ইতিহাসে নতুন এক অধ্যায় রচনা করতে চলেছে জাপান। দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সাতকাইচি তাকাইচি সম্ভাবনা তৈরি করছেন, কারণ গতকাল শনিবার দেশের ক্ষমতাসীন দল লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি তাকে দলের প্রধান নির্বাচিত করেছে় এই সিদ্ধান্ত তাকে দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
বর্ধমান মূল্যস্ফীতি এবং অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মাঝে, সাধারণ মানুষের আস্থা ফেরাতে এবং দেশের সমস্যা সমাধানে সক্ষম ব্যক্তির খোঁজে লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি তাকাইচিকে মনোনীত করেছে। সম্প্রতি তার প্রচার এবং নির্বাচনী ভাষণে তিনি বিদেশী বিনিয়োগ বাড়ানো, কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ, এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার নিয়ে জোড়ালো আলোচনা করেছেন।
আগামী ১৫ অক্টোবর সংসদে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে শিগেরু ইশিবার উত্তরসূরি হিসেবে তাকাইচির নাম প্রাধান্য পেতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাকাইচির নেতৃত্বে জাপানের অর্থনীতি দ্রুত উন্নতির দিকে এগিয়ে যাবে। তবে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি কারণ গত বছর ইশিবার নেতৃত্বাধীন জোটের সংখ্যাগরিষ্ঠতা কমে গেছে।
অন্যদিকে, বিভিন্ন বিরোধী দল যেমন ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ফর দ্য পিপল এবং অ্যান্টি-অভিবাসনবাদী দলগুলি তরুণ প্রজন্মের মনোভাব বদলে দেওয়ার জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
নিজের নির্বাচনী ভাষণে তাকাইচি বলেন, সম্প্রতি আমি দেশজুড়ে এক কঠোর পরিস্থিতির মোকাবিলা লক্ষ্য করেছি। জনগণের উদ্বেগে আমি অনেক কিছু শুনেছি, যা আমাকে আরও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ করে তুলেছে। আমি চাই তাদের জীবনযাত্রা সহজতর করে দিতে এবং ভবিষ্যত নিয়ে আশার আলো জ্বালাতে। তিনি মার্গারেট থ্যাচারকে তার আদর্শ হিসেবে দেখেন, যিনি ব্রিটেনের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
এছাড়া, তাকাইচি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য বিনিয়োগ চুক্তি পুনর্ব্যবহার করার সম্ভাবনাও প্রকাশ করেছেন, যা জাপানি করদাতাদের জন্য সুবিধাজনক হবে। এর মাধ্যমে শুল্কের ব্যয় কমানোর পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক সুযোগের দ্বারে নতুন দিক উন্মোচিত হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।