০৯:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
একাত্তরের ভুল প্রমাণিত হলে জাতির কাছে ক্ষমা চাইব: জামায়াত আমির নতুন আইজিপি বাহারুল আলম, ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাদ আলী ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা নিয়ে যা জানালেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে, আওয়ামী লীগের নির্বাচন করায় আপত্তি নেই: দ্য হিন্দুকে ইউনূস সোনারগাঁয়ে মেঘনা গ্রুপের ফ্যাক্টরিতে অগ্নিকাণ্ড, ক্ষতি ৪০০ কোটি টাকা বিডিআরের নির্দোষ সদস্যদের চাকরি পুর্নবহালের দাবি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ করে প্রজ্ঞাপন জারি ৪৪, ৪৫ ও ৪৬তম বিসিএস নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত খাদ্যের মান যাচাইয়ে এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খেলেন উপাচার্য সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম গ্রেপ্তার

টাইগাররা কি হোম গ্রাউন্ডে পাকিস্তানকে আটকাতে পারবে

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হয়েছে ভরাডুবি। তার রেশ কাটতে না কাটতেই একই টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালিস্ট পাকিস্তানের সামনে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের মূল পর্বে ৫ ম্যাচ খেলে টাইগাররা জিততে পারেনি একটি ম্যাচও। তবে, হোম কন্ডিশনে তারা যেকোনো দলের জন্যই শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। সে দিকেও নজর রাখতে পাকিস্তানকে। 

ক্রিকেটের অন্যতম বড় আসর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বে প্রথম ৫ ম্যাচেই জিতেছিলো পাকিস্তান। কিন্তু, সেমিফাইনালে প্রথমবারের মতো হেরে টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে যায় তারা। শেষ ম্যাচে অনেকটা নাটকীয় ভাবেই বিদায় নেয় পাকিস্তান।

পাকিস্তান অবশ্যই তাদের ভালো পারফর্মেন্সের ধারাবাহিকতা আসন্ন সিরিজেও ধরে রাখতে চাইবে। ব্যাটিং অর্ডারে বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান বরাবরই ভালো শুরু এনে দিচ্ছেন। মিডল অর্ডারে আছেন ফখর জামান, সাথে শোয়েব মালিকের মতো অভিজ্ঞ ক্যাম্পেইনার। যদিও ঢাকার স্লো পিচে বোলারদের দায়িত্ব হবে আরও গুরুত্বপূর্ণ।

শাহীন শাহ আফ্রিদি, হারিস রউফ, হাসান আলী যেকোনো ব্যাটিং লাইনআপে ধস নামিয়ে দেয়ার জন্য এই বোলিং ট্রায়োই যথেষ্ট। সাথে আছেন ইমাদ ওয়াসিম ও শাদাব খানের মতো কৌশুলী স্পিনার। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শাদাব খানের বোলিং পারফর্মেন্সের কথা ক্রিকেট বিশ্ব মনে রাখবে অনেকদিন।

অন্যদিকে, বাংলাদেশের ওপেনিং স্পট ও টপ অর্ডারে নেই লিটন দাস, সৌম্য সরকার ও মুশফিকুর রহিমের মতো ব্যাটসম্যান। তাদের জায়গায় দলে ঢুকেছেন নাজমুল শান্ত, সাইফ হাসান ও ইয়াসির আলী। বোলিং ইউনিটে জায়গা পেয়েছেন লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম। অনেকদিন পর স্কোয়াডে একজন লেগ স্পিনার রেখেছেন বাংলাদেশের নির্বাচকেরা।

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের এই অনভিজ্ঞ বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দেয়ার পাশাপাশি মনোযোগী হতে হবে নিজের পারফরম্যান্সেও। মোহাম্মদ নাইমের পাওয়ার প্লেতে আরও ভাল করতে হবে। বিশ্বকাপে বাজে সময় কাটানোর পরও নির্বাচকেরা আফিফ হোসেন ও নুরুল হাসানের উপর বিশ্বাস রেখেছেন। সেই বিশ্বাসের প্রতিদান ব্যাট হাতে রান করে তারা দিতে চাইবেন।

