০৪:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
একাত্তরের ভুল প্রমাণিত হলে জাতির কাছে ক্ষমা চাইব: জামায়াত আমির নতুন আইজিপি বাহারুল আলম, ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাদ আলী ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা নিয়ে যা জানালেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে, আওয়ামী লীগের নির্বাচন করায় আপত্তি নেই: দ্য হিন্দুকে ইউনূস সোনারগাঁয়ে মেঘনা গ্রুপের ফ্যাক্টরিতে অগ্নিকাণ্ড, ক্ষতি ৪০০ কোটি টাকা বিডিআরের নির্দোষ সদস্যদের চাকরি পুর্নবহালের দাবি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ করে প্রজ্ঞাপন জারি ৪৪, ৪৫ ও ৪৬তম বিসিএস নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত খাদ্যের মান যাচাইয়ে এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খেলেন উপাচার্য সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম গ্রেপ্তার

বিএনপিই ভারতে গিয়ে দেশের কথা বলতে ভুলে গিয়েছিল: মন্ত্রী

‘বিএনপিই ভারতে গিয়ে দেশের কথা বলতে ভুলে গিয়েছিল, ভারত থেকে যা আদায় সেটি আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনাই করেছেন’ মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। 

মন্ত্রী বলেন, ‘গতকাল মির্জা ফখরুল সাহেব প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে যা বলেছেন সেটি বিএনপি এবং খালেদা জিয়ার বেলায় প্রযোজ্য। আপনাদের মনে আছে, খালেদা জিয়া ভারত সফর থেকে আসার পর তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল গঙ্গার পানি ন্যায্য হিস্যা নিয়ে কি কথা হয়েছে। তখন খালেদা জিয়া বলেছেন- আল্লাহ আমি তো ওটা ভুলেই গিয়েছিলাম। যাদের নেত্রী ভারত সফরে গিয়ে গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যার কথা বলতে ভুলে যায়, তারাই সবসময় ভারতকে সব দিয়েছে, কিছু আদায় করতে পারে নাই।’

ড. হাছান বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সরকারের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার, রক্তের অক্ষরে লেখা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে আমাদের দুদেশের সম্পর্ক ন্যায্যতার ভিত্তিতে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে। আমাদের সরকার ভারত থেকে অনেক কিছু আদায় করেছে। প্রধানমন্ত্রী পরপর তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতা পরিচালনার প্রথমবার তামাক জাতীয়সহ মাত্র ২০টি পণ্য বাদে সব পণ্যের ওপর শুল্কমুক্ত রপ্তানি আদায় করেছেন।’

তথ্যমন্ত্রী স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে যে মৈত্রী চুক্তি করেছিলেন সেটির অধিনেই কিন্তু আমাদের ছিটমহলগুলো আমাদেরকে হস্তান্তর করার কথা ছিল।ছিটমহলে লাখ লাখ মানুষের কোনো দেশের পরিচয় ছিল না।

‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারই ভারতের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে চুক্তি হওয়ার বহু দশক পরে সেটি আদায় করেছে, ছিটমহলগুলো আমাদের অধিকারে এসেছে, আমাদের দেশের আয়তন বেড়েছে। ভারতের সঙ্গে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করে আমরা সমুদ্রসীমা জয়লাভ করেছি। সুতরাং ভারতের কাছ থেকে যা কিছু আদায় সেটি আওয়ামী লীগ সরকারই করেছে, জননেত্রী শেখ হাসিনাই করেছেন। আর বিএনপি ভারতকে সব দিয়ে এসেছে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভারত সফরে যাননি সে প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী যখন বিদেশে যান তখন সবসময় সেদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার সফরসঙ্গী হন না। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিছুটা অসুস্থ, সে কারণেই তিনি যাননি। প্রশ্ন করতে পারেন তাহলে উনি গতকাল (সোমবার) অফিসে গেলেন কীভাবে? কিছুটা অসুস্থ থাকলে অফিস করা যায় কিন্তু এরকম হাই লেভেল ভিজিট করা সম্ভব নয়।’

বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য ‘সরকারকে হটিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে’ এ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘অগণতান্ত্রিকভাবে বন্দুকের নল থেকে বিএনপির উৎপত্তি। জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করে বন্দুকের নল উঁচিয়ে মানুষ হত্যা করে ক্ষমতা দখল করে ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে যে দল প্রতিষ্ঠা করেছেন, সেই দল যখন গণতন্ত্রের কথা বলে তখন মানুষ হাসে, গাধাও হাসে।’

ট্যাগ :

রুশ হামলার আশঙ্কায় কিয়েভে দূতাবাস বন্ধ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

বিএনপিই ভারতে গিয়ে দেশের কথা বলতে ভুলে গিয়েছিল: মন্ত্রী

প্রকাশিতঃ ০১:২৩:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

‘বিএনপিই ভারতে গিয়ে দেশের কথা বলতে ভুলে গিয়েছিল, ভারত থেকে যা আদায় সেটি আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনাই করেছেন’ মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। 

মন্ত্রী বলেন, ‘গতকাল মির্জা ফখরুল সাহেব প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে যা বলেছেন সেটি বিএনপি এবং খালেদা জিয়ার বেলায় প্রযোজ্য। আপনাদের মনে আছে, খালেদা জিয়া ভারত সফর থেকে আসার পর তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল গঙ্গার পানি ন্যায্য হিস্যা নিয়ে কি কথা হয়েছে। তখন খালেদা জিয়া বলেছেন- আল্লাহ আমি তো ওটা ভুলেই গিয়েছিলাম। যাদের নেত্রী ভারত সফরে গিয়ে গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যার কথা বলতে ভুলে যায়, তারাই সবসময় ভারতকে সব দিয়েছে, কিছু আদায় করতে পারে নাই।’

ড. হাছান বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সরকারের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার, রক্তের অক্ষরে লেখা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে আমাদের দুদেশের সম্পর্ক ন্যায্যতার ভিত্তিতে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে। আমাদের সরকার ভারত থেকে অনেক কিছু আদায় করেছে। প্রধানমন্ত্রী পরপর তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতা পরিচালনার প্রথমবার তামাক জাতীয়সহ মাত্র ২০টি পণ্য বাদে সব পণ্যের ওপর শুল্কমুক্ত রপ্তানি আদায় করেছেন।’

তথ্যমন্ত্রী স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে যে মৈত্রী চুক্তি করেছিলেন সেটির অধিনেই কিন্তু আমাদের ছিটমহলগুলো আমাদেরকে হস্তান্তর করার কথা ছিল।ছিটমহলে লাখ লাখ মানুষের কোনো দেশের পরিচয় ছিল না।

‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারই ভারতের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে চুক্তি হওয়ার বহু দশক পরে সেটি আদায় করেছে, ছিটমহলগুলো আমাদের অধিকারে এসেছে, আমাদের দেশের আয়তন বেড়েছে। ভারতের সঙ্গে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করে আমরা সমুদ্রসীমা জয়লাভ করেছি। সুতরাং ভারতের কাছ থেকে যা কিছু আদায় সেটি আওয়ামী লীগ সরকারই করেছে, জননেত্রী শেখ হাসিনাই করেছেন। আর বিএনপি ভারতকে সব দিয়ে এসেছে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভারত সফরে যাননি সে প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী যখন বিদেশে যান তখন সবসময় সেদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার সফরসঙ্গী হন না। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিছুটা অসুস্থ, সে কারণেই তিনি যাননি। প্রশ্ন করতে পারেন তাহলে উনি গতকাল (সোমবার) অফিসে গেলেন কীভাবে? কিছুটা অসুস্থ থাকলে অফিস করা যায় কিন্তু এরকম হাই লেভেল ভিজিট করা সম্ভব নয়।’

বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য ‘সরকারকে হটিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে’ এ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘অগণতান্ত্রিকভাবে বন্দুকের নল থেকে বিএনপির উৎপত্তি। জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করে বন্দুকের নল উঁচিয়ে মানুষ হত্যা করে ক্ষমতা দখল করে ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে যে দল প্রতিষ্ঠা করেছেন, সেই দল যখন গণতন্ত্রের কথা বলে তখন মানুষ হাসে, গাধাও হাসে।’