০১:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
আন্তর্জাতিকভাবে দাবি জানানোয় বন্দিদের মুক্তি ঘোষণা বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর দোয়ার আবেদন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্কটকালে মায়ের স্নেহ পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমারও: তারেক রহমান মৌসুমি সবজি বাজারে ভরপুর, দাম কমে গেছে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় দোয়া ও মোনাজাত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের জন্য ভর্তুকির দাবি আরব আমিরাতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া ২৪ ব্যক্তির মুক্তি আসছে বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা মনের আকাঙ্ক্ষা ও রাজনৈতিক বাস্তবতার মধ্যে দ্বন্দ্ব: তারেক রহমানের মন্তব্য বাজারে মৌসুমি সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি ও দাম কমে যাচ্ছে

ব্যাংক হিসাব জব্দের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের ভয় দেখানো উচিত নয়: ফাহমিদা খাতুন

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ড সদস্য ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, অর্থনীতির স্বস্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে দ্রুত সম্মতিপূর্ণ নির্বাচন প্রয়োজন। তিনি বলেন, ঢালাওভাবে ব্যবসায়ীদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা ঠিক নয়। এটি যদি অব্যাহত থাকে, তবে তা ব্যবসায়ী সমাজ ও সাধারণ মানুষ উভয়ের জন্য ক্ষতিকর হবে। গত শনিবার এফডিসিতে ‘ডিবেট ফর ডেমোক্র্যাসি’ আয়োজিত ‘ব্যাংক একীভূতকরণ: ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনবে’ শীর্ষক ছায়া সংসদে এসব কথা বলেন তিনি। ড. ফাহমিদা খাতুন আরও বলেন, ‘স্বল্পমেয়াদি সরকার যদি দীর্ঘায়িত হয়, তবে তার ফলে অর্থনীতির জন্য নেতিবাচক প্রভাব পড়বে, যা বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে বাধা সৃষ্টি করে। অর্থনীতি ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি একসঙ্গে এগোতে থাকা দরকার, অন্যথায় অর্থনৈতিক সূচক ও মানুষজনের জীবনযাত্রার মান খারাপ হতে পারে। দুর্বল শাসনব্যবস্থায় অর্থনীতি সচল থাকে না। তিনি emphasise করে বলেন, দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে একটি শক্তিশালী ও স্বচ্ছ সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ব্যাংক হিসাব জব্দের ভীতি সৃষ্টি করার বদলে, যদি কোনো বড় ধরনের নিয়ম ভাঙার ঘটনা না ঘটে, তবে জব্দকৃত হিসাবগুলো দ্রুত খোলা উচিত। অন্যথায়, এর ফলে ব্যবসাবাণিজ্য, দারিদ্র্য নিরসন এবং কর্মসংস্থান অনেকখানি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ফাহমিদা খাতুন উল্লেখ করেন, এ পর্যন্ত অনেক সূচকের পতন দেখা গেছে, তবে অর্থনৈতিক সংকট পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেনি। ব্যাংকিং খাতে অতীতের ভুল ও দুর্বল শাসনব্যবস্থার কারণে সূচকগুলো আরও অবনতি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘পূর্ববর্তী সরকার সময়কালের ব্যাংক অনুমোদনের এতো বেশি মাত্রায় ছিল যে, এটি পৃথিবীর অনেক দেশে বিরল। সেই সময় ব্যাংকগুলোকে নিজেদের সম্পদ বাড়ানোর জন্য অপব্যবহার করা হয়েছে। অসমর্থ ও দুর্বল ব্যাংকগুলোকে একি পর্যায়ে আনার জন্য যাতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া যায়, তা জটিল ও ঝুঁকিপূর্ণ। এতে সাধারণ জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে।’ এই সমস্ত বিষয় বিবেচনায় রেখেই উচিত দীর্ঘমেয়াদি ও সুসংগঠিত পরিকল্পনা গ্রহণ এবং ব্যাংকগুলি শক্তিশালী ও স্বচ্ছ রেখে দেশের অর্থনীতিকে উন্নত করা।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

ব্যাংক হিসাব জব্দের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের ভয় দেখানো উচিত নয়: ফাহমিদা খাতুন

প্রকাশিতঃ ১০:৪৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ড সদস্য ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, অর্থনীতির স্বস্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে দ্রুত সম্মতিপূর্ণ নির্বাচন প্রয়োজন। তিনি বলেন, ঢালাওভাবে ব্যবসায়ীদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা ঠিক নয়। এটি যদি অব্যাহত থাকে, তবে তা ব্যবসায়ী সমাজ ও সাধারণ মানুষ উভয়ের জন্য ক্ষতিকর হবে। গত শনিবার এফডিসিতে ‘ডিবেট ফর ডেমোক্র্যাসি’ আয়োজিত ‘ব্যাংক একীভূতকরণ: ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনবে’ শীর্ষক ছায়া সংসদে এসব কথা বলেন তিনি। ড. ফাহমিদা খাতুন আরও বলেন, ‘স্বল্পমেয়াদি সরকার যদি দীর্ঘায়িত হয়, তবে তার ফলে অর্থনীতির জন্য নেতিবাচক প্রভাব পড়বে, যা বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে বাধা সৃষ্টি করে। অর্থনীতি ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি একসঙ্গে এগোতে থাকা দরকার, অন্যথায় অর্থনৈতিক সূচক ও মানুষজনের জীবনযাত্রার মান খারাপ হতে পারে। দুর্বল শাসনব্যবস্থায় অর্থনীতি সচল থাকে না। তিনি emphasise করে বলেন, দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে একটি শক্তিশালী ও স্বচ্ছ সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ব্যাংক হিসাব জব্দের ভীতি সৃষ্টি করার বদলে, যদি কোনো বড় ধরনের নিয়ম ভাঙার ঘটনা না ঘটে, তবে জব্দকৃত হিসাবগুলো দ্রুত খোলা উচিত। অন্যথায়, এর ফলে ব্যবসাবাণিজ্য, দারিদ্র্য নিরসন এবং কর্মসংস্থান অনেকখানি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ফাহমিদা খাতুন উল্লেখ করেন, এ পর্যন্ত অনেক সূচকের পতন দেখা গেছে, তবে অর্থনৈতিক সংকট পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেনি। ব্যাংকিং খাতে অতীতের ভুল ও দুর্বল শাসনব্যবস্থার কারণে সূচকগুলো আরও অবনতি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘পূর্ববর্তী সরকার সময়কালের ব্যাংক অনুমোদনের এতো বেশি মাত্রায় ছিল যে, এটি পৃথিবীর অনেক দেশে বিরল। সেই সময় ব্যাংকগুলোকে নিজেদের সম্পদ বাড়ানোর জন্য অপব্যবহার করা হয়েছে। অসমর্থ ও দুর্বল ব্যাংকগুলোকে একি পর্যায়ে আনার জন্য যাতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া যায়, তা জটিল ও ঝুঁকিপূর্ণ। এতে সাধারণ জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে।’ এই সমস্ত বিষয় বিবেচনায় রেখেই উচিত দীর্ঘমেয়াদি ও সুসংগঠিত পরিকল্পনা গ্রহণ এবং ব্যাংকগুলি শক্তিশালী ও স্বচ্ছ রেখে দেশের অর্থনীতিকে উন্নত করা।