বাংলাদেশের বোলিং বরাবরের মতোই আশা জাগাচ্ছে। তাসকিন আহমেদ গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৬ ম্যাচে ৬.৫০ গড়ে নিয়েছেন ৬টি উইকেট। সাথে আছেন নিজেকে খুঁজে ফেরা মুস্তাফিজুর রহমান। এই সিরিজে ভালো বোলিং করে ঘুরে দাঁড়াতে চাইবেন বাংলাদেশের এই কাটার মাস্টার। সাকিব আল হাসান এই সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির কারণে। তার অনুপস্থিতিতে নাসুম আহমেদের ভালো কিছু করে দেখাতে হবে। সাথে পাবেন মেহেদি হাসানকে।

ট্যাগ :

রুশ হামলার আশঙ্কায় কিয়েভে দূতাবাস বন্ধ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

টাইগাররা কি হোম গ্রাউন্ডে পাকিস্তানকে আটকাতে পারবে

প্রকাশিতঃ ১২:৪০:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২১

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হয়েছে ভরাডুবি। তার রেশ কাটতে না কাটতেই একই টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালিস্ট পাকিস্তানের সামনে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের মূল পর্বে ৫ ম্যাচ খেলে টাইগাররা জিততে পারেনি একটি ম্যাচও। তবে, হোম কন্ডিশনে তারা যেকোনো দলের জন্যই শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। সে দিকেও নজর রাখতে পাকিস্তানকে। 

ক্রিকেটের অন্যতম বড় আসর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বে প্রথম ৫ ম্যাচেই জিতেছিলো পাকিস্তান। কিন্তু, সেমিফাইনালে প্রথমবারের মতো হেরে টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে যায় তারা। শেষ ম্যাচে অনেকটা নাটকীয় ভাবেই বিদায় নেয় পাকিস্তান।

পাকিস্তান অবশ্যই তাদের ভালো পারফর্মেন্সের ধারাবাহিকতা আসন্ন সিরিজেও ধরে রাখতে চাইবে। ব্যাটিং অর্ডারে বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান বরাবরই ভালো শুরু এনে দিচ্ছেন। মিডল অর্ডারে আছেন ফখর জামান, সাথে শোয়েব মালিকের মতো অভিজ্ঞ ক্যাম্পেইনার। যদিও ঢাকার স্লো পিচে বোলারদের দায়িত্ব হবে আরও গুরুত্বপূর্ণ।

শাহীন শাহ আফ্রিদি, হারিস রউফ, হাসান আলী যেকোনো ব্যাটিং লাইনআপে ধস নামিয়ে দেয়ার জন্য এই বোলিং ট্রায়োই যথেষ্ট। সাথে আছেন ইমাদ ওয়াসিম ও শাদাব খানের মতো কৌশুলী স্পিনার। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শাদাব খানের বোলিং পারফর্মেন্সের কথা ক্রিকেট বিশ্ব মনে রাখবে অনেকদিন।

অন্যদিকে, বাংলাদেশের ওপেনিং স্পট ও টপ অর্ডারে নেই লিটন দাস, সৌম্য সরকার ও মুশফিকুর রহিমের মতো ব্যাটসম্যান। তাদের জায়গায় দলে ঢুকেছেন নাজমুল শান্ত, সাইফ হাসান ও ইয়াসির আলী। বোলিং ইউনিটে জায়গা পেয়েছেন লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম। অনেকদিন পর স্কোয়াডে একজন লেগ স্পিনার রেখেছেন বাংলাদেশের নির্বাচকেরা।

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের এই অনভিজ্ঞ বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দেয়ার পাশাপাশি মনোযোগী হতে হবে নিজের পারফরম্যান্সেও। মোহাম্মদ নাইমের পাওয়ার প্লেতে আরও ভাল করতে হবে। বিশ্বকাপে বাজে সময় কাটানোর পরও নির্বাচকেরা আফিফ হোসেন ও নুরুল হাসানের উপর বিশ্বাস রেখেছেন। সেই বিশ্বাসের প্রতিদান ব্যাট হাতে রান করে তারা দিতে চাইবেন।

বাংলাদেশের বোলিং বরাবরের মতোই আশা জাগাচ্ছে। তাসকিন আহমেদ গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৬ ম্যাচে ৬.৫০ গড়ে নিয়েছেন ৬টি উইকেট। সাথে আছেন নিজেকে খুঁজে ফেরা মুস্তাফিজুর রহমান। এই সিরিজে ভালো বোলিং করে ঘুরে দাঁড়াতে চাইবেন বাংলাদেশের এই কাটার মাস্টার। সাকিব আল হাসান এই সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির কারণে। তার অনুপস্থিতিতে নাসুম আহমেদের ভালো কিছু করে দেখাতে হবে। সাথে পাবেন মেহেদি হাসানকে।