দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১০,৪২৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, যা এই রোগের জন্য এ বছরের সর্বোচ্চ সংখ্যা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এই তথ্য জানিয়েছে। এর আগে সেপ্টেম্বরে একই সংখ্যক ৯ জনের মৃত্যু ও ৮,৪৫৫ জনের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। এছাড়া ২৮ সেপ্টেম্বর সর্বোচ্চ ৮৪৫ জন রোগী ভর্তি হয়েছিল। শুক্রবার ও শনিবার সরকারি ছুটি থাকায় ঢাকার বাইরের অনেক জেলাও এর সংকটময় পরিস্থিতি নিছিল। রোববার এসব তথ্য এসে পৌঁছায়, যার ফলে খুবই সাধারণত রোববার রোগীর সংখ্যায় বৃদ্ধি দেখা যায়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, এ পর্যন্ত এই বছরে মোট ৪৯,৯০৭ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং মৃত্যুর সংখ্যা পৌঁছেছে ২১২-তে।
তাদের মধ্যে প্রথমত ঢাকার মুগদা মেডিকেল কলেজে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও ঢাকার মেডিকেল কলেজে দুজন, ডিএনসিসি কোভিড-১৯ হাসপাতালে একজন, মিটফোর্ড হাসপাতালে একজন এবং কক্সবাজারের ২৫০ শয্যার হাসপাতালে এক ব্যক্তি চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এলাকাগুলোর মধ্যে পুরুষের মতো নারীর সংখ্যাও অন্তর্ভুক্ত, যেখানে ৫ জন পুরুষ এবং ৪ জন নারী মারা গেছেন। বয়সের ধরন হলো ১৭ থেকে ৫৫ বছর।
এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা এবং মৃত্যুর হার আগস্টসহ বেশিরভাগ মাসেই বৃদ্ধি পেয়েছে। সবচেয়ে বেশি রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন সেপ্টেম্বর, যেখানে ১৫,৮৬৬ জন চিকিৎসককের নজরে এসেছে। মৃত্যু হয়েছে ৭৬ জনের। অক্টোবরের চার দিনে ২,৫৬৫ জন ভর্তি হয়েছিলেন এবং ১৪ জনের মৃত্যু হয়।
২০২৩ সালে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা সর্বোচ্চ, যেখানে মোট ভর্তি হয়েছেন তিন লাখ একাত্তর হাজার ১৭৯ জন এবং মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১,৭০৫-এ। বিভিন্ন মাসে এর বিস্তার ছিল উল্লেখযোগ্য, যেমন জুনে ৫,৫৯৫১ জন, আগস্টে ১০,৪৯৬ জন, জানুয়ারিতে ১,১৬১ জন রোগী ছিল।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, চলমান আবহাওয়া, রোদ ও বৃষ্টির পরিবর্তনশীল প্রভাব, পাশাপাশি পূজার ছুটির সময় বাসা ও অফিসে বংশবিস্তারে সহায়তা করছে এডিস মশার। যার ফলস্বরূপ অক্টোবর মাসে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে বলে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ২০০০ সাল থেকে এ রোগের তথ্য সংগ্রহ করে আসছে। ২০২৩ সালে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি, যেখানে ৩ লাখ ২1 হাজার ১৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৭০৫ জনের।