০৮:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
প্রার্থী ভোটে ব্যয় করতে পারবেন সর্বোচ্চ ১০ টাকা করে পিএসসির নন-ক্যাডার পরীক্ষার প্রশ্ন বিক্রির অভিযোগে মূল হোতাকে গ্রেপ্তার সাবেক আইজিপির জবানবন্দি: হাসিনার দুঃশাসনের অবিচ্ছেদ্য দলিল আজ থেকে দেশের স্বর্ণের সর্বোচ্চ দামে বিক্রি শুরু ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টারত বাংলাদেশির ভূমধ্যসাগরে মৃত্যু ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন রূপগঞ্জে ট্রাকের চাপায় যুবকের মৃত্যু দৌলতপুরে প্রান্তিক কৃষকদের জন্য বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূত তারেক মো. আরিফুল ইসলাম পরিবেশ উপদেষ্টার বিশ্বব্যাপী সামুদ্রিক সম্পদ রক্ষার আহ্বান

সাবেক আইজিপির জবানবন্দি: হাসিনার দুঃশাসনের অবিচ্ছেদ্য দলিল

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাজসাক্ষী হিসেবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দেওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের জবানবন্দি নিঃসন্দেহে শেখ হাসিনার দুঃশাসনের এক অপ্রতিরোধ্য দলিল। গতকাল সংবাদ সংস্থা বাসসকে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের জবানবন্দি অবশ্যই শেখ হাসিনার সংক্রান্ত দুঃশাসনের অকাট্য প্রমাণ।’ জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে হওয়া মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ গত মঙ্গলবার এই জবানবন্দি প্রদান করেন সাবেক আইজিপি।

এই জবানবন্দিতে তিনি বলেন, ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কেএসের ফোনে তাকে জানানো হয় যে আন্দোলন দমন করতে সরাসরি প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যা শেখ হাসিনা দিয়েছেন। তিনি তখন পুলিশ সদর দপ্তরে ছিলেন এবং তার সামনে ছিলেন তৎকালীন অতিরিক্ত ডিআইজি প্রলয় কুমার জোয়ারদার। পরে এই নির্দেশ দেশের অন্যান্য পুলিশ অধিদপ্তরে পৌঁছে দেওয়া হয়। এরপর থেকে মারণাস্ত্রের ব্যবহার শুরু হয়।

আবদুল্লাহ আল মামুন আরও জানান, এই মারণাস্ত্র ব্যবহারে সক্রিয় ছিলেন ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান ও সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশ ছিল, যেকোনো মূল্যে আন্দোলন দমন করতে হবে। এই জবানবন্দিতে তিনি উল্লেখ করেন, শেখ হাসিনাকে মরণাস্ত্র ব্যবহারে প্ররোচিত করতেন ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান, আনিসুল হক, সালমান এফ রহমান, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মির্জা আজম, ফজলে নূর তাপস ও মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান দমাতে হেলিকপ্টার ও ড্রোন ব্যবহারের বিষয়ে জবানবন্দিতে তিনি জানিয়েছেন, এইসব টেকনোলজি সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবহৃত হয়। এর পরামর্শ ছিল র‌্যাবের তৎকালীন মহাপরিচালক হারুন অর রশীদ। আন্দোলনপ্রবণ এলাকাগুলো ভাগ করে ব্লক রেইডের মাধ্যমে এসব অস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে ছাত্র-জনতাকে হত্যার ও আহতের ঘটনা ঘটে। আন্দোলন দমন করতে যোগদানে আউটসাইড শিল্পী, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক কর্মীরাও সরকারের উৎসাহ প্রদান করেন।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই থেকে শুরু করে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে ‘কোর কমিটি’র বৈঠকগুলো নির্ধারিত হয় যেখানে আন্দোলনের দমন-পীড়নের নানা নির্দেশনা দেওয়া হয়। এসব বৈঠকগুলোতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকতেন। তাতে সিদ্ধান্ত হয় আন্দোলন রোধে পুলিশ ও সেনাবাহিনী সমন্বয় করবে। এর পাশাপাশি, ৫ আগস্টের আন্দোলনের পরিকল্পনা, সেনাবাহিনীর কার্যক্রম ও কার্যপ্রক্রিয়া নির্ধারিত হয়।

আন্দোলনের সময়ে বিভিন্ন পদক্ষেপের বর্ণনাও দেন সাবেক আইজিপি। তিনি জানান, ২৭ জুলাই নারায়ণগঞ্জে অবস্থানকালে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। ওয়ারি জোনের ডিসি ইকবাল মোবাইলে একটি ভিডিও দেখান যেখানে গুলির ঘটনায় একজনের মৃত্যুর প্রতিবেদন রয়েছে। এই ভিডিও পরবর্তীতে সারাদেশে ভাইরাল হয়। ২০১৮ সালে ঢাকা নির্বাচনের সময়ও তিনি বলছেন, ওই সময়ের আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারীর নেতৃত্বে নির্বাচনের আগে ব্যালটের ব্যাপারে নির্দেশনা ছিল।

তাছাড়া, ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত র‌্যাবের মহাপরিচালকের দায়িত্বে থাকাকালীন রাজনৈতিক অসন্তুষ্টি ও হিংসা বাড়ানোর জন্য পরিচালিত বন্দিশালা, আটক, নির্যাতন ও ক্রসফায়ার, সবই তিনি বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেন। এসব কর্মকা-ের নেতৃত্বে থাকতেন র‌্যাবের প্রধানরা এবং সেই সব অপকর্মs সরাসরি প্রধানমন্ত্রী দপ্তর থেকে নির্দেশনা পেয়ে চালানো হতো। এডিজি ও গোয়েন্দা বিভাগের নেতাদের কাছে এসব নির্দেশ সরাসরি পাঠানো হতো বলে তিনি সাক্ষ্য দেন। পরবর্তীতে, বিএনজীর আহমেদ তাঁর গোপন আটক ও অপরাধের বিষয়ে অবহিত করতেন।

অবশেষে, তিনি স্বীকার করেন, সরকারের এই কর্মকাণ্ডে নিজের অংশগ্রহণের জন্য গভীর আক্ষেপে ভুগছেন। বলেন, আন্দোলনের সময় নিরীহ মানুষ ও হত্যা-নিহতের পরিবারের প্রতি তাঁদের অপরাধবোধ ও দুঃখ প্রকাশ করতে চান। নিজেকে ক্ষমা চেয়ে বললেন, এই সত্যের প্রকাশ ঘটলে আল্লাহ আরও দীর্ঘ জীবন দান করবেন, যাতে ভবিষ্যতে কিছুটা হলেও ক্ষমা পেতে পারেন।

আবদুল্লাহ আল মামুনের এই স্বীকারোক্তি শুনে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, এই সাক্ষ্য আন্তর্জাতিক আদালতেও অপ্রতিরোধ্য বলে বিবেচিত হবে। এটি শুধু এক কোটি পাঁচ লাখের বেশি মানুষের জন্য নয়, বাংলাদেশের গত ১৫ বছরে ঘটে যাওয়া গুম-খুনের বিরুদ্ধে এক শক্তিশালী সরাসরি দলিল। অন্যদিকে, মামলায় পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের জন্য রাষ্ট্র থেকে আইনজীবী আইনি লড়াই চালাচ্ছেন।

ট্যাগ :

সাবেক আইজিপির জবানবন্দি: হাসিনার দুঃশাসনের অবিচ্ছেদ্য দলিল

প্রকাশিতঃ ১০:৪৭:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাজসাক্ষী হিসেবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দেওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের জবানবন্দি নিঃসন্দেহে শেখ হাসিনার দুঃশাসনের এক অপ্রতিরোধ্য দলিল। গতকাল সংবাদ সংস্থা বাসসকে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের জবানবন্দি অবশ্যই শেখ হাসিনার সংক্রান্ত দুঃশাসনের অকাট্য প্রমাণ।’ জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে হওয়া মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ গত মঙ্গলবার এই জবানবন্দি প্রদান করেন সাবেক আইজিপি।

এই জবানবন্দিতে তিনি বলেন, ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কেএসের ফোনে তাকে জানানো হয় যে আন্দোলন দমন করতে সরাসরি প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যা শেখ হাসিনা দিয়েছেন। তিনি তখন পুলিশ সদর দপ্তরে ছিলেন এবং তার সামনে ছিলেন তৎকালীন অতিরিক্ত ডিআইজি প্রলয় কুমার জোয়ারদার। পরে এই নির্দেশ দেশের অন্যান্য পুলিশ অধিদপ্তরে পৌঁছে দেওয়া হয়। এরপর থেকে মারণাস্ত্রের ব্যবহার শুরু হয়।

