০৬:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
গুম-খুনের অভিযোগে ক্ষমা চেয়ে আয়নাঘরের কথা স্বীকার করলেন র‍্যাব ডিজি ঐক্যের ডাক হাসনাত আব্দুল্লাহর দেশের জন্য ক্ষতিকর চুক্তি বাতিলের দাবি করা হয়েছে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদা রক্ষার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য চলমান অপচেষ্টা নতুন বাংলাদেশের যাত্রায় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন সাবেক এসপি বাবুল আক্তার রমেন রায়ের ওপর হামলার ঘটনাটি পুরোনো, তিনি চিন্ময়ের আইনজীবী নন ঢাকায় আসছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব কঠিন সময় পার করছে বাংলাদেশ: প্রধান উপদেষ্টা পশ্চিমবঙ্গের ৮ জেলায় বাংলাদেশ সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ালো ভারত

মার্চে রেমিট্যান্স এসেছে ১৮৬ কোটি ডলার

বছরের সবচেয়ে ছোট মাস ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্সে বড় ধস নেমেছিল। মহামারির মধ্যেও গত অর্থবছরে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ার পরে প্রবাসীদের আয়ে মাসটিতে বিপরীত চিত্র দেখা যায়। তবে এর পরের মাস, অর্থাৎ সদ্য বিদায়ি মার্চ মাসে ফের ঘুরে দাঁড়িয়েছে রেমিট্যান্স। মার্চ মাসে প্রবাসী বাংলাদেশিরা মোট ১৮৬ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন, দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ১ ডলার সমান ৮৬ টাকা হিসাবে) ১৫ হাজার ৯৯৬ কোটি টাকা।

খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বৈশ্বিক মহামারির মধ্যেও ব্যবসা-বাণিজ্য সচল হয়েছে। শিক্ষা, চিকিৎসা, ভ্রমণসহ বিভিন্ন বহির্বিশ্বের সঙ্গে যাতায়াত বেড়েছে। ফলে ব্যাংকিং চ্যানেলের চাহিদা বেড়েছে। তাছাড়া পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে প্রবাসীরা তাদের জমানো টাকা পরিবারের জন্য পাঠিয়েছেন। ফলে চলতি অর্থবছরের মার্চে বৈধ পথে রেমিট্যান্সের প্রবাহ বেড়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, মার্চ মাসে ১৮৬ কোটি ডলার বা ১৫ হাজার ৯৯৬ কোটি টাকা এসেছে দেশে, যা তার আগের মাস ফেব্রুয়ারিতে প্রবাসীরা ১৪৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছিলেন। এটা ফেব্রুয়ারির চেয়ে ৩৭ কোটি ডলার বা ৩ হাজার ১৮৪ কোটি টাকা বেশি। গত বছরের (২০২০-২১ অর্থবছরের মার্চ) একই মাসের তুলনায় ৫ কোটি ডলার বা ৪৩০ কোটি টাকা কম এসেছে। গত বছরের মার্চে প্রবাসীরা ১৯১ কোটি ডলার বা ১৬ হাজার ৪২৬ কোটি টাকা দেশে পাঠিয়েছিলেন। চলতি বছরের (২০২২) প্রথম মাস

জানুয়ারিতে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছিলেন ১৭০ কোটি ডলার বা ১৪ হাজার ৬২০ কোটি টাকা। ব্যাংক খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকার সম্প্রতি প্রবাসীদের জন্য প্রণোদনা আগের ২ শতাংশের পরিবর্তে আড়াই শতাংশে উন্নীত করেছেন। এতে বৈধ পথে দেশে অর্থ পাঠাতে উৎসাহিত হচ্ছেন প্রবাসীরা। তাছাড়া রমজান ও পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে প্রবাসীরা পরিবারের জন্য অর্থ পাঠাচ্ছেন। এতে প্রবাসী আয় বাড়ছে, ভবিষ্যতে আরো বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরের ৮ মাসে (জুলাই-মার্চ) দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ৫৩০ কোটি ডলার (প্রতি ডলার ৮৬ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ১ লাখ ৩১ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা), যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৩০১ কোটি ডলার কম। ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ হাজার ৮৩১ কোটি ডলার বা ১ লাখ ৫৭ হাজার ৪৬৬ কোটি টাকা।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

