১০:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
সংবিধান সংশোধনে গণভোটের মাধ্যমে বৈধতা নেওয়ার পরামর্শ তীব্র তাপপ্রবাহে দেশের ৬ কোটির বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীরা ‘রাজাকারের নাতিপুতি’ বলায় অপমানবোধ করেছিলেন দিল্লির বায়ুদূষণ: ঐতিহাসিক লালকেল্লা কালো হয়ে যাচ্ছে ব্যবসার ডিজিটাল রূপান্তরে ‘সার্ভিসিং২৪’ এর এআই ও আইওটি সেবা জিআইসিসি সম্মেলনে সেতু বিভাগের সচিবের অংশগ্রহণ ভুয়া প্রমাণিত হলে জুলাই যোদ্ধা তালিকা থেকে বাদ ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে ইসির দায়িত্ব চান নির্বাচনী কর্মকর্তারা, অবাধ নির্বাচন নিশ্চিতের প্রত্যাশা তীব্র গরমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি ২১ হাজার কোটি টাকা, সুস্থতা বিপন্ন লিবিয়ার উপকূলে নৌকায় আগুন, কমপক্ষে ৫০ সুদানি শরণার্থী মৃত্যু

লিবিয়ার উপকূলে নৌকায় আগুন, কমপক্ষে ৫০ সুদানি শরণার্থী মৃত্যু

লিবিয়ার উপকূলে সুদানি শরণার্থীবাহী একটি নৌকায় গত মঙ্গলবার আগুন লেগে ঘটনাটি ঘটে। এই দুর্ঘটনায় অন্তত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। আহত হয়েছেন ২৪ জন, যাদের মধ্যে কিছুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নৌকাটিতে মোট ৭৫ জন শরণার্থী ছিলেন বলে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) নিশ্চিত করেছে। ঘটনাটির সময় যে নৌকাটি ছিল, সেটি ইউরোপের পথে চলছিল।

আল-জাজিরা সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়, মানুষজনের জীবন বাঁচানোর জন্য দ্রুত উদ্ধার অভিযান চালানো হয়। তবে এই ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা আবারো ভয়াবহ মানব সংকটের চিত্র দেখিয়েছে। আইওএমের মতে, সমুদ্রপথে মৃত্যু বা নিখোঁজের সংখ্যা গত বছর alone ২ হাজার ৪৫২ জনের বেশি। এই দুর্বল ও ঝুঁকিপূর্ণ ট্রাজেডির জন্য বেশিরভাগ সময় দায়ি নানা ধরনের অব্যবস্থাপনা ও অপরাধের সাথে যুক্ত লিবিয়ার কোস্টগার্ডের অসংগঠিত কার্যক্রম।

২০১১ সালে লিবিয়ায় মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর থেকে দেশের পরিস্থিতি আরো অবনতি হয়। তখন থেকে লিবিয়া আফ্রিকা থেকে ইউরোপের দিকে যাওয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট হিসেবে পরিণত হয়। তবে গাদ্দাফির শাসনামলে দেশের স্থিতিশীলতা থাকলেও তাঁর পতনের পর বিভিন্ন মিলিশিয়া গোষ্ঠীর সংঘাত ও অস্থিরতা বেড়ে গেছে।

আগস্টে ইতালির লাম্পেদুসা দ্বীপের কাছাকাছি দুটি নৌকা ডুবে অন্তত ২৭ জনের মৃত্যু হয়। এর আগে জুন মাসে লিবিয়া উপকূলে দুটি জাহাজডুবিতে ৬০ জনের বেশি মানুষ মারা যান বা নিখোঁজ হন।

অধিকাংশ মানবাধিকার সংস্থা এবং জাতিসংঘের রিপোর্টে দেখা যায়, লিবিয়ায় আটক শরণার্থী ও অভিবাসীরা রীতিমতো নির্যাতন, ধর্ষণ ও অর্থ আদায়ের শিকার হচ্ছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন কিছু সময় কোস্টগার্ডকে সরঞ্জাম ও অর্থ সাহায্য করলেও একুশে অভিযোগ উঠেছে, এই কোস্টগার্ডের অনেক সদস্য অপরাধে জড়িয়ে আছেন।

