০৬:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
তীব্র যানজটে আটকা পড়ে সড়ক উপদেষ্টা মোটরসাইকেলে গন্তব্যে পৌঁছেছেন ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের পাশে আবর্জনার স্তূপ ঢেকে দেওয়া হলো বিশিষ্ট উপদেষ্টার আগমনের জন্য পাঁচ দিন ধরে সাগরে ভাসমান ২৬ জেলেকে উদ্ধার করলো নৌ বাহিনী মেনন-পলক-দস্তগীরসহ চারজনের বিরুদ্ধে নতুন মামলায় গ্রেফতার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ: দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার প্রত্যয় আওয়ামী লীগের বিচারকাজের জন্য আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু জয়পুরহাটের কানাইপুকুর গ্রামে বিরল শামুকখোল পাখির অভয়ারণ্য শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়ার প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন সিইসির মনে অবস্থান: এবারের নির্বাচন জীবনশেষের সুযোগ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিদায় সাক্ষাৎ জাতিসংঘের অভিবাসী সমন্বয়কের

চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল জিতেছেন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের তিন বিজ্ঞানী

চিকিৎসা বিজ্ঞানে এই বছর নোবেল পুরস্কার জিতেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মেরি ব্রাঙ্কো, ফ্রেড রামসডেল এবং জাপানের শিমন সাগাগুচি। এই তিন বিজ্ঞানীর গবেষণাকে স্বীকৃতি হিসেবে সুইডেনের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট গতকাল সোমবার এ পুরস্কার ঘোষণা করেছে। স্টকহোম থেকে বার্তা সংস্থা এফপি এ খবর দিয়েছে।

তাদের আবিষ্কার ‘পেরিফেরাল ইমিউন টলারেন্স’ বিষয়ক, যা আমাদের ইমিউন সিস্টেমের কার্যপ্রণালী বোঝার ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। এই গবেষণার মাধ্যমে জানা গেছে কিভাবে দেহের প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রিত হয় বা রক্ষা পায়। এই কার্যকলাপের কারণে অনেক রোগে আক্রান্ত না হয়ে আমরা সুস্থ থাকি।

নোবেল জুরির মতে, এই তিন বিজ্ঞানীর কাজ ইমিউন সিস্টেমের জটিলতা বুঝতে এবং কেন কেউ গুরুতর অটোইমিউন রোগে আক্রান্ত হয় না, তার ব্যাখ্যায় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তাদের গবেষণায় তৈরি নতুন ভিত্তিতে এখন ক্যান্সার ও অটোইমিউন রোগের চিকিৎসায় নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে গেছে, পাশাপাশি অঙ্গ প্রতিস্থাপনেও এটি সহায়ক হতে পারে।

৭৪ বছর বয়সী শিমন সাগাগুচি ১৯৯৫ সালে একটি গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার করেন। তখন অনেক গবেষক মনে করতেন, ক্ষতিকর ইমিউন কোষ ধ্বংস হয় থাইমাসে ‘সেন্ট্রাল টলারেন্স’ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। তবে সাগাগুচি দেখান যে, ইমিউন সিস্টেম আরো জটিল, এবং তিনি এমন এক নতুন শ্রেণির ইমিউন কোষ শনাক্ত করেন যা দেহকে অটোইমিউন রোগ থেকে রক্ষা করে।

অন্যদিকে, ৬৪ বছর বয়সী মেরি ব্রাঙ্কো এবং ফ্রেড রামসডেল ২০০১ সালে আরো এক গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার করেন, যেখানে তারা ব্যাখ্যা করেন কেন কিছু নির্দিষ্ট ধরনের ইঁদুর অটোইমিউন রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। তারা দেখান যে, এই ইঁদুরের জিনে একটি মিউটেশন রয়েছে, যার নাম দিয়েছেন ‘ফক্সপ৩’। যদি মানুষের শরীরে এই জিনের সমতুল্য কোনও মিউটেশন ধরা পড়ে, তবে এটি মারাত্মক অটোইমিউন রোগ ‘আইপিইএক্স’ এর কারণ হতে পারে।

দুই বছর পরে, শিমন সাগাগুচি নিজের গবেষণার সঙ্গে এই আবিষ্কারের যোগসূত্র করেন।

আগামী ১০ ডিসেম্বর, সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে, আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে তারা রাজার কাছ থেকে নোবেল পুরস্কার গ্রহণ করবেন। এর মধ্যে থাকছে একটি স্বর্ণপদক, সনদপত্র এবং ১২ লাখ মার্কিন ডলারের পুরস্কার।

নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত এই তিন ব্যক্তির খ্যাতি এখন বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। আসন্ন সপ্তাহে আরও অন্যান্য বিষয়ে যেমন পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, সাহিত্য, শান্তি ও অর্থনীতিতে এ বছরের নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

দৌলতপুরে মা ইলিশ রক্ষায় অভিযান, অবৈধ জাল জব্দ ও জেলেকে জরিমানা

চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল জিতেছেন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের তিন বিজ্ঞানী

প্রকাশিতঃ ১০:৫৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫

চিকিৎসা বিজ্ঞানে এই বছর নোবেল পুরস্কার জিতেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মেরি ব্রাঙ্কো, ফ্রেড রামসডেল এবং জাপানের শিমন সাগাগুচি। এই তিন বিজ্ঞানীর গবেষণাকে স্বীকৃতি হিসেবে সুইডেনের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট গতকাল সোমবার এ পুরস্কার ঘোষণা করেছে। স্টকহোম থেকে বার্তা সংস্থা এফপি এ খবর দিয়েছে।

তাদের আবিষ্কার ‘পেরিফেরাল ইমিউন টলারেন্স’ বিষয়ক, যা আমাদের ইমিউন সিস্টেমের কার্যপ্রণালী বোঝার ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। এই গবেষণার মাধ্যমে জানা গেছে কিভাবে দেহের প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রিত হয় বা রক্ষা পায়। এই কার্যকলাপের কারণে অনেক রোগে আক্রান্ত না হয়ে আমরা সুস্থ থাকি।

নোবেল জুরির মতে, এই তিন বিজ্ঞানীর কাজ ইমিউন সিস্টেমের জটিলতা বুঝতে এবং কেন কেউ গুরুতর অটোইমিউন রোগে আক্রান্ত হয় না, তার ব্যাখ্যায় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তাদের গবেষণায় তৈরি নতুন ভিত্তিতে এখন ক্যান্সার ও অটোইমিউন রোগের চিকিৎসায় নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে গেছে, পাশাপাশি অঙ্গ প্রতিস্থাপনেও এটি সহায়ক হতে পারে।

৭৪ বছর বয়সী শিমন সাগাগুচি ১৯৯৫ সালে একটি গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার করেন। তখন অনেক গবেষক মনে করতেন, ক্ষতিকর ইমিউন কোষ ধ্বংস হয় থাইমাসে ‘সেন্ট্রাল টলারেন্স’ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। তবে সাগাগুচি দেখান যে, ইমিউন সিস্টেম আরো জটিল, এবং তিনি এমন এক নতুন শ্রেণির ইমিউন কোষ শনাক্ত করেন যা দেহকে অটোইমিউন রোগ থেকে রক্ষা করে।

অন্যদিকে, ৬৪ বছর বয়সী মেরি ব্রাঙ্কো এবং ফ্রেড রামসডেল ২০০১ সালে আরো এক গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার করেন, যেখানে তারা ব্যাখ্যা করেন কেন কিছু নির্দিষ্ট ধরনের ইঁদুর অটোইমিউন রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। তারা দেখান যে, এই ইঁদুরের জিনে একটি মিউটেশন রয়েছে, যার নাম দিয়েছেন ‘ফক্সপ৩’। যদি মানুষের শরীরে এই জিনের সমতুল্য কোনও মিউটেশন ধরা পড়ে, তবে এটি মারাত্মক অটোইমিউন রোগ ‘আইপিইএক্স’ এর কারণ হতে পারে।

দুই বছর পরে, শিমন সাগাগুচি নিজের গবেষণার সঙ্গে এই আবিষ্কারের যোগসূত্র করেন।

আগামী ১০ ডিসেম্বর, সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে, আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে তারা রাজার কাছ থেকে নোবেল পুরস্কার গ্রহণ করবেন। এর মধ্যে থাকছে একটি স্বর্ণপদক, সনদপত্র এবং ১২ লাখ মার্কিন ডলারের পুরস্কার।

নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত এই তিন ব্যক্তির খ্যাতি এখন বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। আসন্ন সপ্তাহে আরও অন্যান্য বিষয়ে যেমন পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, সাহিত্য, শান্তি ও অর্থনীতিতে এ বছরের নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে।