০৯:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
এনসিপি থেকে বহিষ্কারের পর মাহিনের বিশ্লেষণমূলক মন্তব্য নরওয়ে গবেষণা জাহাজ বঙ্গোপসাগরে মৎস্য ও ইকোসিস্টেম জরিপ শুরু করেছে বয়স হলে ভুল বোঝার ব্যাপারটা বুঝতে পারবে, তখন লজ্জিত হবে নিজেকে নিয়ন্ত্রকদের সম্পদ তদন্ত চাই দুদকের ইইউ ৪ মিলিয়ন ইউরো আর্থিক সহযোগিতা দেবে বাংলাদেশের নির্বাচন উন্নত করতে ইভেন্ট বুকিংয়ে এক বছরের জন্য ৫০% ছাড় দিচ্ছে আইসিসিএল ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার ঝিনাইদহের আওয়ামী লীগ সভাপতি পরীক্ষায় ফেল, টানা ২৬ বছর গৃহবন্দী নারীকে উদ্ধার খাদ্য মন্ত্রনালয়ের রেকর্ড পরিমাণ ধান ও চাল সংগ্রহ গাইবান্ধায় ১৪৯০ মিটার দীর্ঘ ‘মওলানা ভাসানী সেতু’ উদ্বোধন করবেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা

দুই চুলার গ্যাসের দাম ৫১২ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে তিতাস

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) পর এবার গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশের বৃহত্তম গ্যাস বিতরণ কোম্পানি তিতাস। এতে এক চুলার বিল ৩৮৯ টাকা বেড়ে হবে ১ হাজার ৩৭৯ টাকা এবং দুই চুলার বিল ৫১২ টাকা বেড়ে হবে ১ হাজার ৫৯২ টাকা। গত ২ মে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে দাম বাড়ানোর এ প্রস্তাব পাঠিয়েছে তিতাস।

এর আগে গত জুনে আবাসিক গ্রাহকদের গ্যাসের দাম বাড়ায় জ্বালানি খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিইআরসি। এ সময় প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ১৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে মিটার ছাড়া গ্রাহকদের জন্য মাসে গ্যাস ব্যবহারের পরিমাণ কমিয়ে দুই চুলায় ৬০ ঘনমিটার ও এক চুলায় ৫৫ ঘনমিটার ধরা হয়। এতে দুই চুলার মাসিক বিল ১ হাজার ৮০ টাকা ও এক চুলার বিল ৯৯০ টাকা ঘোষণা করা হয়েছিল। কমিশনের এ ঘোষণার ১০ মাস পর এতে আপত্তি জানিয়েছে তিতাস।

তিতাসের প্রস্তাবে বলা হয়, কমবেশি ২৫ লাখ গ্রাহকের বিপরীতে কোনো সমীক্ষা বা তথ্য বিশ্লেষণ না করেই ঘনমিটারের পরিমাণ নির্ধারণ করেছে বিইআরসি। এতে কারিগরি ক্ষতি বেড়েছে এবং তিতাস আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

তবে বিইআরসি বলছে, তিতাসের অভিযোগ সঠিক নয়। গত বছর গ্যাসের দাম নিয়ে শুনানির সময় তিতাসের ৩ লাখ ২০ হাজার ও চট্টগ্রামের কর্ণফুলী গ্যাস কোম্পানির ৫০ হাজার প্রিপেইড মিটার গ্রাহকের গ্যাস বিল বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এতে দেখা যায়, প্রতিমাসে দুই চুলার গ্রাহকরা গড়ে ৪৫ ঘনমিটার গ্যাস ব্যবহার করেন। কিন্তু মিটার ছাড়া গ্রাহকদের জন্য তা কিছুটা বাড়িয়ে ৬০ ঘনমিটার নির্ধারণ করা হয়েছিল। এ সময় বলা হয়েছিল, ভবিষ্যতে ঘনমিটারের পরিমাণ আরও কমানো হবে।

অপরদিকে তিতাস দাবি করছে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ভর্তুকি প্রত্যাহার এবং রাজস্ব ঘাটতি কমানোর লক্ষ্যে চার শ্রেণির ব্যবহারকারীর জন্য গ্যাসের দাম ১৭৯% পর্যন্ত বৃদ্ধি করে সরকার। সে সময় আবাসিক, সিএনজি, সার এবং চা বাগানের ব্যবহারকারীদের জন্য গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়নি। তিতাসের চিঠিতে পোস্টেজ মিটার ব্যবহারকারী গ্রাহকদের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এতে গত অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত বিলের হিসাব দেখানো হয়েছে। এতে দেখা যায়, দুই চুলার মিটারযুক্ত আবাসিক গ্রাহকরা প্রতিমাসে গড়ে ৯৭ ঘনমিটার গ্যাস ব্যবহার করেন। মার্চে এমন গ্রাহকের সংখ্যা ছিল ৫৩ হাজার ৭৪৪। বর্তমানে ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগে তিতাসের ২৮ লাখ ৫৭ হাজার আবাসিক গ্রাহক রয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৫ লাখ ২৫ হাজার মিটারবিহীন ও ৩ লাখ ৩২ হাজার প্রিপেইড মিটারের গ্রাহক।

ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম বলেন, কমিশনের হিসাবেই দেখা যায়, মিটারবিহীন দুই চুলার গ্রাহকের মাসে ৫০ ঘনমিটার এবং এক চুলার গ্রাহকরা মাসে ৪৫ ঘনমিটার গ্যাস ব্যবহার করেন।বাস্তবে অনেক গ্রাহক সে পরিমাণে গ্যাস ব্যবহার করেন না। তিতাস এই সীমা পরিবর্তনের যে দাবি করেছে তা অযৌক্তিক। নিজেদের দুর্নীতি ও গ্যাস চুরি বৈধ করতে গ্যাসের দাম বাড়াতে চায়।

