০২:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
শুক্রবারের মধ্যে জুলাই সংবিধানের চূড়ান্ত রোডম্যাপ প্রকাশের আশা জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট নভেম্বরের মধ্যে চায় জামায়াত স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক হাসিনার বিরুদ্ধে আজ সাক্ষ্য দেবেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এনবিআরের সিদ্ধান্ত: এমপি কোটার ৩০ বিলাসবহুল গাড়ি নিলামে বিক্রির পরিবর্তে হস্তান্তর তীব্র যানজটে আটকা পড়ে সড়ক উপদেষ্টা মোটরসাইকেলে গন্তব্যে পৌঁছেছেন ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের পাশে আবর্জনার স্তূপ ঢেকে দেওয়া হলো বিশিষ্ট উপদেষ্টার আগমনের জন্য পাঁচ দিন ধরে সাগরে ভাসমান ২৬ জেলেকে উদ্ধার করলো নৌ বাহিনী মেনন-পলক-দস্তগীরসহ চারজনের বিরুদ্ধে নতুন মামলায় গ্রেফতার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ: দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার প্রত্যয়

ব্যালন ডিঅর জয়ে ফ্রান্সের স্পর্ষ, মেসির গৌরব ও রেকর্ড

সম্ভাবনাগুলোর সব রহস্য উন্মোচন হওয়ার পরে, অবশেষে উসমান দেম্বেলেই কক্ষে উঠল ব্যালন ডিঅর ট্রফি। এই পিএসজি তারকা ছয়জন ফরাসি ফুটবলার মধ্যে ষষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে এই সম্মাননা অর্জন করেছেন, যা তার দেশপ্রেম ও দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের স্বীকৃতি। দেম্বেলোর আগে, রাইমন্ড কোপা, মিশেল প্লাতিনি, জ্যাঁ পিয়েরে পাপিন, জিনেদিন জিদান এবং করিম বেনজেমার মতো কিংবদন্তি ফুটবলাররা এই ট্রফি জিতেছেন, যা মোট ৮ বার তাদের দেশ ফ্রান্সের প্রাপ্তি। এর মধ্যে, মিশেল প্লাতিনি একাই তিন বার এই পুরস্কার অর্জন করেছেন, বাকিরা একবার করে।

বিশেষভাবে উল্লেখ্য, এই ৮টি ব্যালন ডিঅর পুরস্কার অর্জনের মাধ্যমে, ফ্রান্স সর্বোচ্চ সংখ্যক বার এই পুরস্কার পেয়ে বিশ্বের অন্য দেশগুলোকে পেছনে ফেলে দিয়েছে। যেখানে ফ্রান্সের ছয়জনের একসঙ্গে আটবারের জয়, সেখানে আর্জেন্টিনার প্রতিনিধি হিসেবে লিওনেল মেসি একাই এই পুরস্কার আটবার জিতেছেন, যা এককভাবে কোনো ফুটবলারের সর্বোচ্চ রেকর্ড।

মেসি প্রথম ২০০৯ সালে ব্যালন ডিঅর জেতেন, এরপর টানা ২০১০ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত তিন বছর ধারাবাহিকভাবে এই পুরস্কার অর্জন করেন। ২০১৫ সালে আবার ব্যক্তিগত শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি পান। এরপর ২০১৯, ২০২১ ও ২০২৩ সালে এই ট্রফি ফের তার ঝুলিতে ঢুকে।

অন্যদিকে, ফ্রান্সের জন্য প্রথম বারের মতো এই পুরস্কার জেতেন রাইমন্ড কোপা। পরবর্তীতে, ১৯৮৩, ১৯৮৪ ও ১৯८৫ সালে ধারাবাহিক হ্যাটট্রিকের মাধ্যমে কিংবদন্তি মিশেল প্লাতিনি এই ট্রফি জিতেছেন। জ্যাঁ পিয়েরে পাপিন ১৯৯১ সালে একবার এই পুরস্কার পান।

জিনেদিন জিদান ১৯৯৮ সালে তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় সফলতা হিসেবে বিশ্বকাপ জেতার পর এই ট্রফি লাভ করেন। এর পরে, অনেক বছর বিরতিতে, ২০২২ সালে করিম বেনজেমাও এই স্বীকৃতি পান। এবার, দেম্বেলের জয়ের মাধ্যমে আরও একবার ফরাসি প্রতিনিধির গৌরব বাড়ল।

