০২:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
এনসিপি থেকে বহিষ্কারের পর মাহিনের বিশ্লেষণমূলক মন্তব্য নরওয়ে গবেষণা জাহাজ বঙ্গোপসাগরে মৎস্য ও ইকোসিস্টেম জরিপ শুরু করেছে বয়স হলে ভুল বোঝার ব্যাপারটা বুঝতে পারবে, তখন লজ্জিত হবে নিজেকে নিয়ন্ত্রকদের সম্পদ তদন্ত চাই দুদকের ইইউ ৪ মিলিয়ন ইউরো আর্থিক সহযোগিতা দেবে বাংলাদেশের নির্বাচন উন্নত করতে ইভেন্ট বুকিংয়ে এক বছরের জন্য ৫০% ছাড় দিচ্ছে আইসিসিএল ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার ঝিনাইদহের আওয়ামী লীগ সভাপতি পরীক্ষায় ফেল, টানা ২৬ বছর গৃহবন্দী নারীকে উদ্ধার খাদ্য মন্ত্রনালয়ের রেকর্ড পরিমাণ ধান ও চাল সংগ্রহ গাইবান্ধায় ১৪৯০ মিটার দীর্ঘ ‘মওলানা ভাসানী সেতু’ উদ্বোধন করবেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা

বিদেশি বিনিয়োগ নেতিবাচক ধারায় বছর পার

বিদায়ী ২০২২ সালে পুঁজিবাজার ভালো সময় পার করেনি। বছর জুড়ে উত্থান-পতনের মধ্যে পার হয়েছে দেশের শেয়ারবাজার। বিদেশি বিনিয়োগেও নেতিবাচক ধারা লক্ষ করা গেছে। গেল বছর কেনার চেয়ে প্রায় তিন গুণ শেয়ার বিক্রি করেছেন তারা। বিদেশি বিনিয়োগের সব কটি সূচক নামে নেতিবাচক ধারায়। ২০২২ সালে বিদেশিরা ১ হাজার ১৫৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকার শেয়ার কেনেন। বিপরীতে ৩ হাজার ২৫ কোটি ১৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেন। 

অর্থাৎ, প্রায় তিন গুণ বেশি শেয়ার বিক্রি করেন। গত ৩১ ডিসেম্বর দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসইতে মোট লেনদেনের মাত্র ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ এসেছে বিদেশিদের শেয়ার কেনাবেচা থেকে। এছাড়া পুঁজিবাজার আরও খারাপ হতে পারে এই ভয়ে বিদেশিরা শেয়ার বিক্রি করেই ক্ষান্ত হননি, অন্তত ২৩ হাজার বিও অ্যাকাউন্টধারী (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) পুঁজিবাজার ছেড়েছেন। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভালো কোম্পানির অভাব, শেয়ারের দাম অতিমূল্যায়নের পাশাপাশি বৈশ্বিক অর্থনীতির নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে। মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন এবং পুঁজিবাজারে ঘন ঘন নীতি পরিবর্তনের কারণে বিদেশিরা শেয়ার বিক্রি করে পুঁজিবাজার ছেড়েছেন—এমনটাই ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

শেয়ার সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি অব বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) তথ্য অনুযায়ী, গত ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর সময়ে ১ লাখ ৭৩ হাজার ৯৮টি বিও অ্যাকাউন্ট কমেছে। এর মধ্যে বিদেশিদের ২৩ হাজার ২৪৪টি। ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিও ছিল ৮৬ হাজার ৩৬১টি। সেখান থেকে ২৩ হাজার ২৪৪টি কমে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর দাঁড়ায় ৬৩ হাজার ১১৭টি।

গত দুই বছরে বিদেশিদের বিনিয়োগের খতিয়ান :২০২২ সালে ডিএসইতে দেশি-বিদেশি ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের লেনদেন হয়েছে ২ লাখ ৩৪ হাজার ৩০০ কোটি ২১ লাখ টাকার শেয়ার। সেখানে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা বাবদ লেনদেন হয়েছে মাত্র ৪ হাজার ১৭৯ কোটি ৯২ লাখ টাকার, অর্থাৎ পৌনে ২ শতাংশ। এর মধ্যে ২০২২ সালে ১ হাজার ১৫৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকার শেয়ার কেনার বিপরীতে বিদেশিরা বিক্রি করেছেন ৩ হাজার ২৫ কোটি ১৮ লাখ ১ হাজার ৪৪৩ টাকার শেয়ার। অর্থাৎ, টাকার অঙ্কে গত বছর বিদেশিরা ১ হাজার ৮৭০ কোটি ৪৩ লাখ ৭৫ হাজার ১৯৩ টাকা তুলে নিয়েছেন, অর্থাৎ নিট বিনিয়োগ কমেছে। ২০২১ সালে ডিএসইতে মোট ৩ লাখ ৫৩ হাজার ৯৭৮ কোটি ৬১ লাখ ৯০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। সেখানে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার লেনদেন হয়েছিল ৭ হাজার ৭৬৪ কোটি ২১ লাখ ৭০ হাজার ৭৪৫ টাকার শেয়ার। ঐ বছর ২ হাজার ৫৫৮ কোটি ১ লাখ ১১ হাজার ৮২৩ টাকার শেয়ারের বিপরীতে ৫ হাজার ২০৬ কোটি ২০ লাখ ৫৮ হাজার ৯২১ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছিল। অর্থাৎ, শেয়ার কেনার চেয়ে বিক্রি বেশি করেছিলেন বিদেশিরা।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

