০৪:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫, ২৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
উপদেষ্টা পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জানাবে সরকারকে মতামত সমন্বয় করে: আলী রীয়াজ জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর ১৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে ১৫ অক্টোবর হবে জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল যোগাযোগের উন্নয়নে সরকারের নতুন উদ্যোগ শুক্রবারের মধ্যে জুলাই সংবিধানের চূড়ান্ত রোডম্যাপ প্রকাশের আশা স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট নভেম্বরের মধ্যে চায় জামায়াত হাসিনার বিরুদ্ধে আজ সাক্ষ্য দেবেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এনবিআরের সিদ্ধান্ত: এমপি কোটার ৩০ বিলাসবহুল গাড়ি নিলামে বিক্রির পরিবর্তে হস্তান্তর

শ্রীমঙ্গলে সম্ভাবনাময় গুলমরিচের চাষ

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের পাহাড়ি এলাকা ও চা-বাগানগুলোতে গুলমরিচের চাষাবাদের জন্য একটি সম্ভাবনাময় পরিবেশ তৈরি হয়েছে। যদিও বর্তমানে এই মসলা জাতীয় ফসলের চাষ একটি সীমিত পর্যায়ে রয়েছে, এলাকাবাসীর দাবি এটি যদি বাণিজ্যিক রূপ নেয়, তবে এর অর্থনৈতিক সম্ভাবনা অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে। শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকা এবং চা বাগানগুলিতে বিচ্ছিন্নভাবে গুলমরিচের গাছ দেখা যাচ্ছে, যা মূলত নিজেকে বা সীমিত বিক্রির জন্য চাষ করা হয়। তবে কৃষি কর্মকর্তাদের মতে, সঠিক পরিকল্পনা ও উদ্যোগের মাধ্যমে শ্রীমঙ্গলে গুলমরিচ হতে পারে লাভজনক একটি মসলা ফসল।

বিশেষত হরিনছড়া চা বাগানের ভেতরে রয়েছে প্রায় ২৫টি গুলমরিচের গাছ, যেখানে ফলন বেশ ভালো। পাতার ফাঁকে ফাঁকে ঝুলে থাকা গুলমরিচগুলো পরিবেশটি আরও সুন্দর লাগছে, এবং পর্যটকরা একবার ঘুরে গাছগুলো দেখছেন। রাধানগর ও মহাজেরাবাদ এলাকাতেও কিছু গাছ দেখা গেছে, যেখানে গুলমরিচ গাছগুলো নিজস্ব সৌন্দর্য্য ও সংরক্ষণের জন্য গুরুত্ব পাচ্ছে।

তবে এখনো এই চাষের উন্নতি ও বিস্তার বাণিজ্যিক রূপ পায়নি কারণ পর্যাপ্ত বিনিয়োগ ও পরিকল্পনা নেই। কৃষি বিভাগ ও উদ্যোক্তাদের একসাথে উদ্যোগ নিলে শ্রীমঙ্গলে গুলমরিচের সম্ভাবনা অনেক বেশি।

হরিনছড়া চা বাগানের ব্যবস্থাপক বিকাশ সিংহ বলেন, ‘প্রায় ২০ বছর আগে বাগানের ভেতরে কিছু গুলমরিচের গাছ লাগানো হয়েছে। শ্রমিকরা এই গাছগুলো দেখভাল করেন। ফলন ভালো থাকলেও এগুলো থেকে সরাসরি বাজারে বিক্রি হয় না।’

পাইকারি মসলার দোকান মেসার্স মানিক দেব-এর পরিচালক তাপস দেব জানান, ‘লোকাল চাষি গুলমরিচ বিক্রি করে থাকেন, তবে পরিমাণ খুবই অপ্রতুল। বর্তমানে এই গুলমরিচ ইম্পোর্টেড, তবে স্থানীয় চাষ বেড়ে গেলে দাম কমে যাবে এবং বাজারে ছোট দামে বিক্রি হতে পারবে। বর্তমানে কালো গুলমরিচের দাম প্রায় ১২শ’ টাকা এবং সাদা গুলমরিচের দাম ১৬০০ টাকা কেজি।

শ্রীমঙ্গলের কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা উজ্জ্বল সূত্রধর বলেন, ‘গুলমরিচের জন্য কাটিং বা বাইন সংগ্রহ করে মাটিতে লাগাতে হয়, যার মাধ্যমে প্রায় ৬ মাসের মধ্যেই ফলন আসে। দুই বছর বয়সের গাছে বড় ফলন পাওয়া যায় এবং এগুলো প্রক্রিয়াজাত করে বাজারজাত করা যায়।

