১২:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
জাতীয় স্বার্থে বস্তুনিষ্ঠ ও জবাবদিহীমূলক গণমাধ্যম অপরিহার্য: পরিবেশ উপদেষ্টা পল্লী বিদ্যুৎ কর্মীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কাজে ফিরতে নির্দেশ নারী ও শিশুদের জন্য সাইবার স্পেস নিরাপদ করতে উদ্যোগ জরুরি: উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশীদ নির্বাচনের সময় গণমাধ্যমের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ নিশ্চিতের আহ্বান আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস আজ চিকিৎসকদের মানবিকতা 강조 করে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার আহ্বান আগামী এক মাসের মধ্যে আলুর দাম কিছুটা বাড়তে পারে: বাণিজ্য উপদেষ্টার আশঙ্কা মৎস্য খাতে বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের অবদান দেশের গর্বের বিষয়: মৎস্য উপদেষ্টা মহানবী (সা.)-এর জীবনাদর্শ বিশ্বে শান্তি ও কল্যাণের পথ দেখাতে পারে মেধাভিত্তিক নিয়োগ হলে সকলেই দেশের সম্পদ হবেন: আসিফ মাহমুদ

সংকটের মুখে ফরিদা পারভীন, পাশে দাঁড়াতে চায় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়

রাজধানীর ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বাংলাদেশের বরেণ্য লালন সংগীত শিল্পী ফরিদা পারভীন। গত রবিবার রাতে তিনবারের বেশি বমি করেছেন তিনি। প্রয়োজনীয় সব পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে, যাতে দ্রুত ও সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা যায়।

এদিকে, শিল্পীর অসুস্থতার খবর টেড়ে বিপাক সৃষ্টি হয়েছে চিকিৎসক-শিল্পী পরিবার ও ভক্ত মহলে। আশঙ্কাজনক এই অবস্থায়, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় তার চিকিৎসার খরচ একেবারে 부담ের বাইরে যেখানে, অর্থ সহায়তার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। তাদের ব্যাখ্যায়, প্রয়োজন অনুযায়ী সর্বাত্মক সহযোগিতা দেওয়া হবে যেন তার চিকিৎসা চলমান থাকে।

পারিবারিক সূত্রের বরাতে জানা গেছে, ফরিদা পারভীন দীর্ঘদিন থেকে শারীরিক কিছু সমস্যা ভুগছিলেন। তার ফুসফুসে সংক্রমণ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি ও থাইরয়েডের অসুখের পাশাপাশি বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতা ছিল। বর্তমানে তার শ্বাসকষ্ট এবং কয়েকবার বমি হওয়ার সমস্যা গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছেছে। তিনি হাসপাতালে ভর্তি থাকায় পরিস্থিতি কিছুটা জটিল হয়ে পড়েছে।

সংগীতাঙ্গনে বিশেষ অবদানের জন্য পরিচিত এই শিল্পীর অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়তেই ভক্ত ও সহশিল্পীরাই দোয়া ও ভালোবাসায় মুখর হয়ে উঠেছেন। সবাই যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেন এই কামনা করছেন।

ফরিদা পারভীন তার সংগীত জীবনের শুরু ১৯৬৮ সালে রাজশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে। ১৯৭৩ সালে দেশাত্মবোধক গান গেয়ে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। সংগতভাবে, তিনি লালন সংগীতের প্রশিক্ষণ নেন শিল্পী মোকসেদ আলী শাহর কাছে। তিনি সংগীতাঙ্গনে তাঁর অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৮৭ সালে একুশে পদক পান। এছাড়াও, শিশুদের জন্য লালন সংগীত শিক্ষার জন্য তিনি ‘অচিন পাখি স্কুল’ নামে একটি গানের স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছেন, যা বহু শিশুর সংগীত শিক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা রাখছে।

ট্যাগ :

সংকটের মুখে ফরিদা পারভীন, পাশে দাঁড়াতে চায় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়

প্রকাশিতঃ ১০:৫২:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাজধানীর ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বাংলাদেশের বরেণ্য লালন সংগীত শিল্পী ফরিদা পারভীন। গত রবিবার রাতে তিনবারের বেশি বমি করেছেন তিনি। প্রয়োজনীয় সব পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে, যাতে দ্রুত ও সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা যায়।

এদিকে, শিল্পীর অসুস্থতার খবর টেড়ে বিপাক সৃষ্টি হয়েছে চিকিৎসক-শিল্পী পরিবার ও ভক্ত মহলে। আশঙ্কাজনক এই অবস্থায়, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় তার চিকিৎসার খরচ একেবারে 부담ের বাইরে যেখানে, অর্থ সহায়তার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। তাদের ব্যাখ্যায়, প্রয়োজন অনুযায়ী সর্বাত্মক সহযোগিতা দেওয়া হবে যেন তার চিকিৎসা চলমান থাকে।

পারিবারিক সূত্রের বরাতে জানা গেছে, ফরিদা পারভীন দীর্ঘদিন থেকে শারীরিক কিছু সমস্যা ভুগছিলেন। তার ফুসফুসে সংক্রমণ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি ও থাইরয়েডের অসুখের পাশাপাশি বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতা ছিল। বর্তমানে তার শ্বাসকষ্ট এবং কয়েকবার বমি হওয়ার সমস্যা গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছেছে। তিনি হাসপাতালে ভর্তি থাকায় পরিস্থিতি কিছুটা জটিল হয়ে পড়েছে।

সংগীতাঙ্গনে বিশেষ অবদানের জন্য পরিচিত এই শিল্পীর অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়তেই ভক্ত ও সহশিল্পীরাই দোয়া ও ভালোবাসায় মুখর হয়ে উঠেছেন। সবাই যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেন এই কামনা করছেন।

ফরিদা পারভীন তার সংগীত জীবনের শুরু ১৯৬৮ সালে রাজশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে। ১৯৭৩ সালে দেশাত্মবোধক গান গেয়ে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। সংগতভাবে, তিনি লালন সংগীতের প্রশিক্ষণ নেন শিল্পী মোকসেদ আলী শাহর কাছে। তিনি সংগীতাঙ্গনে তাঁর অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৮৭ সালে একুশে পদক পান। এছাড়াও, শিশুদের জন্য লালন সংগীত শিক্ষার জন্য তিনি ‘অচিন পাখি স্কুল’ নামে একটি গানের স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছেন, যা বহু শিশুর সংগীত শিক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা রাখছে।