ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে মনোনয়ন পুনরায়ের ঘোষণা দেওয়ার পাশাপাশি জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে গুরুতর শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে মাহিন সরকারকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে তিনি বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন।
মাহিন লিখেছেন, ‘আমি তাদের একজন যার হাতে অভ্যুত্থানের ব্যানারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গঠিত হয়েছিল। অন্তত আমার কথা বলার সুযোগ দেওয়া উচিত ছিল।’ তিনি আরো বলেন, ‘মাহিন সরকারের ভবিষ্যৎ সন্তানদের জন্য গল্প আছে। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রক্ত দিয়ে রাঙিয়েছি। গান পয়েন্টে ৬ জন সমন্বয়কের কর্মসূচি প্রত্যাহারের পর আমি বলেছিলাম ‘মানি না’। একই সময় চারজন সমন্বয়ক বৈধতা পেয়েছেন। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পরও আমি ন্যায়বিচার পাবার জন্য মাঠে আন্দোলন করেছিলাম, কিন্তু কেউ পাশে দাঁড়ায়নি। আজ এই বহিষ্কার নোটিশ আসর থেকে কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই করে দেওয়া হলো।’
তিনি আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না পাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, ‘অভিযোগের পরও বেশ কিছু অভিযোগ থাকলেও সংগঠনগুলো সাধারণত আত্মপক্ষের সুযোগ দেয়। আমি সে সুযোগ থেকেও বঞ্চিত। এটি আমাদের নবগঠিত রাজনৈতিক দলের জন্য ক্ষতিকর।’
সবশেষে তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, বিজয় উপর থেকে আসে, তার বাস্তব প্রকাশ জমিনে হয় মাত্র।’
উল্লেখ্য, গত সোমবার দিবাগত রাতে ‘গুরুতর শৃঙ্খলাভঙ্গের’ অভিযোগে বাকের বহিষ্কার করে এনসিপি। এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব সালেহউদ্দিন সিফাতের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘গুরতর শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে মাহিন সরকারকে তার পদ ও দায়িত্ব থেকে আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের নির্দেশক্রমে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বহিষ্কার করা হলো। এই বহিষ্কারাদেশটি আজ থেকে কার্যকর হবে এবং যতদিন না নতুন নির্দেশ দেওয়া হয়, ততদিন বহাল থাকবে।
এর আগে, সোমবার দুপুরে মাহিন সরকার ‘ডিইউ ফার্স্ট’ স্বতন্ত্র প্যানেল থেকে ডাকসুর সাধারণ সম্পাদকের কেন্দ্রীয় পদে মনোনয়ন ঘোষণা করেছিলেন।