০৬:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
গুম-খুনের অভিযোগে ক্ষমা চেয়ে আয়নাঘরের কথা স্বীকার করলেন র‍্যাব ডিজি ঐক্যের ডাক হাসনাত আব্দুল্লাহর দেশের জন্য ক্ষতিকর চুক্তি বাতিলের দাবি করা হয়েছে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদা রক্ষার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য চলমান অপচেষ্টা নতুন বাংলাদেশের যাত্রায় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন সাবেক এসপি বাবুল আক্তার রমেন রায়ের ওপর হামলার ঘটনাটি পুরোনো, তিনি চিন্ময়ের আইনজীবী নন ঢাকায় আসছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব কঠিন সময় পার করছে বাংলাদেশ: প্রধান উপদেষ্টা পশ্চিমবঙ্গের ৮ জেলায় বাংলাদেশ সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ালো ভারত

পুলিশ আক্রান্ত হলে নিজেকে বাঁচাবার অধিকার আছে: সংসদে প্রধানমন্ত্রী

মিডিয়া কাভারেজ পেতে বিএনপি আন্দোলনে সিচুয়েশন তৈরি করে বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, হ্যাঁ- আমি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করলে কাউকে কিছু না বলার জন্য বলেছি। পুলিশকে বলেছি কিছু না বলার জন্য; এটা ঠিক। কিন্তু পুলিশ তো আগ বাড়িয়ে কিছু করেনি।

‘পুলিশ যদি আক্রান্ত হয় তার নিজেকে বাঁচাবার অধিকার আছে। সেটা কি নাই? না পুলিশ হলে তার আক্রান্ত হলেও তার নিজেকে রক্ষা করার কোনো অধিকার থাকবে না? আমি তো আন্দোলন করার কথা বলেছি। মিছিল করেন, আন্দোলন করেন, কিন্তু শান্তিপূর্ণভাবে করেন। কেউ কিছু বলবে না। যেখানে শান্তিপূর্ণভাবে হচ্ছে সেখানে তো কেউ কিছু বলছে না।’

বৃহস্পতিবার একাদশ জাতীয় সংসদের ১৯তম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

বিএনপিদলীয় সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বিএনপির ওপর হামলার তথ্য তুলে ধরে সরকারের কড়া সমালোচনা করেন। জবাবে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেন, রুমিন ফারহানা বলে গেল খুব খারাপ নাকি অবস্থা। ভোলার ঘটনা নিয়ে চিৎকার চেঁচামেচি করে গেল, প্রতিবাদ করে গেছে। বাংলাদেশে কী হতো? ৭৫-এ জাতির পিতাকে হত্যা করা হলো, খুনিদের আরও উৎসাহিত করা হলো। বিচারের হাত থেকে রেহাই দেওয়া হলো।

বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, তাদের কথা শুনে মনে হয় তারা বোমা ছুড়বে, লাঠি মারবে, ঢিল মারবে, গুলি করবে। সব করবে। তাদের কিছু বলা যাবে না। আমি তো আন্দোলন করার কথা বলেছি, মিছিল করেন, আন্দোলন করেন। শান্তিপূর্ণভাবে করলে কেউ কিছু বলবে না। যেখানে শান্তিপূর্ণভাবে হচ্ছে সেখানে তো কেউ কিছু বলছে না। কিন্তু এরা তো মাঠে নেমেই আগে কোথায় কাকে আক্রমণ করবে, কীভাবে একটা সিচুয়েশন তৈরি করবে। হ্যাঁ- এটা করে, একটা কারণ আছে। কারণ হলো এমনি মিছিল করলে তো মিডিয়া কাভারেজ পাবে না। মিডিয়াতে কাভারেজ করার জন্যই তারা এমন ঘটনা ঘটায়।

তিনি বলেন, এখন গুম, খুন হত্যা নিয়ে কথা হয়। বাংলাদেশে ৭৫-এর পর কী ঘটেছে। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর বরিশালের আগৈলঝাড়া গৌরনদী থেকে ২৫ হাজার লোক টুঙ্গিপাড়ায় আশ্রয় নিয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ডিজেল বেশি দামে কিনে অল্পমূল্যে দিচ্ছি। প্রত্যেকটা খাতে আমরা দিচ্ছি, কারণ কৃষক উৎপাদনটা বাড়াবে। দুই কোটি কৃষক উপকারভোগী কার্ড পায়। অর্থনীতির প্রত্যেকটা খাতে ভর্তুকি দিচ্ছি। যারা সাধারণ মানুষ তাদের জন্য। যারা উচ্চবিত্ত তারা হয়ত একটু অখুশি হতে পারেন। সাধারণ মানুষের যাতে কষ্ট না হয় সেদিকেই বেশি দৃষ্টি দিয়ে থাকি, এটাই আমার নীতি এবং সেটাই আমি করে যাচ্ছি। হতাশাব্যঞ্জক কথা ছড়িয়ে মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়ানো সেটা মোটেই সমুচিত না।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