অবশ্যই, গত কয়েক বছর ধরে ইউরোপে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য অনুসন্ধান ও উদ্ধারের কার্যক্রমও ব্যাপকভাবে কমে গেছে। এর ফলশ্রুতিতে, যুদ্ধ, সংঘাত ও মানবাধিকার লংঘনের কারণে অসংখ্য মানুষ লিবিয়ায় আটকা পড়েছেন এবং খুবই অমানবিক অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। এই পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এবার আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে যেন ভবিষ্যতেও এরকম ভ cairer পরিস্থিতি এড়ানো যায়।

ট্যাগ :

নির্বাচন করার মাধ্যমে দায়িত্ব থেকে মুক্তি চান প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি

লিবিয়ার উপকূলে নৌকায় আগুন, কমপক্ষে ৫০ সুদানি শরণার্থী মৃত্যু

প্রকাশিতঃ ১০:৪৬:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

লিবিয়ার উপকূলে সুদানি শরণার্থীবাহী একটি নৌকায় গত মঙ্গলবার আগুন লেগে ঘটনাটি ঘটে। এই দুর্ঘটনায় অন্তত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। আহত হয়েছেন ২৪ জন, যাদের মধ্যে কিছুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নৌকাটিতে মোট ৭৫ জন শরণার্থী ছিলেন বলে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) নিশ্চিত করেছে। ঘটনাটির সময় যে নৌকাটি ছিল, সেটি ইউরোপের পথে চলছিল।

আল-জাজিরা সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়, মানুষজনের জীবন বাঁচানোর জন্য দ্রুত উদ্ধার অভিযান চালানো হয়। তবে এই ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা আবারো ভয়াবহ মানব সংকটের চিত্র দেখিয়েছে। আইওএমের মতে, সমুদ্রপথে মৃত্যু বা নিখোঁজের সংখ্যা গত বছর alone ২ হাজার ৪৫২ জনের বেশি। এই দুর্বল ও ঝুঁকিপূর্ণ ট্রাজেডির জন্য বেশিরভাগ সময় দায়ি নানা ধরনের অব্যবস্থাপনা ও অপরাধের সাথে যুক্ত লিবিয়ার কোস্টগার্ডের অসংগঠিত কার্যক্রম।

২০১১ সালে লিবিয়ায় মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর থেকে দেশের পরিস্থিতি আরো অবনতি হয়। তখন থেকে লিবিয়া আফ্রিকা থেকে ইউরোপের দিকে যাওয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট হিসেবে পরিণত হয়। তবে গাদ্দাফির শাসনামলে দেশের স্থিতিশীলতা থাকলেও তাঁর পতনের পর বিভিন্ন মিলিশিয়া গোষ্ঠীর সংঘাত ও অস্থিরতা বেড়ে গেছে।

আগস্টে ইতালির লাম্পেদুসা দ্বীপের কাছাকাছি দুটি নৌকা ডুবে অন্তত ২৭ জনের মৃত্যু হয়। এর আগে জুন মাসে লিবিয়া উপকূলে দুটি জাহাজডুবিতে ৬০ জনের বেশি মানুষ মারা যান বা নিখোঁজ হন।

অধিকাংশ মানবাধিকার সংস্থা এবং জাতিসংঘের রিপোর্টে দেখা যায়, লিবিয়ায় আটক শরণার্থী ও অভিবাসীরা রীতিমতো নির্যাতন, ধর্ষণ ও অর্থ আদায়ের শিকার হচ্ছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন কিছু সময় কোস্টগার্ডকে সরঞ্জাম ও অর্থ সাহায্য করলেও একুশে অভিযোগ উঠেছে, এই কোস্টগার্ডের অনেক সদস্য অপরাধে জড়িয়ে আছেন।

অবশ্যই, গত কয়েক বছর ধরে ইউরোপে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য অনুসন্ধান ও উদ্ধারের কার্যক্রমও ব্যাপকভাবে কমে গেছে। এর ফলশ্রুতিতে, যুদ্ধ, সংঘাত ও মানবাধিকার লংঘনের কারণে অসংখ্য মানুষ লিবিয়ায় আটকা পড়েছেন এবং খুবই অমানবিক অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। এই পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এবার আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে যেন ভবিষ্যতেও এরকম ভ cairer পরিস্থিতি এড়ানো যায়।