১২:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
দুর্গাপূজায় ভারতে রপ্তানি হবে ১২০০ টন ইলিশ দুদকের হাসপাতালের বিল গ্রহণে আসামি, বরখাস্থ হয়েছেন পরিচালক খান মো. মীজানুল ইসলাম পুরানো দিনের বাইস্কোপ এখন শুধুই স্মৃতি যুক্তরাষ্ট্রের আয়রন ডোম প্রকল্পের নেতৃত্বে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শরিফুল খান ডাকসু নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের মডেল হিসেবে বিবেচিত হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাতীয় স্বার্থে বস্তুনিষ্ঠ ও জবাবদিহীমূলক গণমাধ্যম অপরিহার্য: পরিবেশ উপদেষ্টা পল্লী বিদ্যুৎ কর্মীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কাজে ফিরতে নির্দেশ নারী ও শিশুদের জন্য সাইবার স্পেস নিরাপদ করতে উদ্যোগ জরুরি: উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশীদ নির্বাচনের সময় গণমাধ্যমের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ নিশ্চিতের আহ্বান আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস আজ

কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ১৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার সংগ্রহ

বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার বাজারের স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে বিগত তিন অর্থবছর ধরে রিজার্ভ থেকে ব্যাপক পরিমাণে ডলার বিক্রি করলেও, এ বছর ভিন্ন পথে হাঁটছে। চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত সাত দফায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক মোট ৮১ কোটি ডলার থেকে বেশি কিনে নিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার, পাঁচটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছ থেকে মোট ১৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে, গত মঙ্গলবার আটটি ব্যাংকের কাছ থেকে ৪ কোটি ৭৫ লাখ ডলার সংগ্রহ করা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, বর্তমানে বাজারে ডলার চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি। এ কারণেই রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি না করে, ব্যাংকগুলো সরাসরি বাজার থেকে ডলার কিনছে। তার মতে, এই প্রক্রিয়া ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে, যাতে ডলার পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকে।

গতকাল কেনাকাটা বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ (এফএক্স) নিলাম কমিটির মাধ্যমে মাল্টিপল প্রাইস অকশন পদ্ধতিতে হয়। প্রতিটি ডলার বিক্রির হার ছিল ১২১ টাকা ৭৫ পয়সা।

এর আগে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক পাঁচ দফায় ডলার ক্রয় করেছে। ১৩ জুলাই ১৮টি ব্যাংকের কাছ থেকে ১২১.৫০ টাকায় ১৭ কোটি ১০ লাখ ডলার, ১৫ জুলাই একই দরে ৩১ কোটি ৩০ লাখ ডলার, ২৩ জুলাই ১২১.৯৫ টাকা দিয়ে ১ কোটি ডলার, ৭ আগস্ট ১২১.৩৫ থেকে ১২১.৫০ টাকায় ৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার, ১০ আগস্ট ১১টি ব্যাংকের কাছ থেকে ১২১.৪৭ থেকে ১২১.৫০ টাকায় ৮ কোটি ৩০ লাখ ডলার এবং ২ সেপ্টেম্বর ৮টি ব্যাংকের থেকে ৪ কোটি ৭৫ লাখ ডলার সংগ্রহ করা হয়। আজ ৪ সেপ্টেম্বর পাঁচটি ব্যাংকের কাছ থেকে মোট ১৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার কেনা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, ডলারের দ্রুত মূল্য বৃদ্ধি বা অস্বাভাবিক পতন অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। বর্তমানে দেশে খাদ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় মজুদ পর্যাপ্ত রয়েছে এবং বিদেশি দেনা পরিশোধও ঠিকমতো চলছে। ফলে, নিকট ভবিষ্যতে ডলারের চাহিদায় তীব্র বৃদ্ধি হওয়ার আশঙ্কা কম।

নির্বাহী কর্মকর্তারা জানান, এই ডলার ক্রয় রিজার্ভকে আরও শক্তিশালী করবে। পাশাপাশি, জাতীয় নির্বাচন ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এলে বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে, ফলে ডলারের চাহিদাও বাড়তে পারে।

ট্যাগ :

তোশিমিৎসু মোতেগি জাপানের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে দৌড়ে ঘোষে উঠলেন

কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ১৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার সংগ্রহ

প্রকাশিতঃ ১০:৪৯:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার বাজারের স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে বিগত তিন অর্থবছর ধরে রিজার্ভ থেকে ব্যাপক পরিমাণে ডলার বিক্রি করলেও, এ বছর ভিন্ন পথে হাঁটছে। চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত সাত দফায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক মোট ৮১ কোটি ডলার থেকে বেশি কিনে নিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার, পাঁচটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছ থেকে মোট ১৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে, গত মঙ্গলবার আটটি ব্যাংকের কাছ থেকে ৪ কোটি ৭৫ লাখ ডলার সংগ্রহ করা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, বর্তমানে বাজারে ডলার চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি। এ কারণেই রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি না করে, ব্যাংকগুলো সরাসরি বাজার থেকে ডলার কিনছে। তার মতে, এই প্রক্রিয়া ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে, যাতে ডলার পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকে।

গতকাল কেনাকাটা বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ (এফএক্স) নিলাম কমিটির মাধ্যমে মাল্টিপল প্রাইস অকশন পদ্ধতিতে হয়। প্রতিটি ডলার বিক্রির হার ছিল ১২১ টাকা ৭৫ পয়সা।

এর আগে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক পাঁচ দফায় ডলার ক্রয় করেছে। ১৩ জুলাই ১৮টি ব্যাংকের কাছ থেকে ১২১.৫০ টাকায় ১৭ কোটি ১০ লাখ ডলার, ১৫ জুলাই একই দরে ৩১ কোটি ৩০ লাখ ডলার, ২৩ জুলাই ১২১.৯৫ টাকা দিয়ে ১ কোটি ডলার, ৭ আগস্ট ১২১.৩৫ থেকে ১২১.৫০ টাকায় ৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার, ১০ আগস্ট ১১টি ব্যাংকের কাছ থেকে ১২১.৪৭ থেকে ১২১.৫০ টাকায় ৮ কোটি ৩০ লাখ ডলার এবং ২ সেপ্টেম্বর ৮টি ব্যাংকের থেকে ৪ কোটি ৭৫ লাখ ডলার সংগ্রহ করা হয়। আজ ৪ সেপ্টেম্বর পাঁচটি ব্যাংকের কাছ থেকে মোট ১৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার কেনা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, ডলারের দ্রুত মূল্য বৃদ্ধি বা অস্বাভাবিক পতন অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। বর্তমানে দেশে খাদ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় মজুদ পর্যাপ্ত রয়েছে এবং বিদেশি দেনা পরিশোধও ঠিকমতো চলছে। ফলে, নিকট ভবিষ্যতে ডলারের চাহিদায় তীব্র বৃদ্ধি হওয়ার আশঙ্কা কম।

নির্বাহী কর্মকর্তারা জানান, এই ডলার ক্রয় রিজার্ভকে আরও শক্তিশালী করবে। পাশাপাশি, জাতীয় নির্বাচন ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এলে বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে, ফলে ডলারের চাহিদাও বাড়তে পারে।