০৭:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
শুক্রবারের মধ্যে জুলাই সংবিধানের চূড়ান্ত রোডম্যাপ প্রকাশের আশা স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট নভেম্বরের মধ্যে চায় জামায়াত হাসিনার বিরুদ্ধে আজ সাক্ষ্য দেবেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এনবিআরের সিদ্ধান্ত: এমপি কোটার ৩০ বিলাসবহুল গাড়ি নিলামে বিক্রির পরিবর্তে হস্তান্তর তীব্র যানজটে আটকা পড়ে সড়ক উপদেষ্টা মোটরসাইকেলে গন্তব্যে পৌঁছেছেন ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের পাশে আবর্জনার স্তূপ ঢেকে দেওয়া হলো বিশিষ্ট উপদেষ্টার আগমনের জন্য পাঁচ দিন ধরে সাগরে ভাসমান ২৬ জেলেকে উদ্ধার করলো নৌ বাহিনী মেনন-পলক-দস্তগীরসহ চারজনের বিরুদ্ধে নতুন মামলায় গ্রেফতার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ: দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার প্রত্যয়

গত অর্থবছরে ৬ হাজার ১৪৫ কোটি টাকার মাছ রপ্তানি

2024-’25 অর্থবছরে বাংলাদেশ বিদেশে প্রায় ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকার মাছ ও মৎস্যজাত পণ্য রপ্তানি করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো দেশের মাছের উৎপাদন мөл্যা, যা এখন পর্যন্ত ৫০.১৮ লাখ মেট্রিক টন ছাড়িয়েছে। দেশের প্রায় ১৪ লাখ নারীসহ দুই কোটি বেশি মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মৎস্য ক্ষেত্রের সঙ্গে জড়িত। মৎস্য খাত দেশের মোট জিডিপিতে প্রায় ২.৫৩ শতাংশ অবদান রাখে, আর কৃষিজ জিডিপিতে এর অংশ ২২.২৬ শতাংশ। বিশেষ করে বাংলাদেশ ইলিশ আহরণে বিশ্বে প্রথম স্থানাধিকার করে, অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ে মাছ উৎপাদনে দ্বিতীয় ও তেলাপিয়া মাছ উৎপাদনে পঞ্চম স্থান রয়েছে।

জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত একটি বিশেষ মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানানো হয়, যেখানে ‘মৎস্য সম্পদের স্থায়িত্বশীল উন্নয়ন এবং সর্বোত্তম ব্যবহার’ বিষয়ে আলোচনা হয়। খুলনাস্থ বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএফইএ) সম্মেলনকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বক্তারা আরও বলেন, বিদেশে মানসম্পন্ন মৎস্যপণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি পেলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার আয় আরও বৃদ্ধি পাবে। তবে এটি ধরে রাখতে হলে, পণ্য মানের মানদণ্ড বজায় রাখা জরুরি। মাছে কোনও অপদ্রব্য বা বিষ মিশলে ব্যবধানে আন্তর্জাতিক বাজার হারাতে হবে। এজন্য মাছের পোনা সংগ্রহ, চাষ, আহরণ, বাজারজাত ও প্রক্রিয়াজাতকরণের সব পর্যায়ে মান রক্ষা অত্যন্ত জরুরি।

তারা উল্লেখ করেন, একসময় বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশগুলোতে মাছ রপ্তানির মাধ্যমে দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও বর্তমানে চতুর্থ বা সপ্তম স্থানে নামতে হয়েছে। এ পরিস্থিতি পরিবর্তনের জন্য মানসম্পন্ন পোনা সরবরাহ ও মাছচাষে আরও সক্রিয় হওয়ার প্রয়োজন। দেশের স্থানীয় প্রজাতির মাছ রক্ষায় নেওয়া উদ্যোগগুলো বাস্তবায়নে কার্যকরী পদক্ষেপ প্রয়োজন।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিপুল কুমার বসাক। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বদরুজ্জামান, কোয়ালিটি কন্ট্রোল ল্যাবরেটরির মো. জাহিদুল হাসান এবং খুলনা মৎস্য পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রণ দপ্তরের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. আবুল হাসান।

