০৩:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
শুক্রবারের মধ্যে জুলাই সংবিধানের চূড়ান্ত রোডম্যাপ প্রকাশের আশা স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট নভেম্বরের মধ্যে চায় জামায়াত হাসিনার বিরুদ্ধে আজ সাক্ষ্য দেবেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এনবিআরের সিদ্ধান্ত: এমপি কোটার ৩০ বিলাসবহুল গাড়ি নিলামে বিক্রির পরিবর্তে হস্তান্তর তীব্র যানজটে আটকা পড়ে সড়ক উপদেষ্টা মোটরসাইকেলে গন্তব্যে পৌঁছেছেন ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের পাশে আবর্জনার স্তূপ ঢেকে দেওয়া হলো বিশিষ্ট উপদেষ্টার আগমনের জন্য পাঁচ দিন ধরে সাগরে ভাসমান ২৬ জেলেকে উদ্ধার করলো নৌ বাহিনী মেনন-পলক-দস্তগীরসহ চারজনের বিরুদ্ধে নতুন মামলায় গ্রেফতার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ: দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার প্রত্যয়

সৌদি আরব ও ফ্রান্সের জন্য ‘রেড লাইন’ ঘোষণা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে

জাতিসংঘের এক উচ্চপর্যায়ের সম্মেলন শেষে সৌদি আরব ও ফ্রান্স ইসরায়েলের জন্য ‘রেড লাইন’ বা বিপৎসীমা নির্ধারণ করেছে। তারা স্পষ্ট করে দিয়েছে, ফিলিস্তিনের জন্য স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর সেখানে বসতি স্থাপন বা দখলদারীর চেষ্টা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে অগ্রহণযোগ্য বলেই বিবেচিত হবে। এই ঘোষণা আন্তর্জাতিক শান্তি ও স্থীতিশীলতার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এতে করে ফিলিস্তিনের স্বাধিকার সংগ্রামের প্রতি সমর্থন ও দৃষ্টিভঙ্গির স্পষ্টতা প্রকাশ পেয়েছে। জাপানো থেকে জানা যায়, এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সৌদি আরব ও ফ্রান্স বোঝাতে চেয়েছে, কোনোভাবেই তারা ইসরায়েলি অবৈধ দখলদারিত্বকে মেনে নেবে না।

এই ঘোষণা আসার প্রেক্ষাপট হলো, জাতিসংঘ, ফ্রांस ও সৌদি আরবের উদ্যোগে নিউইয়র্কে সব পক্ষের জন্য এক সম্মেলনের আয়োজন। এই সভায় ফ্রান্স, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, সান মারিনো ও অ্যান্ডোরা ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দেয়। এর এক দিন আগে যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও পর্তুগাল এ বিষয়ে সমর্থন জানায়।

সম্মেলনের শেষে এক বিবৃতিতে তারা আরো জানায়, ইসরায়েল যদি এই ‘রেড লাইন’ অতিক্রম করে, তবে তার ব্যাপক পরিণতির সম্মুখীন হতে হবে। এতে চরম ক্ষতি হতে পারে পশ্চিম তীর ও গাজায় চলমান শান্তি উদ্যোগের। অব্যাহত যুদ্ধ ও সহিংসতা বন্ধ করতে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় সব পক্ষের সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে তারা আশ্বাস দিয়েছে।

গাজা সিটির মধ্যে ইসরায়েলের ভরপুর সৈন্য অভিযান ও চলমান সংঘর্ষের কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে। নিরীহ বেসামরিক মানুষের জীবন ও জিম্মিদের ওপর চলমান অত্যাচার অসম্ভব আরো বেড়ে চলেছে। এই পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ ও মানবিক উপায়েই সমাধান খোঁজার আহ্বান জানানো হয়।

সৌদি ও ফ্রান্স এই পরিস্থিতি নিরসনে কিছু নির্দিষ্ট দাবিও উত্থাপন করেছে। তারা বলেছে, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, জিম্মি মুক্তি, বন্দি বিনিময়, গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের অবারিত সুযোগ ও ইসরায়েলি সেনাদের দ্রুত প্রত্যাহার জরুরি। পাশাপাশি তারা ফিলিস্তিনের জন্য একটি অস্থায়ী আন্তর্জাতিক সংস্থা পাঠানোর বিষয়েও প্রস্তুত। এ ছাড়া, তারা ফিলিস্তিনি নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রশিক্ষণ ও সহযোগিতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

একই সঙ্গে গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীরকে ফিলিস্তিনের কর্তৃপক্ষের আওতায় আনার নানা পরিকল্পনা স্বীকৃতি পেয়েছে। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধানে হামাসের কাছ থেকে গাজায় আধিপত্য দখল সরানো ও ফিলিস্তিনের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিতের পথ দেখানো হয়েছে।

