০২:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
শুক্রবারের মধ্যে জুলাই সংবিধানের চূড়ান্ত রোডম্যাপ প্রকাশের আশা স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট নভেম্বরের মধ্যে চায় জামায়াত হাসিনার বিরুদ্ধে আজ সাক্ষ্য দেবেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এনবিআরের সিদ্ধান্ত: এমপি কোটার ৩০ বিলাসবহুল গাড়ি নিলামে বিক্রির পরিবর্তে হস্তান্তর তীব্র যানজটে আটকা পড়ে সড়ক উপদেষ্টা মোটরসাইকেলে গন্তব্যে পৌঁছেছেন ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের পাশে আবর্জনার স্তূপ ঢেকে দেওয়া হলো বিশিষ্ট উপদেষ্টার আগমনের জন্য পাঁচ দিন ধরে সাগরে ভাসমান ২৬ জেলেকে উদ্ধার করলো নৌ বাহিনী মেনন-পলক-দস্তগীরসহ চারজনের বিরুদ্ধে নতুন মামলায় গ্রেফতার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ: দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার প্রত্যয়

এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদ একীভূত হচ্ছে

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং গণঅধিকার পরিষদ ইতিবাচকভাবে এক হওয়ার আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বিশেষভাবে অনুরোধ করেছেন যে, এই ব্যাপারে আলোচনা বা ঐক্যপ্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো নেতিবাচক মন্তব্য না করা হোক, যাতে প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত না করে। রোববার রাতে নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে রাশেদ খাঁন বলেন, তরুণরা ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য আলোচনা খুবই ইতিবাচকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। যদি এই ঐক্য আরও শক্তিশালীভাবে শুরু হয়, তাহলে দেশের রাজনীতিতে অনেক পরিবর্তন আসবে। উল্লেখ্য, এই দুই দলের নেতাকর্মীরা বহু বার একসাথে রাস্তায় দাঁড়িয়েছে, ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন, ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচন, ২০২১ সালের মোদির আগমনের বিরোধী আন্দোলনসহ বিভিন্ন সময় রাজপথে একসাথে কার্যক্রম চালিয়েছেন, যার মাধ্যমে তাদের মধ্যে দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া গণঅভ্যুত্থানেও এই দুই দলের এক সঙ্গে আন্দোলনের বিষয়টি দৃশ্যমান হচ্ছে, যা তরুণ সমাজের মধ্যে এক সখ্যতা সৃষ্টি করেছে। রাশেদ খাঁন আরও উল্লেখ করেন, এখনো উভয় দলের নেতাদের মধ্যে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বিদ্যমান থাকায়, তিনি অনুরোধ করেন যে, পক্ষপাতমূলক বা নেতিবাচক মন্তব্যগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এড়িয়ে চলা হোক। অন্যদিকে, এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী মন্তব্য করেন, বর্তমানে দেশে তিনটি বড় রাজনৈতিক ব্লক তৈরি হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। তিনি বলেন, একদিকে রয়েছে স্বতন্ত্রভাবে এনসিপির নেতৃত্বে বড় একটি জোট, অন্যদিকে ইসলামপন্থী ব্লক এবং বিএনপি নেতৃত্বাধীন ব্লক। তবে, তিনি নিশ্চিত করেছেন যে, এনসিপি গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে একীভূত হওয়ার গুঞ্জন সত্যি। নির্বাচন ভবনে গতকাল সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক শেষে তিনি বলেন, প্রযুক্তিগত ও প্রচারমূলক দিক নিয়ে আলোচনা চলছে। নাসীরুদ্দীন দাবি করেন, এনসিপি আগামী দিনে শাপলা প্রতীকে ভোট পেয়ে দেড়শো আসন লাভের আশা করছে। তিনি বলেন, এই বিভক্তির মধ্যে তিনটি ব্লক তৈরি হচ্ছে— একটি হলো ইসলামি, অন্যটি বিএনপির নেতৃত্বে, আর তৃতীয়টি হলো এনসিপির নেতৃত্বে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, এনসিপি বিএনপি বা জামায়াতের সঙ্গে নেই এবং তাদের উদ্দেশ্য স্বতন্ত্র থাকা। তিনি আরও জানান, তরুণদের নিয়ে কাজ করে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে, পাশাপাশি গণমাধ্যমে সেগুলো তুলে ধরা হবে। গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে এনসিপির একীভূত হওয়ার ব্যাপারে তিনি স্বীকার করেন, এই প্রক্রিয়া চলমান এবং আদর্শগত বিষয়ে তারা পুরোপুরি সম্মত। তিনি বলেন, দীর্ঘদিনের আন্দোলনের অভিজ্ঞতা ও তরুণদের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে তারা একসঙ্গে কাজ করবেন। সব ব্যানার ও আন্দোলনের লড়াইগুলো যেন এক করে টেনে আনা হচ্ছে বলে জানান। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, বৃহৎ এই ঐক্যতানে এনসিপির হাতে ভবিষ্যতে ১৫০টির বেশি আসন থাকবে। তিনি উল্লেখ করেন, যেখানে জামায়াতের বা বিএনপির তরুণরা অংশ নিয়েছিল, তাদের প্রতি সম্মান দেখানো হবে। নাসীরুদ্দীন উল্লেখ করেন, ভবিষ্যতে সংসদে আওয়ামী লীগ বা জাতীয় পার্টি থাকবে না, বরং ভোটের মাধ্যমে এই দলগুলো পরাজিত হবে। শেষ السؤالে, যদি গণঅধিকার পরিষদ এনসিপির সঙ্গে একত্রিত হয়, তাহলে প্রতীক কি থাকছে, প্রশ্নের জবাবে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, দলের নাম ও প্রতীক হিসেবে থাকবে এনসিপি। অন্য দলের মার্কা বা প্রতীক বিলুপ্ত হবে এবং আরও বিভিন্ন দলও এই ঐক্যের আওতায় আসবে, যা বৃহৎ এক পার্টি গঠনের পথ প্রশস্ত করবে।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদ একীভূত হচ্ছে

প্রকাশিতঃ ১০:০৭:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং গণঅধিকার পরিষদ ইতিবাচকভাবে এক হওয়ার আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বিশেষভাবে অনুরোধ করেছেন যে, এই ব্যাপারে আলোচনা বা ঐক্যপ্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো নেতিবাচক মন্তব্য না করা হোক, যাতে প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত না করে। রোববার রাতে নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে রাশেদ খাঁন বলেন, তরুণরা ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য আলোচনা খুবই ইতিবাচকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। যদি এই ঐক্য আরও শক্তিশালীভাবে শুরু হয়, তাহলে দেশের রাজনীতিতে অনেক পরিবর্তন আসবে। উল্লেখ্য, এই দুই দলের নেতাকর্মীরা বহু বার একসাথে রাস্তায় দাঁড়িয়েছে, ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন, ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচন, ২০২১ সালের মোদির আগমনের বিরোধী আন্দোলনসহ বিভিন্ন সময় রাজপথে একসাথে কার্যক্রম চালিয়েছেন, যার মাধ্যমে তাদের মধ্যে দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া গণঅভ্যুত্থানেও এই দুই দলের এক সঙ্গে আন্দোলনের বিষয়টি দৃশ্যমান হচ্ছে, যা তরুণ সমাজের মধ্যে এক সখ্যতা সৃষ্টি করেছে। রাশেদ খাঁন আরও উল্লেখ করেন, এখনো উভয় দলের নেতাদের মধ্যে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বিদ্যমান থাকায়, তিনি অনুরোধ করেন যে, পক্ষপাতমূলক বা নেতিবাচক মন্তব্যগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এড়িয়ে চলা হোক। অন্যদিকে, এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী মন্তব্য করেন, বর্তমানে দেশে তিনটি বড় রাজনৈতিক ব্লক তৈরি হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। তিনি বলেন, একদিকে রয়েছে স্বতন্ত্রভাবে এনসিপির নেতৃত্বে বড় একটি জোট, অন্যদিকে ইসলামপন্থী ব্লক এবং বিএনপি নেতৃত্বাধীন ব্লক। তবে, তিনি নিশ্চিত করেছেন যে, এনসিপি গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে একীভূত হওয়ার গুঞ্জন সত্যি। নির্বাচন ভবনে গতকাল সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক শেষে তিনি বলেন, প্রযুক্তিগত ও প্রচারমূলক দিক নিয়ে আলোচনা চলছে। নাসীরুদ্দীন দাবি করেন, এনসিপি আগামী দিনে শাপলা প্রতীকে ভোট পেয়ে দেড়শো আসন লাভের আশা করছে। তিনি বলেন, এই বিভক্তির মধ্যে তিনটি ব্লক তৈরি হচ্ছে— একটি হলো ইসলামি, অন্যটি বিএনপির নেতৃত্বে, আর তৃতীয়টি হলো এনসিপির নেতৃত্বে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, এনসিপি বিএনপি বা জামায়াতের সঙ্গে নেই এবং তাদের উদ্দেশ্য স্বতন্ত্র থাকা। তিনি আরও জানান, তরুণদের নিয়ে কাজ করে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে, পাশাপাশি গণমাধ্যমে সেগুলো তুলে ধরা হবে। গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে এনসিপির একীভূত হওয়ার ব্যাপারে তিনি স্বীকার করেন, এই প্রক্রিয়া চলমান এবং আদর্শগত বিষয়ে তারা পুরোপুরি সম্মত। তিনি বলেন, দীর্ঘদিনের আন্দোলনের অভিজ্ঞতা ও তরুণদের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে তারা একসঙ্গে কাজ করবেন। সব ব্যানার ও আন্দোলনের লড়াইগুলো যেন এক করে টেনে আনা হচ্ছে বলে জানান। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, বৃহৎ এই ঐক্যতানে এনসিপির হাতে ভবিষ্যতে ১৫০টির বেশি আসন থাকবে। তিনি উল্লেখ করেন, যেখানে জামায়াতের বা বিএনপির তরুণরা অংশ নিয়েছিল, তাদের প্রতি সম্মান দেখানো হবে। নাসীরুদ্দীন উল্লেখ করেন, ভবিষ্যতে সংসদে আওয়ামী লীগ বা জাতীয় পার্টি থাকবে না, বরং ভোটের মাধ্যমে এই দলগুলো পরাজিত হবে। শেষ السؤالে, যদি গণঅধিকার পরিষদ এনসিপির সঙ্গে একত্রিত হয়, তাহলে প্রতীক কি থাকছে, প্রশ্নের জবাবে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, দলের নাম ও প্রতীক হিসেবে থাকবে এনসিপি। অন্য দলের মার্কা বা প্রতীক বিলুপ্ত হবে এবং আরও বিভিন্ন দলও এই ঐক্যের আওতায় আসবে, যা বৃহৎ এক পার্টি গঠনের পথ প্রশস্ত করবে।