০২:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
আন্তর্জাতিকভাবে দাবি জানানোয় বন্দিদের মুক্তি ঘোষণা বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর দোয়ার আবেদন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্কটকালে মায়ের স্নেহ পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমারও: তারেক রহমান মৌসুমি সবজি বাজারে ভরপুর, দাম কমে গেছে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় দোয়া ও মোনাজাত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের জন্য ভর্তুকির দাবি আরব আমিরাতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া ২৪ ব্যক্তির মুক্তি আসছে বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা মনের আকাঙ্ক্ষা ও রাজনৈতিক বাস্তবতার মধ্যে দ্বন্দ্ব: তারেক রহমানের মন্তব্য বাজারে মৌসুমি সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি ও দাম কমে যাচ্ছে

নাশকতার মামলায় মির্জা আব্বাসসহ ১৬৭ নেতাকর্মীর মুক্তি

রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় নাশকতার একটি মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ মোট ১৬৭ জনকে অব্যাহতির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশ কর্তৃক দাখিলীত চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এই সকল আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি বলে উল্লেখ করে সোমবার (১৩ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক সাব্বির ফয়েজ এ আদেশ দেন। এই রায়ের মাধ্যমে অব্যাহতি পান আরও উল্লেখযোগ্য বিএনপি নেতারা, যেমন- জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, দলের উপদেষ্টা কফিল উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব, মিডিয়া ইউং শামসুদ্দিন দিদার, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমুনুল ইসলাম ও নিপুন রায়, যুবদলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মনজু, ঢাকা দক্ষিণ ছাত্রদলের সভাপতি জহির উদ্দিন তুহিনসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা। এর আগে বিএনপির আপোষহীন নেতা মির্জা আব্বাসের আইনজীবী মহি উদ্দিন চৌধুরী এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, সম্প্রতি এই মামলার তদন্তে জানা গেছে, অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি; ফলে পুলিশ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে এবং আদালত সেই প্রতিবেদন গ্রহণ করে অভিযোগ থেকে তাদের মুক্তির আদেশ দেন। তিনি আরও বলছেন, ফ্যাসিবাদী সরকারের অন্যায় মিথ্যা মামলায় দেরিতে হলেও আমরা সত্যের বিজয় দেখেছি। সংক্ষেপে উল্লেখ্য, অভিযোগ মতে, ২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর বিএনপি নেত্রী আফরোজা আব্বাসের নেতৃত্বে একটি মিছিল ফকিরাপুলের দিক থেকে শো-ডাউনের মাধ্যমে নয়া পল্টনের বিএনপি কেন্দয় কার্যালয়ে আসে। এরপর নেতিবাচক নেতৃত্বে দুটি আরো মিছিল একই পথে শো-ডাউন করে। আসামিরা বৃহৎ সংখ্যক জনগণের উপস্থিতে সেই মিছিলে অংশ নেয় এবং নয়াপল্টনে ভিআইপি রোড বন্ধ করে অবরোধ সৃষ্টি করে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। পুলিশ তাদের রাস্তার একলেন খোলার অনুরোধ করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁদের উপর আক্রমণ সূচিত করে। আরও বলা হয়, পূর্ব পরিকল্পনায় মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে অবৈধ জনসমাবেশ করে বিএনপির পার্টি অফিস থেকে লাঠিসোঁটা নিয়ে নয়াপল্টনের ভিআইপি রোডে যাওয়ার জন্য হকস বে নামে একটি গাড়ির শো-রুমের পাশে রাস্তার উপর সরকারি একটি ডাবল কেবিন পিকআপ পুড়ে দুটির মূল্য প্রায় ৬০ লাখ টাকা। এ সময় তারা পুলিশকে বাধা দিয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। তারা সরকারি কাজে বাধা দিয়ে পুলিশকে অতর্কিতে আঘাত করে, অন্তত একটি সরকারি গাড়িতে আগুন দেয়। এর ফলে দুই পক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কির সৃষ্টি হয়, যার ফলে কিছু পুলিশ সদস্য আহত হয়। আহত পুলিশ সদস্যদের রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনায়, পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক মো. আল আমিন বাদী হয়ে মামলা করেন, যার তদন্তে পুলিশ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। সংশ্লিষ্ট আদালত এই প্রতিবেদন গ্রহণ করে, আর সেই অনুযায়ী আসামিরা অব্যাহতি পান।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

