০৩:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
এলপিজি সিলিন্ডার ১০০০ টাকার মধ্যে হওয়া উচিত: জ্বালানি উপদেষ্টার পরামর্শ সোনাইমুড়ীতে চাঁদা না দেওয়ায় সাংবাদিকের উপর হামলা সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম শেষ যাত্রায় সহকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলর কাছ থেকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে শক্তিশালী করার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টা রোমে যোগ দিতে আজই রওনা হবেন ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরামে উপদেষ্টা পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জানাবে সরকারকে মতামত সমন্বয় করে: আলী রীয়াজ জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর ১৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে ১৫ অক্টোবর হবে জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল যোগাযোগের উন্নয়নে সরকারের নতুন উদ্যোগ

সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম শেষ যাত্রায় সহকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত

শেষযাত্রায় সহকর্মীদের গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধায় সিক্ত হয়ে যান লেখক ও শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। তার জানাজা ও শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ভিড় করেন অসংখ্য শিক্ষক, ছাত্র, সরকারী উপদেষ্টা, লেখক, রাজনীতিবিদ ও সমাজের বিভিন্ন ব্যক্তিত্ব। বৃষ্টি উপেক্ষা করে সবাই তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শনিবার সকাল ১০:৩০ মিনিটে শহিদ মিনারে প্রথমে তার মরদেহের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এরপর সেখানে ফুল দিয়ে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান একুশে বিজ্ঞান ও সাহিত্য ব্যক্তিত্বেরা। তার সহকর্মীরা তাকে নির্লোভ, সৎ ও বিনয়ী একজন ব্যক্তিত্ব হিসেবে শ্রদ্ধার সঙ্গে মনে রেখেছেন। তারা বলেন, তিনি সকল মতামতকে সম্মান করেছেন এবং নতুন লেখকদের উৎসাহিত করেছেন। তার মরদেহের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, “তিনি ছিলেন অসম্ভব জ্ঞানী, বিনয়ী ও নির্লোভ মানুষ। তিনি সব সময় অন্যের মতামতকে মূল্য দিয়েছেন এবং নতুন লেখকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।” বন ও পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এ সময় বলেন, “তিনি ছিলেন সবার প্রিয় মানুষ। তার ব্যক্তিত্বের স্পষ্টতা ছিল, তবে তিনি ভিন্ন মতকে অবজ্ঞা করেননি। আমরা মনে করি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতির জন্য তিনি এক বিশিষ্ট শিক্ষককে হারালাম।” জাতির অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গর্ব সচেতন এই ব্যক্তিত্বের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ইমিরেটাসের অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী উল্লেখ করেন, “সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম চিত্রকলা, নান্দনিকতা ও ইংরেজি সাহিত্যচর্চায় পারদর্শী ছিলেন। তার নাট্যচর্চাও ছিল নিয়মিত। তিনি সদা আড়ম্বরহীন কর্মে নিবদ্ধ থাকতেন এবং তার কাজগুলো আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস।’’ বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাহিত্য সংগঠনের পক্ষ থেকে মরদেহের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন: বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক কাফী রতন, বাসদ, ভাষাসংগ্রামী ও সংগীতশিক্ষক মো. হেলাল, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টের প্রতিনিধি, সাহিত্যিক মাজহারুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর হোসেন, কবি মোহন রায়হান, পাঠশালা সাউথ এশিয়ান ফোরাম, আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, ঢাবির ইংরেজি বিভাগের ১৯৯৩ ব্যাচের সদস্য রফিক আজাদ স্মৃতি পর্ষদ, কবি দিলারা হাফিজ, তুষার দাস ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও শিক্ষামূলক সংস্থা। এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার সামনে তার মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শিক্ষকরা ও শিক্ষার্থীরা। পরে তার মরদেহ শহীদ মিনার থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে নেয়া হয়, যেখানে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এভাবে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তার প্রতি গভীর সান্নিধ্য ও শ্রদ্ধার সমাগমে শেষযাত্রা সম্পন্ন হয়, যা তার জীবনের মূল্য ও প্রতিচ্ছবি তুলে ধরে।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

নির্বাচন নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে, সতর্ক থাকুন: মির্জা ফখরুল

সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম শেষ যাত্রায় সহকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত

প্রকাশিতঃ ১০:৪৬:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

শেষযাত্রায় সহকর্মীদের গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধায় সিক্ত হয়ে যান লেখক ও শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। তার জানাজা ও শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ভিড় করেন অসংখ্য শিক্ষক, ছাত্র, সরকারী উপদেষ্টা, লেখক, রাজনীতিবিদ ও সমাজের বিভিন্ন ব্যক্তিত্ব। বৃষ্টি উপেক্ষা করে সবাই তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শনিবার সকাল ১০:৩০ মিনিটে শহিদ মিনারে প্রথমে তার মরদেহের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এরপর সেখানে ফুল দিয়ে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান একুশে বিজ্ঞান ও সাহিত্য ব্যক্তিত্বেরা। তার সহকর্মীরা তাকে নির্লোভ, সৎ ও বিনয়ী একজন ব্যক্তিত্ব হিসেবে শ্রদ্ধার সঙ্গে মনে রেখেছেন। তারা বলেন, তিনি সকল মতামতকে সম্মান করেছেন এবং নতুন লেখকদের উৎসাহিত করেছেন। তার মরদেহের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, “তিনি ছিলেন অসম্ভব জ্ঞানী, বিনয়ী ও নির্লোভ মানুষ। তিনি সব সময় অন্যের মতামতকে মূল্য দিয়েছেন এবং নতুন লেখকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।” বন ও পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এ সময় বলেন, “তিনি ছিলেন সবার প্রিয় মানুষ। তার ব্যক্তিত্বের স্পষ্টতা ছিল, তবে তিনি ভিন্ন মতকে অবজ্ঞা করেননি। আমরা মনে করি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতির জন্য তিনি এক বিশিষ্ট শিক্ষককে হারালাম।” জাতির অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গর্ব সচেতন এই ব্যক্তিত্বের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ইমিরেটাসের অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী উল্লেখ করেন, “সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম চিত্রকলা, নান্দনিকতা ও ইংরেজি সাহিত্যচর্চায় পারদর্শী ছিলেন। তার নাট্যচর্চাও ছিল নিয়মিত। তিনি সদা আড়ম্বরহীন কর্মে নিবদ্ধ থাকতেন এবং তার কাজগুলো আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস।’’ বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাহিত্য সংগঠনের পক্ষ থেকে মরদেহের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন: বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক কাফী রতন, বাসদ, ভাষাসংগ্রামী ও সংগীতশিক্ষক মো. হেলাল, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টের প্রতিনিধি, সাহিত্যিক মাজহারুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর হোসেন, কবি মোহন রায়হান, পাঠশালা সাউথ এশিয়ান ফোরাম, আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, ঢাবির ইংরেজি বিভাগের ১৯৯৩ ব্যাচের সদস্য রফিক আজাদ স্মৃতি পর্ষদ, কবি দিলারা হাফিজ, তুষার দাস ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও শিক্ষামূলক সংস্থা। এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার সামনে তার মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শিক্ষকরা ও শিক্ষার্থীরা। পরে তার মরদেহ শহীদ মিনার থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে নেয়া হয়, যেখানে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এভাবে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তার প্রতি গভীর সান্নিধ্য ও শ্রদ্ধার সমাগমে শেষযাত্রা সম্পন্ন হয়, যা তার জীবনের মূল্য ও প্রতিচ্ছবি তুলে ধরে।