চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে তৈরি পোশাক (আরএমজি) রপ্তানিতে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখা গেছে। এই সময়ের মধ্যে দেশের আ Netto রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ৯.৯৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা গত বছরের同期 তুলনায় ৪.৭৯ শতাংশ বেশি।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এর সদ্য প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, এই ঐতিহাসিক অর্জনমূলক ফলাফল দেশের রপ্তানি ক্ষেত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়কালে মোট রপ্তানির ৪৭.৬০ শতাংশ রপ্তানি হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এ, যার মূল্য ৪.৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ইউরোপীয় ইউনিয়ন হলো বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি বাজার, যেখানে প্রবৃদ্ধির হার চোখে পড়ার মতো।
অন্যদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়েছে ২.০১ বিলিয়ন ডলার, যা মোট রপ্তানির ২০.১৮ শতাংশ। কানাডায় রপ্তানি হয়েছে ৩৩৬.৭০ মিলিয়ন ডলার (৩.৩৮ শতাংশ) এবং যুক্তরাজ্যে রপ্তানি হয়েছে ১.২২ বিলিয়ন ডলার (১২.২৩ শতাংশ)।
বছর পর বছর হিসাব করলে দেখা যায়, ইউরো অঞ্চলে রপ্তানি বেড়েছে ৩.৬৪ শতাংশ, যুক্তরাষ্ট্রে ৮.৬০ শতাংশ, কানাডায় ১৩.৬৩ শতাংশ এবং যুক্তরাজ্যে ৬.৭৪ শতাংশ।
নতুন বাজারে রপ্তানি বৃদ্ধির ধারাও অব্যাহত রয়েছে। অপ্রচলিত বাজারে এটি ০.৭৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, আর নিটওয়্যার খাতে রপ্তানি বেড়েছে ৪.৩১ শতাংশ, ওভেন খাতে বৃদ্ধির হার ৫.৪১ শতাংশ।
এ সময় দেশের মোট রপ্তানি আয় একাদশ বছরে এসে ১২.৩১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছিয়েছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৫.৬৪ শতাংশ বেশি।
প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, গত বছর জুলাই-সেপ্টেম্বরে দেশে রপ্তানি আয় ছিল ১১.৬৬ বিলিয়ন ডলার। তবে, সামগ্রিকভাবে এখনও কিছু চ্যালেঞ্জ থাকলেও, রপ্তানি ক্ষেত্রের এই উন্নতি দেশের অর্থনীতি জন্য আশার আলো দেখাচ্ছে।
সর্বশেষ, তৈরি পোশাক (আরএমজি) ই ক্ষেত্র সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকলেও, সেপ্টেম্বরে বছরের সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি কিছুটা কমে গেছে। ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে রপ্তানি আয় ছিল ৩.৬৩ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের একই মাসে ছিল ৩.৮০ বিলিয়ন ডলার। তবে, সাম্প্রতিক এই ধারাবাহিক উন্নয়ন বাংলাদেশি রপ্তানিকারকদের জন্য উত্তেজনাকর।