বাজারে সরবরাহ কমের অজুহাতে সপ্তাহের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলি বাজারে আলুর দামে ব্যাপক বৃদ্ধি দেখা গেছে। কেজিতে আলুর দাম ৬ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে, যা গত সপ্তাহের তুলনায় অনেকটাই বেশি। এই দাম বৃদ্ধির ফলে নিম্ন আয়ের পরিবারের নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যটির জন্য বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। অপরদিকে, ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে আলুর দাম বৃদ্ধি করছে বলে বিভিন্ন অভিযোগ উঠছে। তবে বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ কম থাকার কারণেই আলুর দাম বেড়ে যাচ্ছে।
গতকাল রোববার হিলি বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, দোকানগুলোতে আলুর পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও দাম ক্রমবর্ধমান। এক সপ্তাহ আগে, কার্ডিনাল জাতের আলু কেজি প্রতি ১০ টাকা বিক্রি হলেও এখন তা বেড়ে ১৬ টাকায় পৌঁছেছে। গুটি জাতের আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজি দরে যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১২ টাকা।
আলু কিনতে আসা ব্যবসায়ী মেহেদুল ইসলাম বলেন, “কিছু দিন ধরে আলুর দামে অপ্রত্যাশিত বৃদ্ধি লক্ষ্য করছি। যদিও বাজারে আলুর সরবরাহ থাকলেও দামের এই ঊর্ধ্বমুখীতার পেছনে সিন্ডিকেটের হাত রয়েছে বলে মনে করি।”
অন্য এক বিক্রেতা আব্দুস সালাম বলেন, “আলুর মৌসুম শেষের দিকে রয়েছে। অধিকাংশ কৃষকের ঘরে থাকা আলু ইতিমধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে। বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমে যাওয়ায় দামের এ ঊর্ধ্বগতি। কৃষকের কাছে আলু শেষ হয়ে যাওয়ায় এখন কিছু আলু স্টোর থেকে নিম্ন-মধ্যম মানের দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা অতিসংক্রামক সুবিধা নিয়ে দাম বাড়িয়ে থাকলেও বলছেন, সরবরাহ বাড়লেই দাম স্বাভাবিক হয়ে আসবে।”