আবদুল্লাহ আল মামুন আরও জানান, এই মারণাস্ত্র ব্যবহারে সক্রিয় ছিলেন ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান ও সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশ ছিল, যেকোনো মূল্যে আন্দোলন দমন করতে হবে। এই জবানবন্দিতে তিনি উল্লেখ করেন, শেখ হাসিনাকে মরণাস্ত্র ব্যবহারে প্ররোচিত করতেন ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান, আনিসুল হক, সালমান এফ রহমান, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মির্জা আজম, ফজলে নূর তাপস ও মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান দমাতে হেলিকপ্টার ও ড্রোন ব্যবহারের বিষয়ে জবানবন্দিতে তিনি জানিয়েছেন, এইসব টেকনোলজি সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবহৃত হয়। এর পরামর্শ ছিল র‌্যাবের তৎকালীন মহাপরিচালক হারুন অর রশীদ। আন্দোলনপ্রবণ এলাকাগুলো ভাগ করে ব্লক রেইডের মাধ্যমে এসব অস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে ছাত্র-জনতাকে হত্যার ও আহতের ঘটনা ঘটে। আন্দোলন দমন করতে যোগদানে আউটসাইড শিল্পী, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক কর্মীরাও সরকারের উৎসাহ প্রদান করেন।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই থেকে শুরু করে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে ‘কোর কমিটি’র বৈঠকগুলো নির্ধারিত হয় যেখানে আন্দোলনের দমন-পীড়নের নানা নির্দেশনা দেওয়া হয়। এসব বৈঠকগুলোতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকতেন। তাতে সিদ্ধান্ত হয় আন্দোলন রোধে পুলিশ ও সেনাবাহিনী সমন্বয় করবে। এর পাশাপাশি, ৫ আগস্টের আন্দোলনের পরিকল্পনা, সেনাবাহিনীর কার্যক্রম ও কার্যপ্রক্রিয়া নির্ধারিত হয়।

আন্দোলনের সময়ে বিভিন্ন পদক্ষেপের বর্ণনাও দেন সাবেক আইজিপি। তিনি জানান, ২৭ জুলাই নারায়ণগঞ্জে অবস্থানকালে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। ওয়ারি জোনের ডিসি ইকবাল মোবাইলে একটি ভিডিও দেখান যেখানে গুলির ঘটনায় একজনের মৃত্যুর প্রতিবেদন রয়েছে। এই ভিডিও পরবর্তীতে সারাদেশে ভাইরাল হয়। ২০১৮ সালে ঢাকা নির্বাচনের সময়ও তিনি বলছেন, ওই সময়ের আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারীর নেতৃত্বে নির্বাচনের আগে ব্যালটের ব্যাপারে নির্দেশনা ছিল।

তাছাড়া, ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত র‌্যাবের মহাপরিচালকের দায়িত্বে থাকাকালীন রাজনৈতিক অসন্তুষ্টি ও হিংসা বাড়ানোর জন্য পরিচালিত বন্দিশালা, আটক, নির্যাতন ও ক্রসফায়ার, সবই তিনি বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেন। এসব কর্মকা-ের নেতৃত্বে থাকতেন র‌্যাবের প্রধানরা এবং সেই সব অপকর্মs সরাসরি প্রধানমন্ত্রী দপ্তর থেকে নির্দেশনা পেয়ে চালানো হতো। এডিজি ও গোয়েন্দা বিভাগের নেতাদের কাছে এসব নির্দেশ সরাসরি পাঠানো হতো বলে তিনি সাক্ষ্য দেন। পরবর্তীতে, বিএনজীর আহমেদ তাঁর গোপন আটক ও অপরাধের বিষয়ে অবহিত করতেন।

অবশেষে, তিনি স্বীকার করেন, সরকারের এই কর্মকাণ্ডে নিজের অংশগ্রহণের জন্য গভীর আক্ষেপে ভুগছেন। বলেন, আন্দোলনের সময় নিরীহ মানুষ ও হত্যা-নিহতের পরিবারের প্রতি তাঁদের অপরাধবোধ ও দুঃখ প্রকাশ করতে চান। নিজেকে ক্ষমা চেয়ে বললেন, এই সত্যের প্রকাশ ঘটলে আল্লাহ আরও দীর্ঘ জীবন দান করবেন, যাতে ভবিষ্যতে কিছুটা হলেও ক্ষমা পেতে পারেন।

আবদুল্লাহ আল মামুনের এই স্বীকারোক্তি শুনে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, এই সাক্ষ্য আন্তর্জাতিক আদালতেও অপ্রতিরোধ্য বলে বিবেচিত হবে। এটি শুধু এক কোটি পাঁচ লাখের বেশি মানুষের জন্য নয়, বাংলাদেশের গত ১৫ বছরে ঘটে যাওয়া গুম-খুনের বিরুদ্ধে এক শক্তিশালী সরাসরি দলিল। অন্যদিকে, মামলায় পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের জন্য রাষ্ট্র থেকে আইনজীবী আইনি লড়াই চালাচ্ছেন।