নাশকতার মামলায় মির্জা আব্বাসসহ ১৬৭ নেতাকর্মীর মুক্তি

প্রকাশিতঃ ১০:৪৬:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় নাশকতার একটি মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ মোট ১৬৭ জনকে অব্যাহতির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশ কর্তৃক দাখিলীত চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এই সকল আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি বলে উল্লেখ করে সোমবার (১৩ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক সাব্বির ফয়েজ এ আদেশ দেন। এই রায়ের মাধ্যমে অব্যাহতি পান আরও উল্লেখযোগ্য বিএনপি নেতারা, যেমন- জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, দলের উপদেষ্টা কফিল উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব, মিডিয়া ইউং শামসুদ্দিন দিদার, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমুনুল ইসলাম ও নিপুন রায়, যুবদলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মনজু, ঢাকা দক্ষিণ ছাত্রদলের সভাপতি জহির উদ্দিন তুহিনসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা। এর আগে বিএনপির আপোষহীন নেতা মির্জা আব্বাসের আইনজীবী মহি উদ্দিন চৌধুরী এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, সম্প্রতি এই মামলার তদন্তে জানা গেছে, অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি; ফলে পুলিশ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে এবং আদালত সেই প্রতিবেদন গ্রহণ করে অভিযোগ থেকে তাদের মুক্তির আদেশ দেন। তিনি আরও বলছেন, ফ্যাসিবাদী সরকারের অন্যায় মিথ্যা মামলায় দেরিতে হলেও আমরা সত্যের বিজয় দেখেছি। সংক্ষেপে উল্লেখ্য, অভিযোগ মতে, ২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর বিএনপি নেত্রী আফরোজা আব্বাসের নেতৃত্বে একটি মিছিল ফকিরাপুলের দিক থেকে শো-ডাউনের মাধ্যমে নয়া পল্টনের বিএনপি কেন্দয় কার্যালয়ে আসে। এরপর নেতিবাচক নেতৃত্বে দুটি আরো মিছিল একই পথে শো-ডাউন করে। আসামিরা বৃহৎ সংখ্যক জনগণের উপস্থিতে সেই মিছিলে অংশ নেয় এবং নয়াপল্টনে ভিআইপি রোড বন্ধ করে অবরোধ সৃষ্টি করে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। পুলিশ তাদের রাস্তার একলেন খোলার অনুরোধ করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁদের উপর আক্রমণ সূচিত করে। আরও বলা হয়, পূর্ব পরিকল্পনায় মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে অবৈধ জনসমাবেশ করে বিএনপির পার্টি অফিস থেকে লাঠিসোঁটা নিয়ে নয়াপল্টনের ভিআইপি রোডে যাওয়ার জন্য হকস বে নামে একটি গাড়ির শো-রুমের পাশে রাস্তার উপর সরকারি একটি ডাবল কেবিন পিকআপ পুড়ে দুটির মূল্য প্রায় ৬০ লাখ টাকা। এ সময় তারা পুলিশকে বাধা দিয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। তারা সরকারি কাজে বাধা দিয়ে পুলিশকে অতর্কিতে আঘাত করে, অন্তত একটি সরকারি গাড়িতে আগুন দেয়। এর ফলে দুই পক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কির সৃষ্টি হয়, যার ফলে কিছু পুলিশ সদস্য আহত হয়। আহত পুলিশ সদস্যদের রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনায়, পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক মো. আল আমিন বাদী হয়ে মামলা করেন, যার তদন্তে পুলিশ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। সংশ্লিষ্ট আদালত এই প্রতিবেদন গ্রহণ করে, আর সেই অনুযায়ী আসামিরা অব্যাহতি পান।