ফ্রান্স ও সৌদি আরব ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের অঙ্গীকারকে স্বাগত জানিয়েছে। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, ফিলিস্তিন শান্তিপূর্ণ একটি রাষ্ট্র হবে, যেখানে হিংসা ও সন্ত্রাসবাদ কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করা হবে। তিনি আরও বলেন, কোনও গোষ্ঠীকে সামরিকীকরণ নয় ও সবার জন্য নিরাপদ, সহনশীল নিরাপত্তা ব্যবস্থার পরিকল্পনা চালু থাকবে। মহলের প্রশংসা পেয়েছে, ফিলিস্তিনের বোর্ডে নতুন সংস্কার ও শান্তি অঙ্গীকারের জন্য তার উদ্যোগ। তারা বিশেষ করে, ‘পে-টু-স্লে’ ভাতা বাতিল, শিক্ষা খাতে সামঞ্জস্য ও একবছর ভেতরে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিকল্পনাও সমর্থন করেছে।

অন্যদিকে, ইসরায়েল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে আসছে। তাদের বক্তব্য, ওই স্বীকৃতি হামাসের প্রশংসায় ব্যস্ত হয়ে পড়ার মতো এবং এটি এখনো চলমান যুদ্ধ ও ৪৮ জন অপহৃতের মুক্তি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পরিস্থিতিতে আগামী মাসে হামলার দুই বছর পূর্তিতে ফিলিস্তিনের পক্ষ থেকে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব এসেছে। হামাসের পক্ষ থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করে এমন প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে, যাতে করে আরেকটি স্থায়ী যুদ্ধের অবসান ও বাকিরা মুক্তি পায়। তবে সেই চিঠি এখনও ট্রাম্পের হাতে পৌঁছায়নি। কাতার ভিত্তিক তথ্যসূত্র ও সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়েছে, এ সপ্তাহের শেষের দিকে ট্রাম্পের কাছে চিঠি পৌঁছাবে।

এদিকে, গাজায় চলমান পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে, যেখানে ইসরায়েল গাজা শহরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। শহরটির প্রায় অর্ধেক বাসিন্দা ইতোমধ্যে তাদের ঘর-বাড়ি ছেড়ে নির্বাসনে গেছে। হামাসের পক্ষ থেকেও আরও এক প্রস্তাব এসেছে, যেখানে ১২ জন জিম্মি বিনিময়ে দুই মাসের যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। তবে এই বিষয়ে এখনো কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

অপরদিকে, গত ৭ অক্টোবরের হামলার দুই বছর পূর্তিতে ইতিহাস ফিরে দেখলে বোঝা যায়, এই দিনটির পর থেকে গাজার ওপর নৃশংস হামলা চলছে। সেই হামলায় হাজার হাজার জীবন ঝরে গেছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, এই সময়ের মধ্যে ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, অধিকাংশই নারী ও শিশু।

আশুতে ধূলি ও রক্তপাতের মধ্য দিয়ে চলমান এই সংঘর্ষে অন্তত ২০ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে। গাজার চিকিৎসকরা বলছেন, চিকিৎসা ও ভবিষ্যতের জন্য বিপুল অমানবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

সৌদি আরব ও ফ্রান্সের জন্য ‘রেড লাইন’ ঘোষণা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে

প্রকাশিতঃ ০৪:১৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জাতিসংঘের এক উচ্চপর্যায়ের সম্মেলন শেষে সৌদি আরব ও ফ্রান্স ইসরায়েলের জন্য ‘রেড লাইন’ বা বিপৎসীমা নির্ধারণ করেছে। তারা স্পষ্ট করে দিয়েছে, ফিলিস্তিনের জন্য স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর সেখানে বসতি স্থাপন বা দখলদারীর চেষ্টা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে অগ্রহণযোগ্য বলেই বিবেচিত হবে। এই ঘোষণা আন্তর্জাতিক শান্তি ও স্থীতিশীলতার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এতে করে ফিলিস্তিনের স্বাধিকার সংগ্রামের প্রতি সমর্থন ও দৃষ্টিভঙ্গির স্পষ্টতা প্রকাশ পেয়েছে। জাপানো থেকে জানা যায়, এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সৌদি আরব ও ফ্রান্স বোঝাতে চেয়েছে, কোনোভাবেই তারা ইসরায়েলি অবৈধ দখলদারিত্বকে মেনে নেবে না।

এই ঘোষণা আসার প্রেক্ষাপট হলো, জাতিসংঘ, ফ্রांस ও সৌদি আরবের উদ্যোগে নিউইয়র্কে সব পক্ষের জন্য এক সম্মেলনের আয়োজন। এই সভায় ফ্রান্স, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, সান মারিনো ও অ্যান্ডোরা ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দেয়। এর এক দিন আগে যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও পর্তুগাল এ বিষয়ে সমর্থন জানায়।

