১০:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
সংবিধান সংশোধনে গণভোটের মাধ্যমে বৈধতা নেওয়ার পরামর্শ তীব্র তাপপ্রবাহে দেশের ৬ কোটির বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীরা ‘রাজাকারের নাতিপুতি’ বলায় অপমানবোধ করেছিলেন দিল্লির বায়ুদূষণ: ঐতিহাসিক লালকেল্লা কালো হয়ে যাচ্ছে ব্যবসার ডিজিটাল রূপান্তরে ‘সার্ভিসিং২৪’ এর এআই ও আইওটি সেবা জিআইসিসি সম্মেলনে সেতু বিভাগের সচিবের অংশগ্রহণ ভুয়া প্রমাণিত হলে জুলাই যোদ্ধা তালিকা থেকে বাদ ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে ইসির দায়িত্ব চান নির্বাচনী কর্মকর্তারা, অবাধ নির্বাচন নিশ্চিতের প্রত্যাশা তীব্র গরমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি ২১ হাজার কোটি টাকা, সুস্থতা বিপন্ন লিবিয়ার উপকূলে নৌকায় আগুন, কমপক্ষে ৫০ সুদানি শরণার্থী মৃত্যু

সংবিধান সংশোধনে গণভোটের মাধ্যমে বৈধতা নেওয়ার পরামর্শ

জুলাই জাতীয় সনদ সংশোধনের পরিকল্পনা এবং সংবিধান সম্পর্কিত প্রস্তাবগুলো উন্নত করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা সংবিধান আদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়নের চূড়ান্ত সুপারিশ করেছেন। তারা উল্লেখ করেছেন, ভবিষ্যতের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় একটি গণভোটের মাধ্যমে এই পরিবর্তনগুলো জনগণের অনুমোদন নেওয়া যেতে পারে। এই প্রক্রিয়া আরও কার্যকর করার জন্য বিভিন্ন বিকল্পও বিবেচনা করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার, ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের তৃতীয় দফার বৈঠকে এই আলোচনাগুলো গুরুত্বপূর্নভাবে উঠে আসে। এর আগে, রোববার বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে একপ্রকার সংলাপের মাধ্যমে কমিশন এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন। এই বৈঠকে তারা বলেছেন, ২২ ধারা অনুযায়ী, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাই সনদ ২০২৫ অনুযায়ী মূল সংবিধান সংশোধনের জন্য সংবিধান আদেশ জারি করতে পারে, যা তাৎক্ষনিকভাবে কার্যকর হবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সংবিধান সংশোধনের জন্য একটি গণভোটের আয়োজনও সম্ভব, যা সাধারণ নির্বাচন একই সময়ে অনুষ্ঠিত হতে পারে। যদি এই গণভোটে জনগণের সমর্থন পড়ে, তবে সংশোধনগুলো এই তারিখ থেকেই বৈধ হিসেবে গণ্য হবে। পরে আলোচকরা পাঁচটি সম্ভাব্য পদ্ধতি সুপারিশ করেন, যার মধ্যে রয়েছে অধ্যাদেশ, নির্বাহী আদেশ, গণভোট, বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ এবং উচ্চ আদালতের মতামত।

একইসঙ্গে, তারা আরও উল্লেখ করেছেন, এই সব প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করতে এক মাসের মধ্যে কার্যক্রম শুরু করে দেওয়া সম্ভব। বিশেষ করে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ বলেছেন, কমিশনের মেয়াদ বর্তমানে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি যোগ করেছেন, ‘আমরা খুব দ্রুত একটা ঐকমত্যের দিকে এগোতে চাই এবং এই বিষয়গুলো পর্যায়ক্রমে সমাধান করতে চাই।’

আলী রীয়াজ আরও জানান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা চলছে এবং তারা মোট ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাবের ব্যাপারে একমত হলেও, বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় মতভेद রয়েছে কিছু দলের মধ্যে, যেমন এনসিপি, জামায়াত, ও বিএনপির। তবে, আলোচনা চলছে এবং দ্রুতই কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে প্রত্যাশা প্রকাশ করা হয়।

ট্যাগ :

নির্বাচন করার মাধ্যমে দায়িত্ব থেকে মুক্তি চান প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি

সংবিধান সংশোধনে গণভোটের মাধ্যমে বৈধতা নেওয়ার পরামর্শ

প্রকাশিতঃ ১০:৪৭:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জুলাই জাতীয় সনদ সংশোধনের পরিকল্পনা এবং সংবিধান সম্পর্কিত প্রস্তাবগুলো উন্নত করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা সংবিধান আদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়নের চূড়ান্ত সুপারিশ করেছেন। তারা উল্লেখ করেছেন, ভবিষ্যতের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় একটি গণভোটের মাধ্যমে এই পরিবর্তনগুলো জনগণের অনুমোদন নেওয়া যেতে পারে। এই প্রক্রিয়া আরও কার্যকর করার জন্য বিভিন্ন বিকল্পও বিবেচনা করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার, ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের তৃতীয় দফার বৈঠকে এই আলোচনাগুলো গুরুত্বপূর্নভাবে উঠে আসে। এর আগে, রোববার বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে একপ্রকার সংলাপের মাধ্যমে কমিশন এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন। এই বৈঠকে তারা বলেছেন, ২২ ধারা অনুযায়ী, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাই সনদ ২০২৫ অনুযায়ী মূল সংবিধান সংশোধনের জন্য সংবিধান আদেশ জারি করতে পারে, যা তাৎক্ষনিকভাবে কার্যকর হবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সংবিধান সংশোধনের জন্য একটি গণভোটের আয়োজনও সম্ভব, যা সাধারণ নির্বাচন একই সময়ে অনুষ্ঠিত হতে পারে। যদি এই গণভোটে জনগণের সমর্থন পড়ে, তবে সংশোধনগুলো এই তারিখ থেকেই বৈধ হিসেবে গণ্য হবে। পরে আলোচকরা পাঁচটি সম্ভাব্য পদ্ধতি সুপারিশ করেন, যার মধ্যে রয়েছে অধ্যাদেশ, নির্বাহী আদেশ, গণভোট, বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ এবং উচ্চ আদালতের মতামত।

একইসঙ্গে, তারা আরও উল্লেখ করেছেন, এই সব প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করতে এক মাসের মধ্যে কার্যক্রম শুরু করে দেওয়া সম্ভব। বিশেষ করে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ বলেছেন, কমিশনের মেয়াদ বর্তমানে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি যোগ করেছেন, ‘আমরা খুব দ্রুত একটা ঐকমত্যের দিকে এগোতে চাই এবং এই বিষয়গুলো পর্যায়ক্রমে সমাধান করতে চাই।’

আলী রীয়াজ আরও জানান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা চলছে এবং তারা মোট ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাবের ব্যাপারে একমত হলেও, বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় মতভेद রয়েছে কিছু দলের মধ্যে, যেমন এনসিপি, জামায়াত, ও বিএনপির। তবে, আলোচনা চলছে এবং দ্রুতই কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে প্রত্যাশা প্রকাশ করা হয়।