বিইআরসির চেয়ারম্যান মো. নূরুল আমিন বলেন, তিতাসের প্রস্তাব গ্রহণ করেছে কমিশন। বিধি মোতাবেক এ নিয়ে করণীয় ঠিক করতে প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হয়েছে।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

আজ উদ্বোধন হচ্ছে মাওলানা ভাসানী সেতু

দুই চুলার গ্যাসের দাম ৫১২ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে তিতাস

প্রকাশিতঃ ১২:০২:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ মে ২০২৩

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) পর এবার গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশের বৃহত্তম গ্যাস বিতরণ কোম্পানি তিতাস। এতে এক চুলার বিল ৩৮৯ টাকা বেড়ে হবে ১ হাজার ৩৭৯ টাকা এবং দুই চুলার বিল ৫১২ টাকা বেড়ে হবে ১ হাজার ৫৯২ টাকা। গত ২ মে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে দাম বাড়ানোর এ প্রস্তাব পাঠিয়েছে তিতাস।

এর আগে গত জুনে আবাসিক গ্রাহকদের গ্যাসের দাম বাড়ায় জ্বালানি খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিইআরসি। এ সময় প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ১৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে মিটার ছাড়া গ্রাহকদের জন্য মাসে গ্যাস ব্যবহারের পরিমাণ কমিয়ে দুই চুলায় ৬০ ঘনমিটার ও এক চুলায় ৫৫ ঘনমিটার ধরা হয়। এতে দুই চুলার মাসিক বিল ১ হাজার ৮০ টাকা ও এক চুলার বিল ৯৯০ টাকা ঘোষণা করা হয়েছিল। কমিশনের এ ঘোষণার ১০ মাস পর এতে আপত্তি জানিয়েছে তিতাস।

তিতাসের প্রস্তাবে বলা হয়, কমবেশি ২৫ লাখ গ্রাহকের বিপরীতে কোনো সমীক্ষা বা তথ্য বিশ্লেষণ না করেই ঘনমিটারের পরিমাণ নির্ধারণ করেছে বিইআরসি। এতে কারিগরি ক্ষতি বেড়েছে এবং তিতাস আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

তবে বিইআরসি বলছে, তিতাসের অভিযোগ সঠিক নয়। গত বছর গ্যাসের দাম নিয়ে শুনানির সময় তিতাসের ৩ লাখ ২০ হাজার ও চট্টগ্রামের কর্ণফুলী গ্যাস কোম্পানির ৫০ হাজার প্রিপেইড মিটার গ্রাহকের গ্যাস বিল বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এতে দেখা যায়, প্রতিমাসে দুই চুলার গ্রাহকরা গড়ে ৪৫ ঘনমিটার গ্যাস ব্যবহার করেন। কিন্তু মিটার ছাড়া গ্রাহকদের জন্য তা কিছুটা বাড়িয়ে ৬০ ঘনমিটার নির্ধারণ করা হয়েছিল। এ সময় বলা হয়েছিল, ভবিষ্যতে ঘনমিটারের পরিমাণ আরও কমানো হবে।

অপরদিকে তিতাস দাবি করছে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ভর্তুকি প্রত্যাহার এবং রাজস্ব ঘাটতি কমানোর লক্ষ্যে চার শ্রেণির ব্যবহারকারীর জন্য গ্যাসের দাম ১৭৯% পর্যন্ত বৃদ্ধি করে সরকার। সে সময় আবাসিক, সিএনজি, সার এবং চা বাগানের ব্যবহারকারীদের জন্য গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়নি। তিতাসের চিঠিতে পোস্টেজ মিটার ব্যবহারকারী গ্রাহকদের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এতে গত অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত বিলের হিসাব দেখানো হয়েছে। এতে দেখা যায়, দুই চুলার মিটারযুক্ত আবাসিক গ্রাহকরা প্রতিমাসে গড়ে ৯৭ ঘনমিটার গ্যাস ব্যবহার করেন। মার্চে এমন গ্রাহকের সংখ্যা ছিল ৫৩ হাজার ৭৪৪। বর্তমানে ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগে তিতাসের ২৮ লাখ ৫৭ হাজার আবাসিক গ্রাহক রয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৫ লাখ ২৫ হাজার মিটারবিহীন ও ৩ লাখ ৩২ হাজার প্রিপেইড মিটারের গ্রাহক।

ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম বলেন, কমিশনের হিসাবেই দেখা যায়, মিটারবিহীন দুই চুলার গ্রাহকের মাসে ৫০ ঘনমিটার এবং এক চুলার গ্রাহকরা মাসে ৪৫ ঘনমিটার গ্যাস ব্যবহার করেন।বাস্তবে অনেক গ্রাহক সে পরিমাণে গ্যাস ব্যবহার করেন না। তিতাস এই সীমা পরিবর্তনের যে দাবি করেছে তা অযৌক্তিক। নিজেদের দুর্নীতি ও গ্যাস চুরি বৈধ করতে গ্যাসের দাম বাড়াতে চায়।

বিইআরসির চেয়ারম্যান মো. নূরুল আমিন বলেন, তিতাসের প্রস্তাব গ্রহণ করেছে কমিশন। বিধি মোতাবেক এ নিয়ে করণীয় ঠিক করতে প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হয়েছে।