০২:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
আন্তর্জাতিকভাবে দাবি জানানোয় বন্দিদের মুক্তি ঘোষণা বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর দোয়ার আবেদন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্কটকালে মায়ের স্নেহ পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমারও: তারেক রহমান মৌসুমি সবজি বাজারে ভরপুর, দাম কমে গেছে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় দোয়া ও মোনাজাত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের জন্য ভর্তুকির দাবি আরব আমিরাতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া ২৪ ব্যক্তির মুক্তি আসছে বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা মনের আকাঙ্ক্ষা ও রাজনৈতিক বাস্তবতার মধ্যে দ্বন্দ্ব: তারেক রহমানের মন্তব্য বাজারে মৌসুমি সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি ও দাম কমে যাচ্ছে

এই বছর প্রায় তিন লাখ ডেঙ্গু রোগী ভারতে

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৪৩০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে কেউ এখনো মারা যাননি। এই বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যু হয়েছে ১১৮ জনের এবং হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৯,৯৪৪ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আজ বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, আগস্ট মাসে এখন পর্যন্ত ৮,৯৬৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং মারা গেছেন ৩৫ জন। দেশের বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন ১,৪২৬ জন ডেঙ্গু রোগী। এর মধ্যে ঢাকায় ৪৭৮ জন এবং অন্যান্য বিভাগে ৯৪৮ জন রোগী চিকিৎসাধীন।

অন্তঃবর্তী রিপোর্ট অনুযায়ী, এই বছরে জানুয়ারিতে ১,১৬১ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪ জন, মার্চে ৩৩৬ জন, এপ্রিল ৭০১ জন, মে-তে ১,৭৭৩ জন, জুনে ৫,৯৫১ জন এবং জুলাইয়ে ১০,৬৮৪ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সেসময় মৃত্যুর সংখ্যা ছিল যথাক্রমে জানুয়ারিতে ১০, ফেব্রুয়ারিতে ৩, এপ্রিলে ৭, মে-তে ৩, জুনে ১৯ এবং জুলাইয়ে ৪১ জন।

আশঙ্কা করা হচ্ছে, আগামী সেপ্টেম্বর মাসে উচ্চ আর্দ্রতা এবং অবিরাম বৃষ্টিপাতের কারণে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব আবার বাড়তে পারে। রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে রোগী বাড়ার আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে, যেমনটি পূর্ববর্তী ডেঙ্গু পরিস্থিতির রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

সম্প্রতি গুলশানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ‘ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া সংলাপ আগস্ট ২০২৫: প্রতিরোধ, প্রস্তুতি ও নিরসন’ শীর্ষক সভায় এ বিষয়ের উপর আলোচনা হয়।

প্রতিবেদনে দেখা গেছে, আগস্টে টানা বর্ষাকাল এবং বিগত বছরের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী সেপ্টেম্বর মাসে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়তে পারে। এতে হাসপাতালগুলোতে ভর্তির চাপ আরও বাড়বে বলে সতর্ক করা হয়। তবে, বর্ষা শেষে অক্টোবরে সংক্রমণ কমার সম্ভাবনা থাকলেও দ্বিতীয় দফায় আবার প্রাদুর্ভাবের আশঙ্কা দেখানো হয়েছে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় লার্ভিসাইডিং, স্যানিটেশন এবং জনসচেতনতা কর্মসূচি জোরদার করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন বিশেষজ্ঞরা।

সভায় মশক নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে প্রতি অবাধ্যতার কারণগুলো তুলে ধরা হয়, যেখানে বলা হয় জনসাধারণের সচেতনতার ঘাটতি, সঠিক কীটনাশক প্রয়োগের অভাব এবং সরকারি পক্ষের অপর্যাপ্ত উদ্যোগ এর জন্য দায়ী। অপরিকল্পিত নগরায়ন, পানি নিষ্কাশনের সমস্যা ও আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে মশার বংশবিস্তারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফগিং ও অন্যান্য নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের উপর ভিত্তি করে ভুল ধারণাও পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলছে।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

এই বছর প্রায় তিন লাখ ডেঙ্গু রোগী ভারতে

প্রকাশিতঃ ১০:৪৬:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৫

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৪৩০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে কেউ এখনো মারা যাননি। এই বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যু হয়েছে ১১৮ জনের এবং হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৯,৯৪৪ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আজ বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, আগস্ট মাসে এখন পর্যন্ত ৮,৯৬৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং মারা গেছেন ৩৫ জন। দেশের বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন ১,৪২৬ জন ডেঙ্গু রোগী। এর মধ্যে ঢাকায় ৪৭৮ জন এবং অন্যান্য বিভাগে ৯৪৮ জন রোগী চিকিৎসাধীন।

অন্তঃবর্তী রিপোর্ট অনুযায়ী, এই বছরে জানুয়ারিতে ১,১৬১ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪ জন, মার্চে ৩৩৬ জন, এপ্রিল ৭০১ জন, মে-তে ১,৭৭৩ জন, জুনে ৫,৯৫১ জন এবং জুলাইয়ে ১০,৬৮৪ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সেসময় মৃত্যুর সংখ্যা ছিল যথাক্রমে জানুয়ারিতে ১০, ফেব্রুয়ারিতে ৩, এপ্রিলে ৭, মে-তে ৩, জুনে ১৯ এবং জুলাইয়ে ৪১ জন।

আশঙ্কা করা হচ্ছে, আগামী সেপ্টেম্বর মাসে উচ্চ আর্দ্রতা এবং অবিরাম বৃষ্টিপাতের কারণে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব আবার বাড়তে পারে। রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে রোগী বাড়ার আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে, যেমনটি পূর্ববর্তী ডেঙ্গু পরিস্থিতির রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

সম্প্রতি গুলশানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ‘ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া সংলাপ আগস্ট ২০২৫: প্রতিরোধ, প্রস্তুতি ও নিরসন’ শীর্ষক সভায় এ বিষয়ের উপর আলোচনা হয়।

প্রতিবেদনে দেখা গেছে, আগস্টে টানা বর্ষাকাল এবং বিগত বছরের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী সেপ্টেম্বর মাসে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়তে পারে। এতে হাসপাতালগুলোতে ভর্তির চাপ আরও বাড়বে বলে সতর্ক করা হয়। তবে, বর্ষা শেষে অক্টোবরে সংক্রমণ কমার সম্ভাবনা থাকলেও দ্বিতীয় দফায় আবার প্রাদুর্ভাবের আশঙ্কা দেখানো হয়েছে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় লার্ভিসাইডিং, স্যানিটেশন এবং জনসচেতনতা কর্মসূচি জোরদার করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন বিশেষজ্ঞরা।

সভায় মশক নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে প্রতি অবাধ্যতার কারণগুলো তুলে ধরা হয়, যেখানে বলা হয় জনসাধারণের সচেতনতার ঘাটতি, সঠিক কীটনাশক প্রয়োগের অভাব এবং সরকারি পক্ষের অপর্যাপ্ত উদ্যোগ এর জন্য দায়ী। অপরিকল্পিত নগরায়ন, পানি নিষ্কাশনের সমস্যা ও আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে মশার বংশবিস্তারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফগিং ও অন্যান্য নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের উপর ভিত্তি করে ভুল ধারণাও পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলছে।