০২:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
আন্তর্জাতিকভাবে দাবি জানানোয় বন্দিদের মুক্তি ঘোষণা বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর দোয়ার আবেদন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্কটকালে মায়ের স্নেহ পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমারও: তারেক রহমান মৌসুমি সবজি বাজারে ভরপুর, দাম কমে গেছে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় দোয়া ও মোনাজাত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের জন্য ভর্তুকির দাবি আরব আমিরাতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া ২৪ ব্যক্তির মুক্তি আসছে বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা মনের আকাঙ্ক্ষা ও রাজনৈতিক বাস্তবতার মধ্যে দ্বন্দ্ব: তারেক রহমানের মন্তব্য বাজারে মৌসুমি সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি ও দাম কমে যাচ্ছে

রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পদমর্যাদাক্রম নিয়ে আপিল শুনানি ৪ নভেম্বর

রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পদমর্যাদাক্রম বা ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সের বিষয়ে দেওয়া আপিল রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আগামী ৪ নভেম্বর আপিল বিভাগের আদেশের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এই রায়টি পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) করতে গতকাল জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ লিভ মঞ্জুর করেছেন।

শুনানিতে, মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পক্ষ থেকে সিনিয়র আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন। অপরদিকে, রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী প্রবীর নিযোগী ও নিহাদ কবির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি and সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলরা, যাদের পক্ষ থেকে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী আহসানুল করিম। এছাড়া, আদালতে ইন্টারভেনর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

প্রসঙ্গত, ১৯৮৬ সালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরি করে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে ওই বছর ১১ সেপ্টেম্বর তা জারি করা হয়, এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় তা সংশোধন করা হয়। তবে এই প্রক্রিয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৬ সালে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক মহাসচিব মো. আতাউর রহমান হাইকোর্টে রিট দাখিল করেন।

হাইকোর্ট ২০১০ সালে সেই ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সকে অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে, যার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ২০১১ সালে আপিল করে। এক বছরের মধ্যে, ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এই রায় পুনর্বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত দেয়: এই রায়ে সংবিধানকে সর্বোচ্চ আইন হিসেবে মান্য করে সাংবিধানিক পদধারীদের অগ্রাধিকার নিশ্চিত করা হয়। পাশাপাশি, জুডিশিয়াল সার্ভিসের সদস্য হিসেবে জেলা জজ ও সমপদমর্যাদাসম্পন্ন কর্মকর্তাদের স্থান নির্ধারণ করা হয় এবং জেলা জজদের পর অতিরিক্ত সচিবদের স্থান দেওয়া হয়।

এর পরিপ্রেক্ষিতে, বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন রিভিউ আবেদন করে, যা পরবর্তীতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলদের পক্ষ থেকে লড়াই চলতে থাকে।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পদমর্যাদাক্রম নিয়ে আপিল শুনানি ৪ নভেম্বর

প্রকাশিতঃ ১০:৪৬:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৫

রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পদমর্যাদাক্রম বা ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সের বিষয়ে দেওয়া আপিল রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আগামী ৪ নভেম্বর আপিল বিভাগের আদেশের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এই রায়টি পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) করতে গতকাল জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ লিভ মঞ্জুর করেছেন।

শুনানিতে, মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পক্ষ থেকে সিনিয়র আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন। অপরদিকে, রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী প্রবীর নিযোগী ও নিহাদ কবির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি and সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলরা, যাদের পক্ষ থেকে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী আহসানুল করিম। এছাড়া, আদালতে ইন্টারভেনর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

প্রসঙ্গত, ১৯৮৬ সালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরি করে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে ওই বছর ১১ সেপ্টেম্বর তা জারি করা হয়, এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় তা সংশোধন করা হয়। তবে এই প্রক্রিয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৬ সালে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক মহাসচিব মো. আতাউর রহমান হাইকোর্টে রিট দাখিল করেন।

হাইকোর্ট ২০১০ সালে সেই ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সকে অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে, যার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ২০১১ সালে আপিল করে। এক বছরের মধ্যে, ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এই রায় পুনর্বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত দেয়: এই রায়ে সংবিধানকে সর্বোচ্চ আইন হিসেবে মান্য করে সাংবিধানিক পদধারীদের অগ্রাধিকার নিশ্চিত করা হয়। পাশাপাশি, জুডিশিয়াল সার্ভিসের সদস্য হিসেবে জেলা জজ ও সমপদমর্যাদাসম্পন্ন কর্মকর্তাদের স্থান নির্ধারণ করা হয় এবং জেলা জজদের পর অতিরিক্ত সচিবদের স্থান দেওয়া হয়।

এর পরিপ্রেক্ষিতে, বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন রিভিউ আবেদন করে, যা পরবর্তীতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলদের পক্ষ থেকে লড়াই চলতে থাকে।