০৭:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
শুক্রবারের মধ্যে জুলাই সংবিধানের চূড়ান্ত রোডম্যাপ প্রকাশের আশা স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট নভেম্বরের মধ্যে চায় জামায়াত হাসিনার বিরুদ্ধে আজ সাক্ষ্য দেবেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এনবিআরের সিদ্ধান্ত: এমপি কোটার ৩০ বিলাসবহুল গাড়ি নিলামে বিক্রির পরিবর্তে হস্তান্তর তীব্র যানজটে আটকা পড়ে সড়ক উপদেষ্টা মোটরসাইকেলে গন্তব্যে পৌঁছেছেন ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের পাশে আবর্জনার স্তূপ ঢেকে দেওয়া হলো বিশিষ্ট উপদেষ্টার আগমনের জন্য পাঁচ দিন ধরে সাগরে ভাসমান ২৬ জেলেকে উদ্ধার করলো নৌ বাহিনী মেনন-পলক-দস্তগীরসহ চারজনের বিরুদ্ধে নতুন মামলায় গ্রেফতার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ: দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার প্রত্যয়

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবার ৩১ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবারো ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। গতকাল বুধবার দিনের শেষে গ্রস রিজার্ভে পৌঁছেছে ৩১ বিলিয়ন ৩৩ লাখ ডলার। একই সময়ে আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ৩১ লাখ ডলার। এর আগে রোববার গ্রস রিজার্ভ كانت ৩০ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলার এবং বিপিএম-৬ অনুযায়ী ছিল ২৫ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলার।

জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশ এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মাধ্যমে ২০২ কোটি ডলার পরিশোধ করে। এর ফলে গ্রস রিজার্ভ কমে যায় ২৯ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলারে এবং বিপিএম-৬ অনুযায়ী কমে আসে ২৪ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার।

বিশ্বস্ত রেমিট্যান্স প্রবাহ, রপ্তানি বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার ঋণের কারণে গত জুনের শেষের দিকে বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়ায় ৩১ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার, যা গত ২৮ মাসে সর্বোচ্চ।

এর আগে, মার্চের শুরুতে রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ডলার নিচে নেমেছিল। জুন শেষে আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলার, আর বিপিএম-৬ অনুযায়ী ছিল ২৪ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২০২৩ সালের জুন থেকে আইএমএফের শর্ত মেনে বিপিএম-৬ অনুযায়ী হিসাব প্রকাশ করছে।

বিশ্লেষকদের মতে, দেশের ইতিহাসে ২০২১ সালের আগস্টে প্রথমবারের মতো রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছিল। এরপর তা ধারাবাহিকভাবে কমে যায়, এবং গত জুলাইয়ে এটি নেমেছিল ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলারে। সরকার পতনের পর থেকে, অর্থ পাচার নিয়ন্ত্রণ ও অন্যান্য কারণে ডলার প্রবাহ বেড়েছে। হুন্ডি অর্থপ্রবাহ ব্যাপকভাবে কমে যাওয়ায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবাসী আয় প্রায় ২৭ শতাংশ বেড়ে ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলারতে পৌঁছেছে। চলতি অর্থবছরের ২০ আগস্ট পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছে ৪১২ কোটি ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৯ দশমিক ৬০ শতাংশ বেশি।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবার ৩১ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি

প্রকাশিতঃ ১০:৪৮:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৫

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবারো ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। গতকাল বুধবার দিনের শেষে গ্রস রিজার্ভে পৌঁছেছে ৩১ বিলিয়ন ৩৩ লাখ ডলার। একই সময়ে আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ৩১ লাখ ডলার। এর আগে রোববার গ্রস রিজার্ভ كانت ৩০ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলার এবং বিপিএম-৬ অনুযায়ী ছিল ২৫ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলার।

জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশ এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মাধ্যমে ২০২ কোটি ডলার পরিশোধ করে। এর ফলে গ্রস রিজার্ভ কমে যায় ২৯ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলারে এবং বিপিএম-৬ অনুযায়ী কমে আসে ২৪ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার।

বিশ্বস্ত রেমিট্যান্স প্রবাহ, রপ্তানি বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার ঋণের কারণে গত জুনের শেষের দিকে বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়ায় ৩১ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার, যা গত ২৮ মাসে সর্বোচ্চ।

এর আগে, মার্চের শুরুতে রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ডলার নিচে নেমেছিল। জুন শেষে আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলার, আর বিপিএম-৬ অনুযায়ী ছিল ২৪ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২০২৩ সালের জুন থেকে আইএমএফের শর্ত মেনে বিপিএম-৬ অনুযায়ী হিসাব প্রকাশ করছে।

বিশ্লেষকদের মতে, দেশের ইতিহাসে ২০২১ সালের আগস্টে প্রথমবারের মতো রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছিল। এরপর তা ধারাবাহিকভাবে কমে যায়, এবং গত জুলাইয়ে এটি নেমেছিল ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলারে। সরকার পতনের পর থেকে, অর্থ পাচার নিয়ন্ত্রণ ও অন্যান্য কারণে ডলার প্রবাহ বেড়েছে। হুন্ডি অর্থপ্রবাহ ব্যাপকভাবে কমে যাওয়ায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবাসী আয় প্রায় ২৭ শতাংশ বেড়ে ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলারতে পৌঁছেছে। চলতি অর্থবছরের ২০ আগস্ট পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছে ৪১২ কোটি ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৯ দশমিক ৬০ শতাংশ বেশি।