে না করা হয়। রোববার রাতে নিজের ফেসবুক পাতায় তিনি এই অনুরোধ জানান।

রাশেদ খাঁন বলেছেন, তরুণরা ঐক্যবদ্ধ হওয়ার এই আলোচনা ইতিবাচক দিক দিয়ে এগুচ্ছে। যদি নির্দিষ্টভাবে না হয়ে, তবে ঐক্যবদ্ধভাবে পথচলা শুরু হলে দেশের রাজনীতিতে অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। ভবিষ্যতে সক্রিয় রাজনীতি ও আন্দোলনের ইতিহাসে এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদের অনেক ভূমিকা রয়েছে, যার মধ্যে ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন, ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচন ও ২০২১ সালের মোদির আগমন বিরোধী আন্দোলন উল্লেখযোগ্য।

২০২৪ সালে গণঅভ্যুত্থানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্ল্যাটফর্মে এই দুই সংগঠন একত্রে কাজ করছে, যা এক ধরনের সখ্যতা সৃষ্টি করেছে। রাশেদ খাঁন বলেন, দেশের তরুণ সমাজও এই প্রত্যাশা করছে যে, তারা এক হয়ে কাজ করবে। এই প্রক্রিয়া চলমান থাকাকালীন, উভয় পক্ষের নেতারা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রাখছেন এবং সমাজে এই ঐক্যকে বাধাগ্রস্ত করে এমন মনোভাব পরিহার করতে অনুরোধ করছেন।

অন্যদিকে, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রধান সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী মন্তব্য করেছেন যে, রাজনৈতিক দৃশ্যপটে তিনটি শক্তিশালী ব্লক তৈরি হচ্ছে। একদিকে ইসলামিক ব্লক, অন্যদিকে বিএনপির নেতৃত্বে আরেকটি ব্লক, এবং সর্বশেষ এনসিপি নেতৃত্বাধীন একটি মুক্ত ও স্বতন্ত্র জোট। এই জোটটি তরুণদের নিয়ে গঠিত সবচেয়ে বড় দল হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এনসিপি নেতারা ভবিষ্যতে শাপলা প্রতীকের মাধ্যমে ভোট দিয়ে প্রায় ১৫০টি আসন পেতে পারেন বলেও দাবি করেন। তিনি উল্লেখ করেন, বিএনপি বা জামায়াতের সঙ্গে জোট হচ্ছে না; তারা স্বতন্ত্রভাবে কাজ করবে। ভবিষ্যতে, এই দলের নেতৃত্বে তরুণদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা and গণমাধ্যমে তাদের অগ্রসরতা তুলে ধরা হবে বলে জানান তিনি।

প্রশ্নের জবাবে, নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী স্বীকার করেন যে, গণঅভ্যুত্থান ও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য এ ব্যাপারে আলোচনা চলছে এবং আদর্শিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘কথাবার্তা চলছে; আমরা সম্মত হয়েছি। কীভাবে এগোবে, সেটার পরিকল্পনা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।’ এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক আরও জানান, গত ১৫ বছরে বিভিন্ন ব্যানার ও শক্তির সমন্বয়ে বৃহত্তর তরুণ ঐক্য গড়ে তুলতে এগোচ্ছেন তারা।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, এ বৃহৎ জোটে অন্তত ১৫০টি আসন থাকবে। ভবিষ্যতে, যেখানে জামায়াত থেকে তরুণরা, বিএনপি থেকে অংশ নেওয়া তরুণরা অংশগ্রহণ করছে, তাদেরকে বিভিন্ন জায়গায় সমর্থন দেওয়া হবে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, এই দেশপ্রেমিক তরুণদের জন্য আগামীতে সংসদে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির কোনও প্রভাব থাকবে না—ব্যালটের মাধ্যমে এই ব্যবস্থা বদলে দেওয়া হবে বলে বিশ্বাস করেন।

এনসিপির সংগঠনের প্রতীক ও নাম রাখা হবে একই, অন্য দলের প্রতীকগুলো বিলুপ্ত হবে এবং এনসিপির আওতায় আরও নতুন দল ও ব্যানার যুক্ত হবে বলে জানান তিনি। উল্লেখ্য, এই সমাবেশ ও প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এক বিশাল রাজনৈতিক পার্টি গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।