০৮:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
প্রার্থী ভোটে ব্যয় করতে পারবেন সর্বোচ্চ ১০ টাকা করে পিএসসির নন-ক্যাডার পরীক্ষার প্রশ্ন বিক্রির অভিযোগে মূল হোতাকে গ্রেপ্তার সাবেক আইজিপির জবানবন্দি: হাসিনার দুঃশাসনের অবিচ্ছেদ্য দলিল আজ থেকে দেশের স্বর্ণের সর্বোচ্চ দামে বিক্রি শুরু ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টারত বাংলাদেশির ভূমধ্যসাগরে মৃত্যু ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূত তারেক মো. আরিফুল ইসলাম রূপগঞ্জে ট্রাকের চাপায় যুবকের মৃত্যু দৌলতপুরে প্রান্তিক কৃষকদের জন্য বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ পরিবেশ উপদেষ্টার বিশ্বব্যাপী সামুদ্রিক সম্পদ রক্ষার আহ্বান

পিএসসির নন-ক্যাডার পরীক্ষার প্রশ্ন বিক্রির অভিযোগে মূল হোতাকে গ্রেপ্তার

বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) অধীনে আগমী ১২ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য থানা শিক্ষা অফিসার পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের নামে প্রতারণা এবং অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) একটি বড় অভিযান চালিয়েছে। অভিযানে প্রধান হোতাকে জামালপুরের মেলান্দহ থেকে নাশকতার জন্য গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তি মতিউর রহমান (৩২), যিনি জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার নাসির উদ্দিনের ছেলে।

সিআইডির সুপারনিউমারী অতিরিক্ত ডিআইজি মো. জাহিদুল ইসলাম বুধবার সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, প্রতারক চক্রটি আগামী ১২ সেপ্টেম্বরের পিএসসির অধীন উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার (এটিইও) পরীক্ষার আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রলোভনমূলক পোস্ট করে আইডিয়া ছড়িয়ে দেয়। সেখানে বলা হয়, পরীক্ষার ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ সমন্বিত প্রশ্নের উত্তর সহ ৫৫০টি এমসিকিউ প্রশ্নের সেট প্রদান করা হবে।

প্রতারণাকারীরা অগ্রিম টাকা নিতে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে যোগাযোগের জন্য প্রলোভন দেয়, যার মাধ্যমে পরীক্ষার্থীরা বিভ্রান্ত হয়ে চক্রের সাথে যোগাযোগ করে। প্রলোভনসঙ্কুল এই অফারে অনেকই অংশ নেয় এবং ন্যূনতম ২৮০ থেকে ১৬০০ টাকার মধ্যে প্রতারণার শিকার হন।

সিআইডি জানায়, বিষয়টি জানাজানি হলে তারা পুলিশের মাধ্যমে অভিযোগ গ্রহণ করে। আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে চক্রের মূলহোতা মতিউরকে শনাক্ত করে জামালপুর ও জেলা পুলিশসহ সহযোগিতায় গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন ও একটি ল্যাপটপ জব্দ করা হয়েছে, যা থেকে তার জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

অধিকাংশ আসামি এখনও অধরা থাকায় সিআইডি অভিযান চালিয়ে তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে কাজ করছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে আদালতে হাজির করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

সিআইডির কর্মকর্তারা উল্লেখ করেন, বাজারে নানা ধরনের গাইড বা বই খুবই সহজলভ্য, যা শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করে; অন্যদিকে আসামিরা প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।

প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জরিত গ্রেপ্তার ব্যক্তির বিষয়টি খতিয়ে দেখলেও, পিএসসির পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন হবে বলে পুনরায় জানানো হয়। পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দিলাওয়েজ দারদুনা নিশ্চিত করেন, এই ঘটনার কোন প্রভাব পরীক্ষার সময়সূচিতে পড়বে না।

ট্যাগ :

পিএসসির নন-ক্যাডার পরীক্ষার প্রশ্ন বিক্রির অভিযোগে মূল হোতাকে গ্রেপ্তার

প্রকাশিতঃ ১০:৪৭:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) অধীনে আগমী ১২ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য থানা শিক্ষা অফিসার পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের নামে প্রতারণা এবং অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) একটি বড় অভিযান চালিয়েছে। অভিযানে প্রধান হোতাকে জামালপুরের মেলান্দহ থেকে নাশকতার জন্য গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তি মতিউর রহমান (৩২), যিনি জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার নাসির উদ্দিনের ছেলে।

সিআইডির সুপারনিউমারী অতিরিক্ত ডিআইজি মো. জাহিদুল ইসলাম বুধবার সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, প্রতারক চক্রটি আগামী ১২ সেপ্টেম্বরের পিএসসির অধীন উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার (এটিইও) পরীক্ষার আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রলোভনমূলক পোস্ট করে আইডিয়া ছড়িয়ে দেয়। সেখানে বলা হয়, পরীক্ষার ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ সমন্বিত প্রশ্নের উত্তর সহ ৫৫০টি এমসিকিউ প্রশ্নের সেট প্রদান করা হবে।

প্রতারণাকারীরা অগ্রিম টাকা নিতে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে যোগাযোগের জন্য প্রলোভন দেয়, যার মাধ্যমে পরীক্ষার্থীরা বিভ্রান্ত হয়ে চক্রের সাথে যোগাযোগ করে। প্রলোভনসঙ্কুল এই অফারে অনেকই অংশ নেয় এবং ন্যূনতম ২৮০ থেকে ১৬০০ টাকার মধ্যে প্রতারণার শিকার হন।

সিআইডি জানায়, বিষয়টি জানাজানি হলে তারা পুলিশের মাধ্যমে অভিযোগ গ্রহণ করে। আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে চক্রের মূলহোতা মতিউরকে শনাক্ত করে জামালপুর ও জেলা পুলিশসহ সহযোগিতায় গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন ও একটি ল্যাপটপ জব্দ করা হয়েছে, যা থেকে তার জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

অধিকাংশ আসামি এখনও অধরা থাকায় সিআইডি অভিযান চালিয়ে তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে কাজ করছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে আদালতে হাজির করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

সিআইডির কর্মকর্তারা উল্লেখ করেন, বাজারে নানা ধরনের গাইড বা বই খুবই সহজলভ্য, যা শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করে; অন্যদিকে আসামিরা প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।

প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জরিত গ্রেপ্তার ব্যক্তির বিষয়টি খতিয়ে দেখলেও, পিএসসির পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন হবে বলে পুনরায় জানানো হয়। পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দিলাওয়েজ দারদুনা নিশ্চিত করেন, এই ঘটনার কোন প্রভাব পরীক্ষার সময়সূচিতে পড়বে না।