তিনি আরও জানান, ‘শ্রীমঙ্গলের পাহাড়ি জমিগুলো গুলমরিচ চাষের জন্য বেশ উপযোগী। ইতোমধ্যে প্রায় দুই হেক্টর জমিতে বিচ্ছিন্নভাবে এই চাষ হচ্ছে। মহাজেরাবাদসহ আরও দশটি স্থানে চারা রোপণের পরিকল্পনা এবং সহযোগিতা আমরা দিতে প্রস্তুত। এর ফলে এই সম্ভাবনাময় ফসলটির বিকাশ আরও ত্বরান্বিত হবে।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

বিজয় থালাপতির বাড়ি ঘিরে রেখেছে পুলিশ

শ্রীমঙ্গলে সম্ভাবনাময় গুলমরিচের চাষ

প্রকাশিতঃ ১০:৪৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের পাহাড়ি এলাকা ও চা-বাগানগুলোতে গুলমরিচের চাষাবাদের জন্য একটি সম্ভাবনাময় পরিবেশ তৈরি হয়েছে। যদিও বর্তমানে এই মসলা জাতীয় ফসলের চাষ একটি সীমিত পর্যায়ে রয়েছে, এলাকাবাসীর দাবি এটি যদি বাণিজ্যিক রূপ নেয়, তবে এর অর্থনৈতিক সম্ভাবনা অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে। শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকা এবং চা বাগানগুলিতে বিচ্ছিন্নভাবে গুলমরিচের গাছ দেখা যাচ্ছে, যা মূলত নিজেকে বা সীমিত বিক্রির জন্য চাষ করা হয়। তবে কৃষি কর্মকর্তাদের মতে, সঠিক পরিকল্পনা ও উদ্যোগের মাধ্যমে শ্রীমঙ্গলে গুলমরিচ হতে পারে লাভজনক একটি মসলা ফসল।

বিশেষত হরিনছড়া চা বাগানের ভেতরে রয়েছে প্রায় ২৫টি গুলমরিচের গাছ, যেখানে ফলন বেশ ভালো। পাতার ফাঁকে ফাঁকে ঝুলে থাকা গুলমরিচগুলো পরিবেশটি আরও সুন্দর লাগছে, এবং পর্যটকরা একবার ঘুরে গাছগুলো দেখছেন। রাধানগর ও মহাজেরাবাদ এলাকাতেও কিছু গাছ দেখা গেছে, যেখানে গুলমরিচ গাছগুলো নিজস্ব সৌন্দর্য্য ও সংরক্ষণের জন্য গুরুত্ব পাচ্ছে।

তবে এখনো এই চাষের উন্নতি ও বিস্তার বাণিজ্যিক রূপ পায়নি কারণ পর্যাপ্ত বিনিয়োগ ও পরিকল্পনা নেই। কৃষি বিভাগ ও উদ্যোক্তাদের একসাথে উদ্যোগ নিলে শ্রীমঙ্গলে গুলমরিচের সম্ভাবনা অনেক বেশি।

হরিনছড়া চা বাগানের ব্যবস্থাপক বিকাশ সিংহ বলেন, ‘প্রায় ২০ বছর আগে বাগানের ভেতরে কিছু গুলমরিচের গাছ লাগানো হয়েছে। শ্রমিকরা এই গাছগুলো দেখভাল করেন। ফলন ভালো থাকলেও এগুলো থেকে সরাসরি বাজারে বিক্রি হয় না।’

পাইকারি মসলার দোকান মেসার্স মানিক দেব-এর পরিচালক তাপস দেব জানান, ‘লোকাল চাষি গুলমরিচ বিক্রি করে থাকেন, তবে পরিমাণ খুবই অপ্রতুল। বর্তমানে এই গুলমরিচ ইম্পোর্টেড, তবে স্থানীয় চাষ বেড়ে গেলে দাম কমে যাবে এবং বাজারে ছোট দামে বিক্রি হতে পারবে। বর্তমানে কালো গুলমরিচের দাম প্রায় ১২শ’ টাকা এবং সাদা গুলমরিচের দাম ১৬০০ টাকা কেজি।

শ্রীমঙ্গলের কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা উজ্জ্বল সূত্রধর বলেন, ‘গুলমরিচের জন্য কাটিং বা বাইন সংগ্রহ করে মাটিতে লাগাতে হয়, যার মাধ্যমে প্রায় ৬ মাসের মধ্যেই ফলন আসে। দুই বছর বয়সের গাছে বড় ফলন পাওয়া যায় এবং এগুলো প্রক্রিয়াজাত করে বাজারজাত করা যায়।

তিনি আরও জানান, ‘শ্রীমঙ্গলের পাহাড়ি জমিগুলো গুলমরিচ চাষের জন্য বেশ উপযোগী। ইতোমধ্যে প্রায় দুই হেক্টর জমিতে বিচ্ছিন্নভাবে এই চাষ হচ্ছে। মহাজেরাবাদসহ আরও দশটি স্থানে চারা রোপণের পরিকল্পনা এবং সহযোগিতা আমরা দিতে প্রস্তুত। এর ফলে এই সম্ভাবনাময় ফসলটির বিকাশ আরও ত্বরান্বিত হবে।