০৬:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
গুম-খুনের অভিযোগে ক্ষমা চেয়ে আয়নাঘরের কথা স্বীকার করলেন র‍্যাব ডিজি ঐক্যের ডাক হাসনাত আব্দুল্লাহর দেশের জন্য ক্ষতিকর চুক্তি বাতিলের দাবি করা হয়েছে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদা রক্ষার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য চলমান অপচেষ্টা নতুন বাংলাদেশের যাত্রায় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন সাবেক এসপি বাবুল আক্তার রমেন রায়ের ওপর হামলার ঘটনাটি পুরোনো, তিনি চিন্ময়ের আইনজীবী নন ঢাকায় আসছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব কঠিন সময় পার করছে বাংলাদেশ: প্রধান উপদেষ্টা পশ্চিমবঙ্গের ৮ জেলায় বাংলাদেশ সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ালো ভারত

ব্যাংকগুলোতে পর্যাপ্ত অর্থ আছে: এবিবি চেয়ারম্যান

অ্যাসোসিয়েশনের অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ হোসেন বলেছেন, বর্তমানে ব্যাংকগুলোতে পর্যাপ্ত অর্থ আছে। আমরা সম্মানিত গ্রাহকদের আশ্বস্ত করতে চাই, ব্যাংকগুলোতে তাদের অর্থ সম্পূর্ণ সুরক্ষিত আছে। এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। আমরা গ্রাহকদের অনুরোধ করবো, গুজবে বিশ্বাস না করার জন্য।

রোববার (২০ নভেম্বর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, আমরা সাম্প্রতিক সময়ে দেশের ব্যাংকগুলোতে তারল্য নিয়ে অনেক গুজব লক্ষ্য করছি, বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বলা হচ্ছে, আমাদের কাছে পর্যাপ্ত তারল্য নেই। গ্রাহকদের নগদ টাকা তুলতে সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে বলে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। আমরা এবিবি’র পক্ষ থেকে বলতে চাই, এসব তথাকথিত তথ্যের কোনো ভিত্তি নেই এবং এগুলো অসত্য।

এবিবি চেয়ারম্যান বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বরাত দিয়ে এসব নেতিবাচক খরব দেশ-বিদেশে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে বিদেশে আমাদের প্রবাসীদের মধ্যেও এই গুজবটি ছড়ানো হচ্ছে, যাতে তারা বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে অনুৎসাহিত হন। এগুলো খুবই দুঃখজনক। এই গুজব প্রচারকারীরা আমাদের গ্রাহকদের, সমাজের এবং দেশের ক্ষতি করছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকও সবাইকে আশ্বস্ত করেছে। বর্তমানে ব্যাংকগুলোতে তারল্যের কোনো ঘাটতি নেই। ১ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকাও বেশি অতিরিক্ত তারল্য আছে। গত পঞ্চাশ বছরে আমাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোনো ব্যাংককে ব্যর্থ হতে দিয়েছে, এমন কোনো নজির নেই। বাংলাদেশ ব্যাংক তো বলেই দিয়েছে, কোনো ব্যাংকের অসুবিধা হলে তারা এগিয়ে আসবে। অতীতেও আমরা দেখেছি ব্যাংকিং খাতে কোনো সংকট হলে বাংলাদেশ ব্যাংক এগিয়ে এসেছে।

সেলিম আর. এফ. হোসেন আরও বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরদারি ও দিকনির্দেশনায় ব্যাংকিং খাত যখন দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে প্রভাবকের ভূমিকা পালন করছে এবং সরকারের প্রণোদনার ওপর ভর করে অর্থনীতি যখন মহামারি থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে, তখন এ ধরনের অপপ্রচার চালানো দুঃখজনক। সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের দিকনির্দেশনায় ও গ্রাহকদের আস্থায় ব্যাংকগুলো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রেখেছে এবং রাখবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

ব্যাংকগুলোতে পর্যাপ্ত অর্থ আছে: এবিবি চেয়ারম্যান

প্রকাশিতঃ ১১:৩৭:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ নভেম্বর ২০২২

অ্যাসোসিয়েশনের অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ হোসেন বলেছেন, বর্তমানে ব্যাংকগুলোতে পর্যাপ্ত অর্থ আছে। আমরা সম্মানিত গ্রাহকদের আশ্বস্ত করতে চাই, ব্যাংকগুলোতে তাদের অর্থ সম্পূর্ণ সুরক্ষিত আছে। এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। আমরা গ্রাহকদের অনুরোধ করবো, গুজবে বিশ্বাস না করার জন্য।

রোববার (২০ নভেম্বর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, আমরা সাম্প্রতিক সময়ে দেশের ব্যাংকগুলোতে তারল্য নিয়ে অনেক গুজব লক্ষ্য করছি, বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বলা হচ্ছে, আমাদের কাছে পর্যাপ্ত তারল্য নেই। গ্রাহকদের নগদ টাকা তুলতে সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে বলে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। আমরা এবিবি’র পক্ষ থেকে বলতে চাই, এসব তথাকথিত তথ্যের কোনো ভিত্তি নেই এবং এগুলো অসত্য।

এবিবি চেয়ারম্যান বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বরাত দিয়ে এসব নেতিবাচক খরব দেশ-বিদেশে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে বিদেশে আমাদের প্রবাসীদের মধ্যেও এই গুজবটি ছড়ানো হচ্ছে, যাতে তারা বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে অনুৎসাহিত হন। এগুলো খুবই দুঃখজনক। এই গুজব প্রচারকারীরা আমাদের গ্রাহকদের, সমাজের এবং দেশের ক্ষতি করছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকও সবাইকে আশ্বস্ত করেছে। বর্তমানে ব্যাংকগুলোতে তারল্যের কোনো ঘাটতি নেই। ১ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকাও বেশি অতিরিক্ত তারল্য আছে। গত পঞ্চাশ বছরে আমাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোনো ব্যাংককে ব্যর্থ হতে দিয়েছে, এমন কোনো নজির নেই। বাংলাদেশ ব্যাংক তো বলেই দিয়েছে, কোনো ব্যাংকের অসুবিধা হলে তারা এগিয়ে আসবে। অতীতেও আমরা দেখেছি ব্যাংকিং খাতে কোনো সংকট হলে বাংলাদেশ ব্যাংক এগিয়ে এসেছে।

সেলিম আর. এফ. হোসেন আরও বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরদারি ও দিকনির্দেশনায় ব্যাংকিং খাত যখন দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে প্রভাবকের ভূমিকা পালন করছে এবং সরকারের প্রণোদনার ওপর ভর করে অর্থনীতি যখন মহামারি থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে, তখন এ ধরনের অপপ্রচার চালানো দুঃখজনক। সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের দিকনির্দেশনায় ও গ্রাহকদের আস্থায় ব্যাংকগুলো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রেখেছে এবং রাখবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।