আজ উদ্বোধন হচ্ছে মাওলানা ভাসানী সেতু

বিদেশি বিনিয়োগ নেতিবাচক ধারায় বছর পার

প্রকাশিতঃ ১২:৩৫:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৩

বিদায়ী ২০২২ সালে পুঁজিবাজার ভালো সময় পার করেনি। বছর জুড়ে উত্থান-পতনের মধ্যে পার হয়েছে দেশের শেয়ারবাজার। বিদেশি বিনিয়োগেও নেতিবাচক ধারা লক্ষ করা গেছে। গেল বছর কেনার চেয়ে প্রায় তিন গুণ শেয়ার বিক্রি করেছেন তারা। বিদেশি বিনিয়োগের সব কটি সূচক নামে নেতিবাচক ধারায়। ২০২২ সালে বিদেশিরা ১ হাজার ১৫৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকার শেয়ার কেনেন। বিপরীতে ৩ হাজার ২৫ কোটি ১৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেন। 

অর্থাৎ, প্রায় তিন গুণ বেশি শেয়ার বিক্রি করেন। গত ৩১ ডিসেম্বর দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসইতে মোট লেনদেনের মাত্র ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ এসেছে বিদেশিদের শেয়ার কেনাবেচা থেকে। এছাড়া পুঁজিবাজার আরও খারাপ হতে পারে এই ভয়ে বিদেশিরা শেয়ার বিক্রি করেই ক্ষান্ত হননি, অন্তত ২৩ হাজার বিও অ্যাকাউন্টধারী (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) পুঁজিবাজার ছেড়েছেন। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভালো কোম্পানির অভাব, শেয়ারের দাম অতিমূল্যায়নের পাশাপাশি বৈশ্বিক অর্থনীতির নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে। মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন এবং পুঁজিবাজারে ঘন ঘন নীতি পরিবর্তনের কারণে বিদেশিরা শেয়ার বিক্রি করে পুঁজিবাজার ছেড়েছেন—এমনটাই ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

শেয়ার সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি অব বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) তথ্য অনুযায়ী, গত ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর সময়ে ১ লাখ ৭৩ হাজার ৯৮টি বিও অ্যাকাউন্ট কমেছে। এর মধ্যে বিদেশিদের ২৩ হাজার ২৪৪টি। ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিও ছিল ৮৬ হাজার ৩৬১টি। সেখান থেকে ২৩ হাজার ২৪৪টি কমে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর দাঁড়ায় ৬৩ হাজার ১১৭টি।

গত দুই বছরে বিদেশিদের বিনিয়োগের খতিয়ান :২০২২ সালে ডিএসইতে দেশি-বিদেশি ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের লেনদেন হয়েছে ২ লাখ ৩৪ হাজার ৩০০ কোটি ২১ লাখ টাকার শেয়ার। সেখানে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা বাবদ লেনদেন হয়েছে মাত্র ৪ হাজার ১৭৯ কোটি ৯২ লাখ টাকার, অর্থাৎ পৌনে ২ শতাংশ। এর মধ্যে ২০২২ সালে ১ হাজার ১৫৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকার শেয়ার কেনার বিপরীতে বিদেশিরা বিক্রি করেছেন ৩ হাজার ২৫ কোটি ১৮ লাখ ১ হাজার ৪৪৩ টাকার শেয়ার। অর্থাৎ, টাকার অঙ্কে গত বছর বিদেশিরা ১ হাজার ৮৭০ কোটি ৪৩ লাখ ৭৫ হাজার ১৯৩ টাকা তুলে নিয়েছেন, অর্থাৎ নিট বিনিয়োগ কমেছে। ২০২১ সালে ডিএসইতে মোট ৩ লাখ ৫৩ হাজার ৯৭৮ কোটি ৬১ লাখ ৯০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। সেখানে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার লেনদেন হয়েছিল ৭ হাজার ৭৬৪ কোটি ২১ লাখ ৭০ হাজার ৭৪৫ টাকার শেয়ার। ঐ বছর ২ হাজার ৫৫৮ কোটি ১ লাখ ১১ হাজার ৮২৩ টাকার শেয়ারের বিপরীতে ৫ হাজার ২০৬ কোটি ২০ লাখ ৫৮ হাজার ৯২১ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছিল। অর্থাৎ, শেয়ার কেনার চেয়ে বিক্রি বেশি করেছিলেন বিদেশিরা।