০১:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
আন্তর্জাতিকভাবে দাবি জানানোয় বন্দিদের মুক্তি ঘোষণা বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর দোয়ার আবেদন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্কটকালে মায়ের স্নেহ পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমারও: তারেক রহমান মৌসুমি সবজি বাজারে ভরপুর, দাম কমে গেছে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় দোয়া ও মোনাজাত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের জন্য ভর্তুকির দাবি আরব আমিরাতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া ২৪ ব্যক্তির মুক্তি আসছে বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা মনের আকাঙ্ক্ষা ও রাজনৈতিক বাস্তবতার মধ্যে দ্বন্দ্ব: তারেক রহমানের মন্তব্য বাজারে মৌসুমি সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি ও দাম কমে যাচ্ছে

পুরুষরা সন্তান জন্ম দিত, পৃথিবীতে যুদ্ধ থাকত না: রানী মুখার্জি

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রানী মুখার্জি সম্প্রতি কাজের জন্য আট ঘন্টার কাজের দাবি নিয়ে চলমান বিতর্কের মাঝে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। তিনি বলেন, যখন তার মেয়ে আদিরা মাত্র ১৪ মাসের মা হয়েছেন, তখন তিনি সিনেমার শুটিং চালিয়ে গিয়েছিলেন, বিশেষ করে দীপিকা পাড়ুকোনের ‘কল্কি’ সিক্যুয়েলে থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়।

রানী মুখার্জি জানান, তখন তিনি তাঁর মেয়ে আদিরার জন্য কঠোর রুটিন অনুসরণ করতেন। সকালে দুধ পাম্প করে শরীর থেকে দুধ সংগ্রহ করে নিয়ে যান এবং ইউনিট ও পরিচালকের সহায়তায় দিনে ৬-৭ ঘণ্টার মধ্যে কাজ সমাপ্ত করে বাড়িতে ফিরে আসতেন। এর ফলে তিনি ট্রাফিকের সমস্যা এড়াতে দুপুরের মধ্যে বাড়ি পৌঁছাতে পারতেন।

তিনি বলেন, এই ধরনের পরিস্থিতি অনেকের মধ্যে আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে, তবে এটাই প্রকৃতির স্বাভাবিক চাহিদা। তিনি জানান, এটা সব পেশাতেই স্বাভাবিক, আমি নিজেও এতক্ষণ কাজ করেছি।

রানী মুখার্জি আরো বলেন, যদি প্রযোজকরা অনুমতি দেন, তাহলে তিনি সিনেমায় কাজ করতে আগ্রহী। বড় কোনো সমস্যা নেই, তবে পছন্দের বিষয়টি এই যে, কেউ কাউকে জোর করছে না। তিনি বিতর্কের মাঝে হেসে বলেন, কল্পনা করুন, যদি পুরুষরা সন্তান জন্ম দিতে পারত, তাহলে নিশ্চয়ই পৃথিবী অনেক শান্ত থাকত। কারণ তখন তারা সন্তানের প্রতি একাগ্র হয়ে থাকত, যতদিন না শিশুটি বড় হয়। তিনি বলেন, পুরুষরা এই অসাধারণ অভিজ্ঞতা পেত না, যা মহিলাদের জন্য এক বিশেষ অনুভুতি—একটি জীবনের সৃষ্টি।

রানী মুখার্জি তাই মনে করেন, এই শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনশীলতা একেকজন নারীর জন্য এক অনন্য অভিজ্ঞতা, যা পুরুষরা পায় না। তিনি নিজেকে একজন নারী হিসেবে খুবই গর্বিত বলে উল্লেখ করেন, এই অনুভূতিটা জীবনে কোনো কঠিন মূল্যে পরিবর্তন করবে না। তিনি প্রকাশ করেন, এই অভিজ্ঞতা মানবজীবনের সবচেয়ে কাছাকাছি আসার অনুভূতি—একটি জীবন যুক্ত করার আনন্দ।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

পুরুষরা সন্তান জন্ম দিত, পৃথিবীতে যুদ্ধ থাকত না: রানী মুখার্জি

প্রকাশিতঃ ১০:৫২:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ অক্টোবর ২০২৫

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রানী মুখার্জি সম্প্রতি কাজের জন্য আট ঘন্টার কাজের দাবি নিয়ে চলমান বিতর্কের মাঝে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। তিনি বলেন, যখন তার মেয়ে আদিরা মাত্র ১৪ মাসের মা হয়েছেন, তখন তিনি সিনেমার শুটিং চালিয়ে গিয়েছিলেন, বিশেষ করে দীপিকা পাড়ুকোনের ‘কল্কি’ সিক্যুয়েলে থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়।

রানী মুখার্জি জানান, তখন তিনি তাঁর মেয়ে আদিরার জন্য কঠোর রুটিন অনুসরণ করতেন। সকালে দুধ পাম্প করে শরীর থেকে দুধ সংগ্রহ করে নিয়ে যান এবং ইউনিট ও পরিচালকের সহায়তায় দিনে ৬-৭ ঘণ্টার মধ্যে কাজ সমাপ্ত করে বাড়িতে ফিরে আসতেন। এর ফলে তিনি ট্রাফিকের সমস্যা এড়াতে দুপুরের মধ্যে বাড়ি পৌঁছাতে পারতেন।

তিনি বলেন, এই ধরনের পরিস্থিতি অনেকের মধ্যে আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে, তবে এটাই প্রকৃতির স্বাভাবিক চাহিদা। তিনি জানান, এটা সব পেশাতেই স্বাভাবিক, আমি নিজেও এতক্ষণ কাজ করেছি।

রানী মুখার্জি আরো বলেন, যদি প্রযোজকরা অনুমতি দেন, তাহলে তিনি সিনেমায় কাজ করতে আগ্রহী। বড় কোনো সমস্যা নেই, তবে পছন্দের বিষয়টি এই যে, কেউ কাউকে জোর করছে না। তিনি বিতর্কের মাঝে হেসে বলেন, কল্পনা করুন, যদি পুরুষরা সন্তান জন্ম দিতে পারত, তাহলে নিশ্চয়ই পৃথিবী অনেক শান্ত থাকত। কারণ তখন তারা সন্তানের প্রতি একাগ্র হয়ে থাকত, যতদিন না শিশুটি বড় হয়। তিনি বলেন, পুরুষরা এই অসাধারণ অভিজ্ঞতা পেত না, যা মহিলাদের জন্য এক বিশেষ অনুভুতি—একটি জীবনের সৃষ্টি।

রানী মুখার্জি তাই মনে করেন, এই শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনশীলতা একেকজন নারীর জন্য এক অনন্য অভিজ্ঞতা, যা পুরুষরা পায় না। তিনি নিজেকে একজন নারী হিসেবে খুবই গর্বিত বলে উল্লেখ করেন, এই অনুভূতিটা জীবনে কোনো কঠিন মূল্যে পরিবর্তন করবে না। তিনি প্রকাশ করেন, এই অভিজ্ঞতা মানবজীবনের সবচেয়ে কাছাকাছি আসার অনুভূতি—একটি জীবন যুক্ত করার আনন্দ।