সম্মেলনের শেষে এক বিবৃতিতে তারা আরো জানায়, ইসরায়েল যদি এই ‘রেড লাইন’ অতিক্রম করে, তবে তার ব্যাপক পরিণতির সম্মুখীন হতে হবে। এতে চরম ক্ষতি হতে পারে পশ্চিম তীর ও গাজায় চলমান শান্তি উদ্যোগের। অব্যাহত যুদ্ধ ও সহিংসতা বন্ধ করতে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় সব পক্ষের সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে তারা আশ্বাস দিয়েছে।

গাজা সিটির মধ্যে ইসরায়েলের ভরপুর সৈন্য অভিযান ও চলমান সংঘর্ষের কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে। নিরীহ বেসামরিক মানুষের জীবন ও জিম্মিদের ওপর চলমান অত্যাচার অসম্ভব আরো বেড়ে চলেছে। এই পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ ও মানবিক উপায়েই সমাধান খোঁজার আহ্বান জানানো হয়।

সৌদি ও ফ্রান্স এই পরিস্থিতি নিরসনে কিছু নির্দিষ্ট দাবিও উত্থাপন করেছে। তারা বলেছে, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, জিম্মি মুক্তি, বন্দি বিনিময়, গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের অবারিত সুযোগ ও ইসরায়েলি সেনাদের দ্রুত প্রত্যাহার জরুরি। পাশাপাশি তারা ফিলিস্তিনের জন্য একটি অস্থায়ী আন্তর্জাতিক সংস্থা পাঠানোর বিষয়েও প্রস্তুত। এ ছাড়া, তারা ফিলিস্তিনি নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রশিক্ষণ ও সহযোগিতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

একই সঙ্গে গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীরকে ফিলিস্তিনের কর্তৃপক্ষের আওতায় আনার নানা পরিকল্পনা স্বীকৃতি পেয়েছে। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধানে হামাসের কাছ থেকে গাজায় আধিপত্য দখল সরানো ও ফিলিস্তিনের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিতের পথ দেখানো হয়েছে।

ফ্রান্স ও সৌদি আরব ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের অঙ্গীকারকে স্বাগত জানিয়েছে। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, ফিলিস্তিন শান্তিপূর্ণ একটি রাষ্ট্র হবে, যেখানে হিংসা ও সন্ত্রাসবাদ কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করা হবে। তিনি আরও বলেন, কোনও গোষ্ঠীকে সামরিকীকরণ নয় ও সবার জন্য নিরাপদ, সহনশীল নিরাপত্তা ব্যবস্থার পরিকল্পনা চালু থাকবে। মহলের প্রশংসা পেয়েছে, ফিলিস্তিনের বোর্ডে নতুন সংস্কার ও শান্তি অঙ্গীকারের জন্য তার উদ্যোগ। তারা বিশেষ করে, ‘পে-টু-স্লে’ ভাতা বাতিল, শিক্ষা খাতে সামঞ্জস্য ও একবছর ভেতরে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিকল্পনাও সমর্থন করেছে।

অন্যদিকে, ইসরায়েল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে আসছে। তাদের বক্তব্য, ওই স্বীকৃতি হামাসের প্রশংসায় ব্যস্ত হয়ে পড়ার মতো এবং এটি এখনো চলমান যুদ্ধ ও ৪৮ জন অপহৃতের মুক্তি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পরিস্থিতিতে আগামী মাসে হামলার দুই বছর পূর্তিতে ফিলিস্তিনের পক্ষ থেকে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব এসেছে। হামাসের পক্ষ থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করে এমন প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে, যাতে করে আরেকটি স্থায়ী যুদ্ধের অবসান ও বাকিরা মুক্তি পায়। তবে সেই চিঠি এখনও ট্রাম্পের হাতে পৌঁছায়নি। কাতার ভিত্তিক তথ্যসূত্র ও সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়েছে, এ সপ্তাহের শেষের দিকে ট্রাম্পের কাছে চিঠি পৌঁছাবে।

এদিকে, গাজায় চলমান পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে, যেখানে ইসরায়েল গাজা শহরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। শহরটির প্রায় অর্ধেক বাসিন্দা ইতোমধ্যে তাদের ঘর-বাড়ি ছেড়ে নির্বাসনে গেছে। হামাসের পক্ষ থেকেও আরও এক প্রস্তাব এসেছে, যেখানে ১২ জন জিম্মি বিনিময়ে দুই মাসের যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। তবে এই বিষয়ে এখনো কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

অপরদিকে, গত ৭ অক্টোবরের হামলার দুই বছর পূর্তিতে ইতিহাস ফিরে দেখলে বোঝা যায়, এই দিনটির পর থেকে গাজার ওপর নৃশংস হামলা চলছে। সেই হামলায় হাজার হাজার জীবন ঝরে গেছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, এই সময়ের মধ্যে ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, অধিকাংশই নারী ও শিশু।

আশুতে ধূলি ও রক্তপাতের মধ্য দিয়ে চলমান এই সংঘর্ষে অন্তত ২০ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে। গাজার চিকিৎসকরা বলছেন, চিকিৎসা ও ভবিষ্যতের জন্য বিপুল অমানবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।