এছাড়া, মৎস্য খাতে খুলনা অঞ্চলের অবদান, লাভজনক ও মানসম্পন্ন মাছচাষ, মৎস্য আইন-২০২০ এবং মৎস্য ও মৎস্যপণ্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে আলোচনা করেন কর্মকর্তারা। এই সভায় অংশ নেন বিভিন্ন মাছচাষি, ব্যবসায়ী ও রপ্তানি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

গত অর্থবছরে ৬ হাজার ১৪৫ কোটি টাকার মাছ রপ্তানি

প্রকাশিতঃ ১০:৪৯:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

2024-’25 অর্থবছরে বাংলাদেশ বিদেশে প্রায় ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকার মাছ ও মৎস্যজাত পণ্য রপ্তানি করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো দেশের মাছের উৎপাদন мөл্যা, যা এখন পর্যন্ত ৫০.১৮ লাখ মেট্রিক টন ছাড়িয়েছে। দেশের প্রায় ১৪ লাখ নারীসহ দুই কোটি বেশি মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মৎস্য ক্ষেত্রের সঙ্গে জড়িত। মৎস্য খাত দেশের মোট জিডিপিতে প্রায় ২.৫৩ শতাংশ অবদান রাখে, আর কৃষিজ জিডিপিতে এর অংশ ২২.২৬ শতাংশ। বিশেষ করে বাংলাদেশ ইলিশ আহরণে বিশ্বে প্রথম স্থানাধিকার করে, অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ে মাছ উৎপাদনে দ্বিতীয় ও তেলাপিয়া মাছ উৎপাদনে পঞ্চম স্থান রয়েছে।

জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত একটি বিশেষ মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানানো হয়, যেখানে ‘মৎস্য সম্পদের স্থায়িত্বশীল উন্নয়ন এবং সর্বোত্তম ব্যবহার’ বিষয়ে আলোচনা হয়। খুলনাস্থ বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএফইএ) সম্মেলনকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বক্তারা আরও বলেন, বিদেশে মানসম্পন্ন মৎস্যপণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি পেলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার আয় আরও বৃদ্ধি পাবে। তবে এটি ধরে রাখতে হলে, পণ্য মানের মানদণ্ড বজায় রাখা জরুরি। মাছে কোনও অপদ্রব্য বা বিষ মিশলে ব্যবধানে আন্তর্জাতিক বাজার হারাতে হবে। এজন্য মাছের পোনা সংগ্রহ, চাষ, আহরণ, বাজারজাত ও প্রক্রিয়াজাতকরণের সব পর্যায়ে মান রক্ষা অত্যন্ত জরুরি।

তারা উল্লেখ করেন, একসময় বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশগুলোতে মাছ রপ্তানির মাধ্যমে দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও বর্তমানে চতুর্থ বা সপ্তম স্থানে নামতে হয়েছে। এ পরিস্থিতি পরিবর্তনের জন্য মানসম্পন্ন পোনা সরবরাহ ও মাছচাষে আরও সক্রিয় হওয়ার প্রয়োজন। দেশের স্থানীয় প্রজাতির মাছ রক্ষায় নেওয়া উদ্যোগগুলো বাস্তবায়নে কার্যকরী পদক্ষেপ প্রয়োজন।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিপুল কুমার বসাক। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বদরুজ্জামান, কোয়ালিটি কন্ট্রোল ল্যাবরেটরির মো. জাহিদুল হাসান এবং খুলনা মৎস্য পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রণ দপ্তরের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. আবুল হাসান।

এছাড়া, মৎস্য খাতে খুলনা অঞ্চলের অবদান, লাভজনক ও মানসম্পন্ন মাছচাষ, মৎস্য আইন-২০২০ এবং মৎস্য ও মৎস্যপণ্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে আলোচনা করেন কর্মকর্তারা। এই সভায় অংশ নেন বিভিন্ন মাছচাষি, ব্যবসায়ী ও রপ্তানি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।