০১:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
গুম-খুনের অভিযোগে ক্ষমা চেয়ে আয়নাঘরের কথা স্বীকার করলেন র‍্যাব ডিজি ঐক্যের ডাক হাসনাত আব্দুল্লাহর দেশের জন্য ক্ষতিকর চুক্তি বাতিলের দাবি করা হয়েছে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদা রক্ষার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য চলমান অপচেষ্টা নতুন বাংলাদেশের যাত্রায় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন সাবেক এসপি বাবুল আক্তার রমেন রায়ের ওপর হামলার ঘটনাটি পুরোনো, তিনি চিন্ময়ের আইনজীবী নন ঢাকায় আসছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব কঠিন সময় পার করছে বাংলাদেশ: প্রধান উপদেষ্টা পশ্চিমবঙ্গের ৮ জেলায় বাংলাদেশ সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ালো ভারত

পোশাকের সফলতা অন্য শিল্পেও ছড়িয়ে দিতে আগ্রহী দ. কোরিয়া

‘বাংলাদেশে শতভাগ রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের যাত্রা শুরু হয় দক্ষিণ কোরিয়ার হাত ধরে। কোরিয়ান কোম্পানি দাইয়ুর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় দেশ গার্মেন্টস। ১৩০ জন কর্মকর্তা-কর্মীকে দক্ষিণ কোরিয়ায় নিয়ে দেওয়া হয় ছয় মাসের প্রশিক্ষণ। সেই প্রশিক্ষণ পাওয়াদের অনেকেই এখন পোশাক কারখানার মালিক। বাংলাদেশে এ খাতে বিনিয়োগ করেছেন অনেক কোরিয়ান উদ্যোক্তাও। তৈরি পোশাক খাতে বাংলাদেশ-কোরিয়ার সাফল্যকে এবার অন্য খাতেও বিকশিত করতে আগ্রহী দক্ষিণ কোরিয়া।’

রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে রোববার এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ আগ্রহের কথা জানান ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং কিউন।

সৌজন্য সাক্ষাতে রাষ্ট্রদূত জানান, ২০২২ সালে বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন মাত্রায় নিতে চায় সিউল। এজন্য তৈরি পোশাকের বাইরে অন্যান্য খাতেও কোরিয়ান বিনিয়োগ বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণে দক্ষিণ কোরিয়া ৫ম শীর্ষ দেশ।

এ সময় কোরিয়াকে বাংলাদেশের অবকাঠামো খাত ও ম্যান মেড ফাইবার খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে জসিম উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিশাল বাজার, ক্রমবর্ধমান রপ্তানি, বিদ্যুৎ, অবকাঠামোর সহজপ্রাপ্যতা সরকারিনীতি সহায়তা ও বিপুলসংখ্যক কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর কারণে বিদেশি বিনিয়োগের সুবর্ণ সময় পার করছে। যে দেশ এই সুযোগ কাজে লাগাবে তারাই লাভবান হবে।

বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধা তুলে ধরতে কোরিয়ায় রোড শো কিংবা বিনিয়োগ সম্মেলন আয়োজনের ব্যাপারে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-বিডার সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলে জানান তিনি।

এছাড়াও চলতি বছরে কোরিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (কেবিসিসিআই) ও এফবিসিসিআই’র যৌথ উদ্যোগে একটি বাণিজ্য সংলাপ আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সহ-সভাপতি এমএ মোমেন, আমিন হেলালী, হাবীব উল্লাহ ডন, পরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার, রেজাউল করিম রেজনু, কেবিসিসিসিআই’র সভাপতি ও মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান ও এমডি মোস্তফা কামাল, উপদেষ্টা সাহাব উদ্দীন খান, কোরিয়া ট্রেড-ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশনাল এজেন্সির মহাপরিচালক কিম ডং হিউন, দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি লি জুংইউল প্রমুখ।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

পোশাকের সফলতা অন্য শিল্পেও ছড়িয়ে দিতে আগ্রহী দ. কোরিয়া

প্রকাশিতঃ ০১:০৭:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২২

‘বাংলাদেশে শতভাগ রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের যাত্রা শুরু হয় দক্ষিণ কোরিয়ার হাত ধরে। কোরিয়ান কোম্পানি দাইয়ুর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় দেশ গার্মেন্টস। ১৩০ জন কর্মকর্তা-কর্মীকে দক্ষিণ কোরিয়ায় নিয়ে দেওয়া হয় ছয় মাসের প্রশিক্ষণ। সেই প্রশিক্ষণ পাওয়াদের অনেকেই এখন পোশাক কারখানার মালিক। বাংলাদেশে এ খাতে বিনিয়োগ করেছেন অনেক কোরিয়ান উদ্যোক্তাও। তৈরি পোশাক খাতে বাংলাদেশ-কোরিয়ার সাফল্যকে এবার অন্য খাতেও বিকশিত করতে আগ্রহী দক্ষিণ কোরিয়া।’

রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে রোববার এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ আগ্রহের কথা জানান ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং কিউন।

সৌজন্য সাক্ষাতে রাষ্ট্রদূত জানান, ২০২২ সালে বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন মাত্রায় নিতে চায় সিউল। এজন্য তৈরি পোশাকের বাইরে অন্যান্য খাতেও কোরিয়ান বিনিয়োগ বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণে দক্ষিণ কোরিয়া ৫ম শীর্ষ দেশ।

এ সময় কোরিয়াকে বাংলাদেশের অবকাঠামো খাত ও ম্যান মেড ফাইবার খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে জসিম উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিশাল বাজার, ক্রমবর্ধমান রপ্তানি, বিদ্যুৎ, অবকাঠামোর সহজপ্রাপ্যতা সরকারিনীতি সহায়তা ও বিপুলসংখ্যক কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর কারণে বিদেশি বিনিয়োগের সুবর্ণ সময় পার করছে। যে দেশ এই সুযোগ কাজে লাগাবে তারাই লাভবান হবে।

বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধা তুলে ধরতে কোরিয়ায় রোড শো কিংবা বিনিয়োগ সম্মেলন আয়োজনের ব্যাপারে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-বিডার সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলে জানান তিনি।

এছাড়াও চলতি বছরে কোরিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (কেবিসিসিআই) ও এফবিসিসিআই’র যৌথ উদ্যোগে একটি বাণিজ্য সংলাপ আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সহ-সভাপতি এমএ মোমেন, আমিন হেলালী, হাবীব উল্লাহ ডন, পরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার, রেজাউল করিম রেজনু, কেবিসিসিসিআই’র সভাপতি ও মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান ও এমডি মোস্তফা কামাল, উপদেষ্টা সাহাব উদ্দীন খান, কোরিয়া ট্রেড-ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশনাল এজেন্সির মহাপরিচালক কিম ডং হিউন, দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি লি জুংইউল প্রমুখ।