গুমের বিরুদ্ধে রাতারাতি কঠোর শাস্তির উদ্যোগ নিয়ে ‘গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার অধ্যাদেশ, ২০২৫’ নামে একটি নতুন আইন জারি করেছে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এই উদ্যোগের আওতায় গুমের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এই অধ্যাদেশটি গত সোমবার সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হয়েছে, এবং এর আগে ৬ নভেম্বর উপদেষ্টা পরিষদ তার খসড়াটি চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়।
অধ্যাদেশ অনুযায়ী, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে গুমের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ও প্রতিকার জন্য ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হবে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এই আইনের অধীনে গুমের সংশ্লিষ্ট অপরাধের জন্য জামিন ও আপসের সুযোগ দেওয়া হবে না। সংজ্ঞা অনুযায়ী, যদি কোনো সরকারি কর্মকর্তা বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য কোনও ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার, আটক বা অপহরণ করে থাকেন এবং এরপর তার অবস্থান বা অবস্থা গোপন রাখেন বা বিষয়টি অস্বীকার করেন, তাহলে সেটি গুম বা শাস্তিযোগ্য ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এই অপরাধের জন্য দায়ীদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা ১০ বছরের বেশি কারাদণ্ডেও দণ্ডিত করা হতে পারে।
অধিরাদেশে বলা হয়, যদি কোনও ব্যক্তির গুমের পর মৃত্যু ঘটে বা পাঁচ বছর পার হলেও তাকে জীবিত বা মৃত অবস্থা में উদ্ধার সম্ভব না হয়, তাহলে দায়ী ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। আরও বলা হয়, গুমের সাক্ষ্য-প্রমাণ নষ্ট, গোপন কেন্দ্র নির্মাণ বা ব্যবহারের জন্য সাত বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
এছাড়া, যদি কোনও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বা দলনেতা এই ধরনের অপরাধ সংঘটনে তাদের অধীনস্তদের আদেশ, অনুমতি বা প্ররোচনা দেন বা সরাসরি অংশগ্রহণ করেন, তবে সেই কর্মকর্তাও মূল অপরাধের জন্য দণ্ডিত হবেন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহেলা বা অদক্ষতার কারণে যদি অধস্তনরা এ ধরনের অপরাধ করে থাকেন, তাহলে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও দায়ীদেরও শান দিতে হবে শাস্তি। এই আইন শৃঙ্খলা রক্ষা এবং কর্মকর্তাদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে গুমের মতো জঘন্য অপরাধের বিরুদ্ধে একটি কঠোর বার্তা প্রদান করেছে।
শ্রীমঙ্গল২৪ ডেস্ক 

