মার্চে রেমিট্যান্স এসেছে ১৮৬ কোটি ডলার

প্রকাশিতঃ ০১:১৫:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ এপ্রিল ২০২২

বছরের সবচেয়ে ছোট মাস ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্সে বড় ধস নেমেছিল। মহামারির মধ্যেও গত অর্থবছরে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ার পরে প্রবাসীদের আয়ে মাসটিতে বিপরীত চিত্র দেখা যায়। তবে এর পরের মাস, অর্থাৎ সদ্য বিদায়ি মার্চ মাসে ফের ঘুরে দাঁড়িয়েছে রেমিট্যান্স। মার্চ মাসে প্রবাসী বাংলাদেশিরা মোট ১৮৬ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন, দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ১ ডলার সমান ৮৬ টাকা হিসাবে) ১৫ হাজার ৯৯৬ কোটি টাকা।

খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বৈশ্বিক মহামারির মধ্যেও ব্যবসা-বাণিজ্য সচল হয়েছে। শিক্ষা, চিকিৎসা, ভ্রমণসহ বিভিন্ন বহির্বিশ্বের সঙ্গে যাতায়াত বেড়েছে। ফলে ব্যাংকিং চ্যানেলের চাহিদা বেড়েছে। তাছাড়া পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে প্রবাসীরা তাদের জমানো টাকা পরিবারের জন্য পাঠিয়েছেন। ফলে চলতি অর্থবছরের মার্চে বৈধ পথে রেমিট্যান্সের প্রবাহ বেড়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, মার্চ মাসে ১৮৬ কোটি ডলার বা ১৫ হাজার ৯৯৬ কোটি টাকা এসেছে দেশে, যা তার আগের মাস ফেব্রুয়ারিতে প্রবাসীরা ১৪৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছিলেন। এটা ফেব্রুয়ারির চেয়ে ৩৭ কোটি ডলার বা ৩ হাজার ১৮৪ কোটি টাকা বেশি। গত বছরের (২০২০-২১ অর্থবছরের মার্চ) একই মাসের তুলনায় ৫ কোটি ডলার বা ৪৩০ কোটি টাকা কম এসেছে। গত বছরের মার্চে প্রবাসীরা ১৯১ কোটি ডলার বা ১৬ হাজার ৪২৬ কোটি টাকা দেশে পাঠিয়েছিলেন। চলতি বছরের (২০২২) প্রথম মাস

জানুয়ারিতে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছিলেন ১৭০ কোটি ডলার বা ১৪ হাজার ৬২০ কোটি টাকা। ব্যাংক খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকার সম্প্রতি প্রবাসীদের জন্য প্রণোদনা আগের ২ শতাংশের পরিবর্তে আড়াই শতাংশে উন্নীত করেছেন। এতে বৈধ পথে দেশে অর্থ পাঠাতে উৎসাহিত হচ্ছেন প্রবাসীরা। তাছাড়া রমজান ও পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে প্রবাসীরা পরিবারের জন্য অর্থ পাঠাচ্ছেন। এতে প্রবাসী আয় বাড়ছে, ভবিষ্যতে আরো বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরের ৮ মাসে (জুলাই-মার্চ) দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ৫৩০ কোটি ডলার (প্রতি ডলার ৮৬ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ১ লাখ ৩১ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা), যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৩০১ কোটি ডলার কম। ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ হাজার ৮৩১ কোটি ডলার বা ১ লাখ ৫৭ হাজার ৪৬৬ কোটি টাকা।