পুলিশ আক্রান্ত হলে নিজেকে বাঁচাবার অধিকার আছে: সংসদে প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিতঃ ০৮:২০:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

মিডিয়া কাভারেজ পেতে বিএনপি আন্দোলনে সিচুয়েশন তৈরি করে বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, হ্যাঁ- আমি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করলে কাউকে কিছু না বলার জন্য বলেছি। পুলিশকে বলেছি কিছু না বলার জন্য; এটা ঠিক। কিন্তু পুলিশ তো আগ বাড়িয়ে কিছু করেনি।

‘পুলিশ যদি আক্রান্ত হয় তার নিজেকে বাঁচাবার অধিকার আছে। সেটা কি নাই? না পুলিশ হলে তার আক্রান্ত হলেও তার নিজেকে রক্ষা করার কোনো অধিকার থাকবে না? আমি তো আন্দোলন করার কথা বলেছি। মিছিল করেন, আন্দোলন করেন, কিন্তু শান্তিপূর্ণভাবে করেন। কেউ কিছু বলবে না। যেখানে শান্তিপূর্ণভাবে হচ্ছে সেখানে তো কেউ কিছু বলছে না।’

বৃহস্পতিবার একাদশ জাতীয় সংসদের ১৯তম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

বিএনপিদলীয় সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বিএনপির ওপর হামলার তথ্য তুলে ধরে সরকারের কড়া সমালোচনা করেন। জবাবে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেন, রুমিন ফারহানা বলে গেল খুব খারাপ নাকি অবস্থা। ভোলার ঘটনা নিয়ে চিৎকার চেঁচামেচি করে গেল, প্রতিবাদ করে গেছে। বাংলাদেশে কী হতো? ৭৫-এ জাতির পিতাকে হত্যা করা হলো, খুনিদের আরও উৎসাহিত করা হলো। বিচারের হাত থেকে রেহাই দেওয়া হলো।

বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, তাদের কথা শুনে মনে হয় তারা বোমা ছুড়বে, লাঠি মারবে, ঢিল মারবে, গুলি করবে। সব করবে। তাদের কিছু বলা যাবে না। আমি তো আন্দোলন করার কথা বলেছি, মিছিল করেন, আন্দোলন করেন। শান্তিপূর্ণভাবে করলে কেউ কিছু বলবে না। যেখানে শান্তিপূর্ণভাবে হচ্ছে সেখানে তো কেউ কিছু বলছে না। কিন্তু এরা তো মাঠে নেমেই আগে কোথায় কাকে আক্রমণ করবে, কীভাবে একটা সিচুয়েশন তৈরি করবে। হ্যাঁ- এটা করে, একটা কারণ আছে। কারণ হলো এমনি মিছিল করলে তো মিডিয়া কাভারেজ পাবে না। মিডিয়াতে কাভারেজ করার জন্যই তারা এমন ঘটনা ঘটায়।

তিনি বলেন, এখন গুম, খুন হত্যা নিয়ে কথা হয়। বাংলাদেশে ৭৫-এর পর কী ঘটেছে। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর বরিশালের আগৈলঝাড়া গৌরনদী থেকে ২৫ হাজার লোক টুঙ্গিপাড়ায় আশ্রয় নিয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ডিজেল বেশি দামে কিনে অল্পমূল্যে দিচ্ছি। প্রত্যেকটা খাতে আমরা দিচ্ছি, কারণ কৃষক উৎপাদনটা বাড়াবে। দুই কোটি কৃষক উপকারভোগী কার্ড পায়। অর্থনীতির প্রত্যেকটা খাতে ভর্তুকি দিচ্ছি। যারা সাধারণ মানুষ তাদের জন্য। যারা উচ্চবিত্ত তারা হয়ত একটু অখুশি হতে পারেন। সাধারণ মানুষের যাতে কষ্ট না হয় সেদিকেই বেশি দৃষ্টি দিয়ে থাকি, এটাই আমার নীতি এবং সেটাই আমি করে যাচ্ছি। হতাশাব্যঞ্জক কথা ছড়িয়ে মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়ানো সেটা মোটেই সমুচিত না।