চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) প্রথমবারের মতো বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবস উদযাপিত হয়। ঘটনা শনিবার সকাল ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ মিলনায়তনে চবি চিকিৎসা কেন্দ্রের ‘ফিজিওথেরাপি ও স্পোর্টস ইনজুরি রিহ্যাব ইউনিট’ কর্তৃক আয়োজিত এক স্বেচ্ছাসেবামূলক আলোচনা সভার মাধ্যমে এই গুরুত্বপূর্ণ দিনটি পালন করা হয়। এখানে মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘সুস্থ বার্ধক্যে ফিজিওথেরাপি—পড়ে যাওয়া ও দুর্বলতা প্রতিরোধে ফিজিওথেরাপির গুরুত্ব’। বক্তারা উল্লেখ করেন যে, অল্পবয়স থেকে বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ফিজিওথেরাপির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
চবি মেডিকেল সেন্টারের চীফ মেডিকেল অফিসার ডা. মোহাম্মদ আবু তৈয়ুবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য (অ্যাকাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান ও উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন। অতিথিদের মধ্যে আলোচনা করেন বাংলাদেশ ফিজিওথেরাপি অ্যাসোসিয়েশন চট্টগ্রাম বিভাগের সভাপতি ও ফিজিওথেরাপিস্ট মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।
কামরুজ্জামান বলেন, ‘শিশুকাল থেকে বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত সকলের জন্য সুস্থভাবে জীবনযাপন করতে হলে চলাফেরা, বসা, হাঁটা ও কাজকর্মের জন্য সঠিক ergonomics বজায় রাখা জরুরি। বিশেষ করে বৃদ্ধ বয়সে ডায়াবেটিস, হার্ট ডিজিজ, স্ট্রোকের মতো রোগের ঝুঁকি কমাতে এবং ব্যথা নিয়ন্ত্রণে ফিজিওথেরাপি অত্যন্ত কার্যকর।’ তিনি আরও বলেন, ‘অল্পবয়স থেকে শুরু করে বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত ফিজিওথেরাপি গ্রহণের মাধ্যমে শরীরের পেশী ও জয়েন্টের সক্ষমতা ধরে রাখা সম্ভব, যা জীবনমান উন্নত করে।’
উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমরা বেশিরভাগ সময় ফিজিওথেরাপিস্টদের কাছে যেতে আগ্রহী নয় বা এ বিষয়ে সচেতনতা কম। এতে রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা বা সচেতনতা দেখা যায় না। তাই আমাদের অবশ্যই এই বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে।’
অপরদিকে, উপ-উপাচার্য (অ্যাকাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান এই প্রথমবারের মতো চবি-তে দিবসটি উদযাপনের উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
অবশেষে, উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, এই ধরনের উদ্যোগ সত্যিই খুব প্রশংসনীয়। এর ফলে জনগণের মধ্যে ফিজিওথেরাপির গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে, যা দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ।