০১:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
গুম-খুনের অভিযোগে ক্ষমা চেয়ে আয়নাঘরের কথা স্বীকার করলেন র‍্যাব ডিজি ঐক্যের ডাক হাসনাত আব্দুল্লাহর দেশের জন্য ক্ষতিকর চুক্তি বাতিলের দাবি করা হয়েছে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদা রক্ষার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য চলমান অপচেষ্টা নতুন বাংলাদেশের যাত্রায় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন সাবেক এসপি বাবুল আক্তার রমেন রায়ের ওপর হামলার ঘটনাটি পুরোনো, তিনি চিন্ময়ের আইনজীবী নন ঢাকায় আসছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব কঠিন সময় পার করছে বাংলাদেশ: প্রধান উপদেষ্টা পশ্চিমবঙ্গের ৮ জেলায় বাংলাদেশ সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ালো ভারত

বেড়েই চলেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম, বিপাকে ক্রেতারা

ক্রমশ বেড়েই চলেছে মাছ-মাংস, সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। স্বস্তির ছোঁয়া নেই মুদি পণ্য ও মসলার বাজারেও। এমন অবস্থায় বেশ বিপাকে রয়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।

শুক্রবার (২৩ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়, পাকা টমেটোর কেজি ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, বেগুন ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০, ঝিঙা ৭০ টাকা, পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ধন্দুল ৭০ টাকা, কাঁচামরিচ প্রতি কেজি মানভেদে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৭০ থেকে ৮০ টাকা, গুঁড়ি কচু প্রতি কেজি ১০০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ঢ্যাঁড়সের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। বরবটি ৮০ টাকা, জালি প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, শসা ৬০ থেকে ৭০ টাকা।

এদিকে এখনো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। গত সপ্তাহের মতো পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। রসুনও আগের দামে বিক্রি হচ্ছে। আমদানি করা এক কেজি রসুন কিনতে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা দিতে হচ্ছে। আর দেশি রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা।

সপ্তাহের বাজার করতে আসা আনিসুল হক বলেন, সবজির বাজারে আগুন লেগে আছে, মাছ-মাংসের একই অবস্থা। মুদি দোকানে গিয়েও দেখি সব পণ্যের দাম বেশি। আমরা এ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবো কবে?

সবজির দাম বাড়লেও কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। আজ ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা। পাকিস্তানি মুরগী বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা কেজি দরে। প্রতি কেজি দেশি মুরগি কিনতে গুণতে হচ্ছে ৪২০ টাকা।

মুরগির দামে কিছুটা পরিবর্তন ঘটলেও আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। বাজারভেদে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকায়। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা কেজি দরে।

মাংসের মতো বেড়েছে মাছের দামও। মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শিং মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। কৈ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৫০ টাকা। রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায়। ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছের কাজে বিক্রি হচ্ছে ১৩০০ থেকে ১৪০০ টাকা। ছোট ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে এক হাজার টাকা। বড় চিংড়ি ৭০০ টাকা, বড় কাতল ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা, ট্যাংরা প্রতি কেজি ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকা, বোয়াল মাছ ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা, সিলভার কার্ভ (ছোট) প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাছ-মাংসের মতো বেড়েছে মুদি পণ্যের দামও। বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন তেল ও চিনি।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

বেড়েই চলেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম, বিপাকে ক্রেতারা

প্রকাশিতঃ ১২:১৫:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ জুন ২০২৩

ক্রমশ বেড়েই চলেছে মাছ-মাংস, সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। স্বস্তির ছোঁয়া নেই মুদি পণ্য ও মসলার বাজারেও। এমন অবস্থায় বেশ বিপাকে রয়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।

শুক্রবার (২৩ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়, পাকা টমেটোর কেজি ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, বেগুন ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০, ঝিঙা ৭০ টাকা, পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ধন্দুল ৭০ টাকা, কাঁচামরিচ প্রতি কেজি মানভেদে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৭০ থেকে ৮০ টাকা, গুঁড়ি কচু প্রতি কেজি ১০০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ঢ্যাঁড়সের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। বরবটি ৮০ টাকা, জালি প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, শসা ৬০ থেকে ৭০ টাকা।

এদিকে এখনো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। গত সপ্তাহের মতো পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। রসুনও আগের দামে বিক্রি হচ্ছে। আমদানি করা এক কেজি রসুন কিনতে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা দিতে হচ্ছে। আর দেশি রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা।

সপ্তাহের বাজার করতে আসা আনিসুল হক বলেন, সবজির বাজারে আগুন লেগে আছে, মাছ-মাংসের একই অবস্থা। মুদি দোকানে গিয়েও দেখি সব পণ্যের দাম বেশি। আমরা এ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবো কবে?

সবজির দাম বাড়লেও কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। আজ ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা। পাকিস্তানি মুরগী বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা কেজি দরে। প্রতি কেজি দেশি মুরগি কিনতে গুণতে হচ্ছে ৪২০ টাকা।

মুরগির দামে কিছুটা পরিবর্তন ঘটলেও আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। বাজারভেদে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকায়। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা কেজি দরে।

মাংসের মতো বেড়েছে মাছের দামও। মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শিং মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। কৈ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৫০ টাকা। রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায়। ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছের কাজে বিক্রি হচ্ছে ১৩০০ থেকে ১৪০০ টাকা। ছোট ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে এক হাজার টাকা। বড় চিংড়ি ৭০০ টাকা, বড় কাতল ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা, ট্যাংরা প্রতি কেজি ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকা, বোয়াল মাছ ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা, সিলভার কার্ভ (ছোট) প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাছ-মাংসের মতো বেড়েছে মুদি পণ্যের দামও। বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন তেল ও চিনি।