মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় থাকায় البلادজুড়ে বর্ষা পরিস্থিতি অব্যাহত রয়েছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছে একটি লঘুচাপ, যার প্রভাবে ঢাকাসহ সমগ্র দেশে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এই বৃষ্টি এক সপ্তাহের বেশি থাকতে পারে, অর্থাৎ যতদিন না পর্যন্ত এই অবস্থার পরিবর্তন হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়া বিশ্লেষক কাজী জেবুন্নেছা বলেছেন, মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় দেশের বিভিন্ন অংশে এখনই প্রবল বর্ষণ হচ্ছে। তিনি আরও জানান, এই পরিস্থিতি আগামী ১৯ তারিখ পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এরপর বৃষ্টিপাত কমে আসতে পারে বা কিছু অঞ্চলে বাড়তেও পারে, পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে।
আবহাওয়া অফিসের মতে, পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তার সংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় থাকা লঘুচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে সরে গেছে। এখন এটি তেলেঙ্গা ও তার সংলগ্ন অঞ্চলে অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল ও আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত। এটি বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় থাকায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভারী বর্ষণের প্রবণতা তৈরি করেছে।
আজ রোববার সকাল নয়টায় প্রকাশিত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের বেশিরভাগ এলাকায় অস্থায়ী দমকা হাওয়া এবং হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বর্ষণ বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও মাঝারী থেকে ভারী বর্ষণও দেখা দিতে পারে।
সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম থাকতে পারে। ঢাকায় বাতাস সাধারণত দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার ছড়িয়েড়ে চলতে পারে। রোববার সন্ধ্যার মুহূর্তে ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯০ শতাংশ। সূর্যাস্ত হয়েছে সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে এবং আগামীকাল ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটে সূর্য উঠে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সতর্ক করে বলেছে, আগামী ৭২ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন বিভাগে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণের আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলে। অতিভারী বৃষ্টির কারণে পাহাড়ি এলাকাগুলিতে ভূমিধ্বসের ক্ষতিকর সম্ভবনা রয়েছে। এ ছাড়াও, এই বৃষ্টি কারণে ঢাকাসহ শহরগুলিতে অস্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া রেকর্ড অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় ২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে মাঝারি বর্ষণ ধরা হয়, ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার হলে ভারি বর্ষণ এবং ৮৮ মিলিমিটার এর বেশি হলে অতিভারী বর্ষণ হিসেবে গণ্য করা হয়।
আজ রোববার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল পাবনার ইশ্বরদীতে, যেখানে রেকর্ড হয়েছে ৩৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর পাশাপাশি, সবচেয়ে ঠান্ডা ছিল সিলেটে, যেখানে তাপমাত্রা ২৪.২ ডিগ্রি। আবহাওয়া তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম জেলা সবথেকে বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে, যেখানে ১২৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও রাঙামাটিতে ৮৭, সন্দ্বীপে ৮০ এবং তেঁতুলিয়ায় ৬৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।