১০:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
পাঁচ দিন ধরে সাগরে ভাসমান ২৬ জেলেকে উদ্ধার করলো নৌ বাহিনী মেনন-পলক-দস্তগীরসহ চারজনের বিরুদ্ধে নতুন মামলায় গ্রেফতার তীব্র যানজটে আটকা পড়ে সড়ক উপদেষ্টা মোটরসাইকেলে গন্তব্যে পৌঁছেছেন ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের পাশে আবর্জনার স্তূপ ঢেকে দেওয়া হলো বিশিষ্ট উপদেষ্টার আগমনের জন্য প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ: দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার প্রত্যয় আওয়ামী লীগের বিচারকাজের জন্য আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু জয়পুরহাটের কানাইপুকুর গ্রামে বিরল শামুকখোল পাখির অভয়ারণ্য শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়ার প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন সিইসির মনে অবস্থান: এবারের নির্বাচন জীবনশেষের সুযোগ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিদায় সাক্ষাৎ জাতিসংঘের অভিবাসী সমন্বয়কের

প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট পেলো নামিবিয়া

নামিবিয়ার ক্ষমতাসীন এসডব্লিউএপিও দলের নেত্রী নেতুম্বো নান্দি নাদাইতওয়া দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। দায়িত্ব নিলে তিনি হবেন নামিবিয়ার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দেশটির নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ করে। খবর রয়টার্সের।

৭২ বছর বয়সী নান্দি নাদাইতওয়া বর্তমানে নাবিবিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার জয়ের মধ্য দিয়ে এসডব্লিউএপিও দলটির ক্ষমতায় থাকার মেয়াদ আরও বাড়ছে। ১৯৯০ সালে দলটির নেতৃত্বে নামিবিয়া দক্ষিণ আফ্রিকার কাছ থেকে স্বাধীন হয়। এরপর ৩৪ বছর ধরে দলটি ক্ষমতায় আছে।

নামিবিয়ার নির্বাচন কমিশনের হিসাব অনুসারে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নান্দি ৫৭ শতাংশের মতো ভোট পেয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হতে তার প্রয়োজন ছিল ৫০ শতাংশের বেশি ভোট।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী ঘোষণা করার পর নান্দি নাদাইতওয়া বলেন, নামিবিয়ার জনগণ শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য ভোট দিয়েছেন।

ষাটের দশকে নান্দি যখন এসডব্লিউএপিওতে যোগ দেন, তখন দলটি স্বাধীনতার জন্য লড়ছিল। নামিবিয়ায় গণতান্ত্রিক যুগ শুরু হওয়ার পর নান্দি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ অসংখ্য জ্যেষ্ঠ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

নির্বাচনে নান্দির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন পান্দুলেনি ইতুলা। ইনডিপেনডেন্ট প্যাট্রিয়টস ফর চেঞ্জ (আইপিসি) দলের এ নেতা নির্বাচনে প্রায় ২৬ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন।

নামিবিয়ায় আলাদা করে জাতীয় পরিষদেও ভোট হয়েছে। এসডব্লিউএপিও দলটি সেখানেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। জাতীয় পরিষদে ৯৬টি নির্বাচনী আসনের মধ্যে ৫১টিতে জয়ী হয়েছে দলটি। পরিষদে আইপিসি ২০টি আসনে জয়ী হয়েছে। তারা জাতীয় পরিষদে বিরোধী দল হচ্ছে।

তবে আইপিসি বলেছে, তারা নির্বাচনের ফল চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যাবে। নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে অত্যন্ত ত্রুটিপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছে তারা।

গত ২৭ নভেম্বর নামিবিয়ায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন চলাকালে বিভিন্ন কারিগরি জটিলতা এবং ব্যালট পেপারের ঘাটতি দেখা দেয়। এমন অবস্থায় কিছু কিছু জায়গায় ভোট গ্রহণের সময় বাড়ানো হয়। এতে ফলাফল ঘোষণা করতে দেরি হয়ে যায়।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, নির্বাচনে এসডব্লিউএপিওর এ বিজয় নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। কারণ, উচ্চমাত্রার বেকারত্ব ও অসমতা নিয়ে দেশের মানুষের মধ্যে হতাশা বাড়ছিল। তবে জাতীয় মুক্তিসংগ্রামে ভূমিকার কারণে গ্রামীণ এলাকা এবং বয়স্ক ভোটারদের মধ্যে দলটি শক্ত সমর্থন ধরে রেখেছে।

বিশ্লেষক রাক্কেল আন্দ্রিয়াস বলেন, নান্দি নাদাইতওয়া এসডব্লিউএপিওর বিভক্ত হয়ে পড়া বিভিন্ন অংশকে ঐক্যবদ্ধ করতে পেরেছেন এবং দলের অন্য সদস্যদের মতো তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নেই।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

দৌলতপুরে মা ইলিশ রক্ষায় অভিযান, অবৈধ জাল জব্দ ও জেলেকে জরিমানা

প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট পেলো নামিবিয়া

প্রকাশিতঃ ০৫:০১:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪

নামিবিয়ার ক্ষমতাসীন এসডব্লিউএপিও দলের নেত্রী নেতুম্বো নান্দি নাদাইতওয়া দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। দায়িত্ব নিলে তিনি হবেন নামিবিয়ার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দেশটির নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ করে। খবর রয়টার্সের।

৭২ বছর বয়সী নান্দি নাদাইতওয়া বর্তমানে নাবিবিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার জয়ের মধ্য দিয়ে এসডব্লিউএপিও দলটির ক্ষমতায় থাকার মেয়াদ আরও বাড়ছে। ১৯৯০ সালে দলটির নেতৃত্বে নামিবিয়া দক্ষিণ আফ্রিকার কাছ থেকে স্বাধীন হয়। এরপর ৩৪ বছর ধরে দলটি ক্ষমতায় আছে।

নামিবিয়ার নির্বাচন কমিশনের হিসাব অনুসারে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নান্দি ৫৭ শতাংশের মতো ভোট পেয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হতে তার প্রয়োজন ছিল ৫০ শতাংশের বেশি ভোট।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী ঘোষণা করার পর নান্দি নাদাইতওয়া বলেন, নামিবিয়ার জনগণ শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য ভোট দিয়েছেন।

ষাটের দশকে নান্দি যখন এসডব্লিউএপিওতে যোগ দেন, তখন দলটি স্বাধীনতার জন্য লড়ছিল। নামিবিয়ায় গণতান্ত্রিক যুগ শুরু হওয়ার পর নান্দি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ অসংখ্য জ্যেষ্ঠ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

নির্বাচনে নান্দির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন পান্দুলেনি ইতুলা। ইনডিপেনডেন্ট প্যাট্রিয়টস ফর চেঞ্জ (আইপিসি) দলের এ নেতা নির্বাচনে প্রায় ২৬ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন।

নামিবিয়ায় আলাদা করে জাতীয় পরিষদেও ভোট হয়েছে। এসডব্লিউএপিও দলটি সেখানেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। জাতীয় পরিষদে ৯৬টি নির্বাচনী আসনের মধ্যে ৫১টিতে জয়ী হয়েছে দলটি। পরিষদে আইপিসি ২০টি আসনে জয়ী হয়েছে। তারা জাতীয় পরিষদে বিরোধী দল হচ্ছে।

তবে আইপিসি বলেছে, তারা নির্বাচনের ফল চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যাবে। নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে অত্যন্ত ত্রুটিপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছে তারা।

গত ২৭ নভেম্বর নামিবিয়ায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন চলাকালে বিভিন্ন কারিগরি জটিলতা এবং ব্যালট পেপারের ঘাটতি দেখা দেয়। এমন অবস্থায় কিছু কিছু জায়গায় ভোট গ্রহণের সময় বাড়ানো হয়। এতে ফলাফল ঘোষণা করতে দেরি হয়ে যায়।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, নির্বাচনে এসডব্লিউএপিওর এ বিজয় নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। কারণ, উচ্চমাত্রার বেকারত্ব ও অসমতা নিয়ে দেশের মানুষের মধ্যে হতাশা বাড়ছিল। তবে জাতীয় মুক্তিসংগ্রামে ভূমিকার কারণে গ্রামীণ এলাকা এবং বয়স্ক ভোটারদের মধ্যে দলটি শক্ত সমর্থন ধরে রেখেছে।

বিশ্লেষক রাক্কেল আন্দ্রিয়াস বলেন, নান্দি নাদাইতওয়া এসডব্লিউএপিওর বিভক্ত হয়ে পড়া বিভিন্ন অংশকে ঐক্যবদ্ধ করতে পেরেছেন এবং দলের অন্য সদস্যদের মতো তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নেই।