০৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
শুক্রবারের মধ্যে জুলাই সংবিধানের চূড়ান্ত রোডম্যাপ প্রকাশের আশা স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট নভেম্বরের মধ্যে চায় জামায়াত হাসিনার বিরুদ্ধে আজ সাক্ষ্য দেবেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এনবিআরের সিদ্ধান্ত: এমপি কোটার ৩০ বিলাসবহুল গাড়ি নিলামে বিক্রির পরিবর্তে হস্তান্তর তীব্র যানজটে আটকা পড়ে সড়ক উপদেষ্টা মোটরসাইকেলে গন্তব্যে পৌঁছেছেন ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের পাশে আবর্জনার স্তূপ ঢেকে দেওয়া হলো বিশিষ্ট উপদেষ্টার আগমনের জন্য পাঁচ দিন ধরে সাগরে ভাসমান ২৬ জেলেকে উদ্ধার করলো নৌ বাহিনী মেনন-পলক-দস্তগীরসহ চারজনের বিরুদ্ধে নতুন মামলায় গ্রেফতার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ: দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার প্রত্যয়

আড়াই মাসে মোংলা বন্দরে নোঙর করেছে ১৭১ विदेशी ভাসান

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর, মোংলা বন্দরে গত আড়াই মাসে মোট ১৭১টি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ নোঙর করেছে। এর ফলে বন্দরের রাজস্ব আয় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে নোঙরকৃত এসব জাহাজের মধ্যে ১২টি বহন করছে ৮ হাজার ৫১৪ টিইইউ কন্টেইনার, আর ছয়টি জাহাজে আমদানি হয়েছে ২ হাজার ১১৮টি নানা ব্র্যান্ডের গাড়ি।

বন্দরের কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই সময়ে মোংলা বন্দরে মোট ১৮.০২ লাখ টন পণ্য পরিবহন করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে এ বন্দরে জাহাজ আগমনের সংখ্যায় বাড়তি লক্ষণ দেখা গেছে, যা বন্দরের উন্নতির জন্য বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ মাকরুজ্জামান জানান, বর্তমানে সার, ক্লিংকার, এলপিজি, কয়লা এবং পাথর বহনের জন্য ১৫৩টি বিদেশি জাহাজ বলবৎ রয়েছে, যা বন্দরের জেটি ও নোঙর পয়েন্ট যেমন হারবাড়িয়া বোয়া, বেস ক্রিক, সুন্দরী কোটা, ও মুরিং বোয়া পয়েন্টে অবস্থান করছে।

তিনি বলেন, মোংলা বন্দর বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র, যেখানে লাখ লাখ মানুষ কর্মসংস্থান পায়। বন্দরে আমদানির মাধ্যমে খাদ্যশস্য, সিমেন্টের কাঁচামাল, ক্লিংকার, সার, অটোমোবাইল, যন্ত্রপাতি, চাল, গম, কয়লা, পেট্রোল, পাথর, ভুট্টা, তৈলবীজ ও এলপিজি গ্যাসসহ বিভিন্ন পণ্য দেশের চাহিদা পূরণে অবদান রাখে।

এছাড়াও মাছ, চিংড়ি, পাট ও পাটজাত পণ্য, হিমায়িত খাদ্য, কাঁকড়া, টাইলস, রেশম কাপড় ও সাধারণ পণ্যও এই বন্দরের মাধ্যমে রপ্তানি হয়।

মাকরুজ্জামান আরও বলেন, বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সাতটি উন্নয়ন প্রকল্প দ্রুত এগিয়ে চলছে। জাহাজ আগমন সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় আমদানি ও রপ্তানির পরিমাণও বাড়ছে।

বিশেষ করে, বন্দরের মাধ্যমে রিকন্ডিশনড গাড়ি আমদানি করতে আগ্রহী অনেক আমদানিকারক, যার কারণে মোংলা বন্দরে গাড়ির আমদানিও বেড়েছে। চলমান এসব উন্নয়ন প্রকল্প পারিপার্শ্বিক পরিবেশবান্ধব ও ব্যবসা-বান্ধব বন্দর হিসেবে মোংলার পরিচিতি আরও শক্তিশালী করবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্টরা।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

আড়াই মাসে মোংলা বন্দরে নোঙর করেছে ১৭১ विदेशी ভাসান

প্রকাশিতঃ ০৬:১০:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর, মোংলা বন্দরে গত আড়াই মাসে মোট ১৭১টি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ নোঙর করেছে। এর ফলে বন্দরের রাজস্ব আয় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে নোঙরকৃত এসব জাহাজের মধ্যে ১২টি বহন করছে ৮ হাজার ৫১৪ টিইইউ কন্টেইনার, আর ছয়টি জাহাজে আমদানি হয়েছে ২ হাজার ১১৮টি নানা ব্র্যান্ডের গাড়ি।

বন্দরের কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই সময়ে মোংলা বন্দরে মোট ১৮.০২ লাখ টন পণ্য পরিবহন করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে এ বন্দরে জাহাজ আগমনের সংখ্যায় বাড়তি লক্ষণ দেখা গেছে, যা বন্দরের উন্নতির জন্য বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ মাকরুজ্জামান জানান, বর্তমানে সার, ক্লিংকার, এলপিজি, কয়লা এবং পাথর বহনের জন্য ১৫৩টি বিদেশি জাহাজ বলবৎ রয়েছে, যা বন্দরের জেটি ও নোঙর পয়েন্ট যেমন হারবাড়িয়া বোয়া, বেস ক্রিক, সুন্দরী কোটা, ও মুরিং বোয়া পয়েন্টে অবস্থান করছে।

তিনি বলেন, মোংলা বন্দর বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র, যেখানে লাখ লাখ মানুষ কর্মসংস্থান পায়। বন্দরে আমদানির মাধ্যমে খাদ্যশস্য, সিমেন্টের কাঁচামাল, ক্লিংকার, সার, অটোমোবাইল, যন্ত্রপাতি, চাল, গম, কয়লা, পেট্রোল, পাথর, ভুট্টা, তৈলবীজ ও এলপিজি গ্যাসসহ বিভিন্ন পণ্য দেশের চাহিদা পূরণে অবদান রাখে।

এছাড়াও মাছ, চিংড়ি, পাট ও পাটজাত পণ্য, হিমায়িত খাদ্য, কাঁকড়া, টাইলস, রেশম কাপড় ও সাধারণ পণ্যও এই বন্দরের মাধ্যমে রপ্তানি হয়।

মাকরুজ্জামান আরও বলেন, বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সাতটি উন্নয়ন প্রকল্প দ্রুত এগিয়ে চলছে। জাহাজ আগমন সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় আমদানি ও রপ্তানির পরিমাণও বাড়ছে।

বিশেষ করে, বন্দরের মাধ্যমে রিকন্ডিশনড গাড়ি আমদানি করতে আগ্রহী অনেক আমদানিকারক, যার কারণে মোংলা বন্দরে গাড়ির আমদানিও বেড়েছে। চলমান এসব উন্নয়ন প্রকল্প পারিপার্শ্বিক পরিবেশবান্ধব ও ব্যবসা-বান্ধব বন্দর হিসেবে মোংলার পরিচিতি আরও শক্তিশালী করবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্টরা।