০২:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
শুক্রবারের মধ্যে জুলাই সংবিধানের চূড়ান্ত রোডম্যাপ প্রকাশের আশা জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট নভেম্বরের মধ্যে চায় জামায়াত স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক হাসিনার বিরুদ্ধে আজ সাক্ষ্য দেবেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এনবিআরের সিদ্ধান্ত: এমপি কোটার ৩০ বিলাসবহুল গাড়ি নিলামে বিক্রির পরিবর্তে হস্তান্তর তীব্র যানজটে আটকা পড়ে সড়ক উপদেষ্টা মোটরসাইকেলে গন্তব্যে পৌঁছেছেন ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের পাশে আবর্জনার স্তূপ ঢেকে দেওয়া হলো বিশিষ্ট উপদেষ্টার আগমনের জন্য পাঁচ দিন ধরে সাগরে ভাসমান ২৬ জেলেকে উদ্ধার করলো নৌ বাহিনী মেনন-পলক-দস্তগীরসহ চারজনের বিরুদ্ধে নতুন মামলায় গ্রেফতার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ: দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার প্রত্যয়

ব্যাংক হিসাব জব্দের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের ভয় দেখানো উচিত নয়: ফাহমিদা খাতুন

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ড সদস্য ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, অর্থনীতির স্বস্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে দ্রুত সম্মতিপূর্ণ নির্বাচন প্রয়োজন। তিনি বলেন, ঢালাওভাবে ব্যবসায়ীদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা ঠিক নয়। এটি যদি অব্যাহত থাকে, তবে তা ব্যবসায়ী সমাজ ও সাধারণ মানুষ উভয়ের জন্য ক্ষতিকর হবে। গত শনিবার এফডিসিতে ‘ডিবেট ফর ডেমোক্র্যাসি’ আয়োজিত ‘ব্যাংক একীভূতকরণ: ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনবে’ শীর্ষক ছায়া সংসদে এসব কথা বলেন তিনি। ড. ফাহমিদা খাতুন আরও বলেন, ‘স্বল্পমেয়াদি সরকার যদি দীর্ঘায়িত হয়, তবে তার ফলে অর্থনীতির জন্য নেতিবাচক প্রভাব পড়বে, যা বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে বাধা সৃষ্টি করে। অর্থনীতি ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি একসঙ্গে এগোতে থাকা দরকার, অন্যথায় অর্থনৈতিক সূচক ও মানুষজনের জীবনযাত্রার মান খারাপ হতে পারে। দুর্বল শাসনব্যবস্থায় অর্থনীতি সচল থাকে না। তিনি emphasise করে বলেন, দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে একটি শক্তিশালী ও স্বচ্ছ সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ব্যাংক হিসাব জব্দের ভীতি সৃষ্টি করার বদলে, যদি কোনো বড় ধরনের নিয়ম ভাঙার ঘটনা না ঘটে, তবে জব্দকৃত হিসাবগুলো দ্রুত খোলা উচিত। অন্যথায়, এর ফলে ব্যবসাবাণিজ্য, দারিদ্র্য নিরসন এবং কর্মসংস্থান অনেকখানি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ফাহমিদা খাতুন উল্লেখ করেন, এ পর্যন্ত অনেক সূচকের পতন দেখা গেছে, তবে অর্থনৈতিক সংকট পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেনি। ব্যাংকিং খাতে অতীতের ভুল ও দুর্বল শাসনব্যবস্থার কারণে সূচকগুলো আরও অবনতি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘পূর্ববর্তী সরকার সময়কালের ব্যাংক অনুমোদনের এতো বেশি মাত্রায় ছিল যে, এটি পৃথিবীর অনেক দেশে বিরল। সেই সময় ব্যাংকগুলোকে নিজেদের সম্পদ বাড়ানোর জন্য অপব্যবহার করা হয়েছে। অসমর্থ ও দুর্বল ব্যাংকগুলোকে একি পর্যায়ে আনার জন্য যাতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া যায়, তা জটিল ও ঝুঁকিপূর্ণ। এতে সাধারণ জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে।’ এই সমস্ত বিষয় বিবেচনায় রেখেই উচিত দীর্ঘমেয়াদি ও সুসংগঠিত পরিকল্পনা গ্রহণ এবং ব্যাংকগুলি শক্তিশালী ও স্বচ্ছ রেখে দেশের অর্থনীতিকে উন্নত করা।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

ব্যাংক হিসাব জব্দের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের ভয় দেখানো উচিত নয়: ফাহমিদা খাতুন

প্রকাশিতঃ ১০:৪৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ড সদস্য ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, অর্থনীতির স্বস্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে দ্রুত সম্মতিপূর্ণ নির্বাচন প্রয়োজন। তিনি বলেন, ঢালাওভাবে ব্যবসায়ীদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা ঠিক নয়। এটি যদি অব্যাহত থাকে, তবে তা ব্যবসায়ী সমাজ ও সাধারণ মানুষ উভয়ের জন্য ক্ষতিকর হবে। গত শনিবার এফডিসিতে ‘ডিবেট ফর ডেমোক্র্যাসি’ আয়োজিত ‘ব্যাংক একীভূতকরণ: ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনবে’ শীর্ষক ছায়া সংসদে এসব কথা বলেন তিনি। ড. ফাহমিদা খাতুন আরও বলেন, ‘স্বল্পমেয়াদি সরকার যদি দীর্ঘায়িত হয়, তবে তার ফলে অর্থনীতির জন্য নেতিবাচক প্রভাব পড়বে, যা বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে বাধা সৃষ্টি করে। অর্থনীতি ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি একসঙ্গে এগোতে থাকা দরকার, অন্যথায় অর্থনৈতিক সূচক ও মানুষজনের জীবনযাত্রার মান খারাপ হতে পারে। দুর্বল শাসনব্যবস্থায় অর্থনীতি সচল থাকে না। তিনি emphasise করে বলেন, দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে একটি শক্তিশালী ও স্বচ্ছ সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ব্যাংক হিসাব জব্দের ভীতি সৃষ্টি করার বদলে, যদি কোনো বড় ধরনের নিয়ম ভাঙার ঘটনা না ঘটে, তবে জব্দকৃত হিসাবগুলো দ্রুত খোলা উচিত। অন্যথায়, এর ফলে ব্যবসাবাণিজ্য, দারিদ্র্য নিরসন এবং কর্মসংস্থান অনেকখানি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ফাহমিদা খাতুন উল্লেখ করেন, এ পর্যন্ত অনেক সূচকের পতন দেখা গেছে, তবে অর্থনৈতিক সংকট পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেনি। ব্যাংকিং খাতে অতীতের ভুল ও দুর্বল শাসনব্যবস্থার কারণে সূচকগুলো আরও অবনতি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘পূর্ববর্তী সরকার সময়কালের ব্যাংক অনুমোদনের এতো বেশি মাত্রায় ছিল যে, এটি পৃথিবীর অনেক দেশে বিরল। সেই সময় ব্যাংকগুলোকে নিজেদের সম্পদ বাড়ানোর জন্য অপব্যবহার করা হয়েছে। অসমর্থ ও দুর্বল ব্যাংকগুলোকে একি পর্যায়ে আনার জন্য যাতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া যায়, তা জটিল ও ঝুঁকিপূর্ণ। এতে সাধারণ জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে।’ এই সমস্ত বিষয় বিবেচনায় রেখেই উচিত দীর্ঘমেয়াদি ও সুসংগঠিত পরিকল্পনা গ্রহণ এবং ব্যাংকগুলি শক্তিশালী ও স্বচ্ছ রেখে দেশের অর্থনীতিকে উন্নত করা।