অতিরিক্তভাবে, এই শীর্ষ পর্যায়ের সম্মাননা তুলনামূলকভাবে অন্যান্য দেশের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস ও পর্তুগাল এই তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। তবে, পর্তুগালের ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো একাই পাঁচবার এই ট্রফি জেতেন, যা অন্যদের মধ্যে সর্বোচ্চ। ইউসেবিও ও লুইস ফিগো যথাক্রমে পাঁচবার এই পুরস্কার পান। ইতালি ও ব্রাজিল যথাক্রমে পাঁচবার ও দুইবার এই ট্রফি জিতেছেন। ব্রাজিলের জন্য রোনালদো নাজারিও দুইবার এই পুরস্কার অর্জন করেন।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

ব্যালন ডিঅর জয়ে ফ্রান্সের স্পর্ষ, মেসির গৌরব ও রেকর্ড

প্রকাশিতঃ ০৮:১৩:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্ভাবনাগুলোর সব রহস্য উন্মোচন হওয়ার পরে, অবশেষে উসমান দেম্বেলেই কক্ষে উঠল ব্যালন ডিঅর ট্রফি। এই পিএসজি তারকা ছয়জন ফরাসি ফুটবলার মধ্যে ষষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে এই সম্মাননা অর্জন করেছেন, যা তার দেশপ্রেম ও দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের স্বীকৃতি। দেম্বেলোর আগে, রাইমন্ড কোপা, মিশেল প্লাতিনি, জ্যাঁ পিয়েরে পাপিন, জিনেদিন জিদান এবং করিম বেনজেমার মতো কিংবদন্তি ফুটবলাররা এই ট্রফি জিতেছেন, যা মোট ৮ বার তাদের দেশ ফ্রান্সের প্রাপ্তি। এর মধ্যে, মিশেল প্লাতিনি একাই তিন বার এই পুরস্কার অর্জন করেছেন, বাকিরা একবার করে।

বিশেষভাবে উল্লেখ্য, এই ৮টি ব্যালন ডিঅর পুরস্কার অর্জনের মাধ্যমে, ফ্রান্স সর্বোচ্চ সংখ্যক বার এই পুরস্কার পেয়ে বিশ্বের অন্য দেশগুলোকে পেছনে ফেলে দিয়েছে। যেখানে ফ্রান্সের ছয়জনের একসঙ্গে আটবারের জয়, সেখানে আর্জেন্টিনার প্রতিনিধি হিসেবে লিওনেল মেসি একাই এই পুরস্কার আটবার জিতেছেন, যা এককভাবে কোনো ফুটবলারের সর্বোচ্চ রেকর্ড।

মেসি প্রথম ২০০৯ সালে ব্যালন ডিঅর জেতেন, এরপর টানা ২০১০ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত তিন বছর ধারাবাহিকভাবে এই পুরস্কার অর্জন করেন। ২০১৫ সালে আবার ব্যক্তিগত শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি পান। এরপর ২০১৯, ২০২১ ও ২০২৩ সালে এই ট্রফি ফের তার ঝুলিতে ঢুকে।

অন্যদিকে, ফ্রান্সের জন্য প্রথম বারের মতো এই পুরস্কার জেতেন রাইমন্ড কোপা। পরবর্তীতে, ১৯৮৩, ১৯৮৪ ও ১৯८৫ সালে ধারাবাহিক হ্যাটট্রিকের মাধ্যমে কিংবদন্তি মিশেল প্লাতিনি এই ট্রফি জিতেছেন। জ্যাঁ পিয়েরে পাপিন ১৯৯১ সালে একবার এই পুরস্কার পান।

জিনেদিন জিদান ১৯৯৮ সালে তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় সফলতা হিসেবে বিশ্বকাপ জেতার পর এই ট্রফি লাভ করেন। এর পরে, অনেক বছর বিরতিতে, ২০২২ সালে করিম বেনজেমাও এই স্বীকৃতি পান। এবার, দেম্বেলের জয়ের মাধ্যমে আরও একবার ফরাসি প্রতিনিধির গৌরব বাড়ল।

অতিরিক্তভাবে, এই শীর্ষ পর্যায়ের সম্মাননা তুলনামূলকভাবে অন্যান্য দেশের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস ও পর্তুগাল এই তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। তবে, পর্তুগালের ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো একাই পাঁচবার এই ট্রফি জেতেন, যা অন্যদের মধ্যে সর্বোচ্চ। ইউসেবিও ও লুইস ফিগো যথাক্রমে পাঁচবার এই পুরস্কার পান। ইতালি ও ব্রাজিল যথাক্রমে পাঁচবার ও দুইবার এই ট্রফি জিতেছেন। ব্রাজিলের জন্য রোনালদো নাজারিও দুইবার এই পুরস্কার অর্জন করেন।