০১:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
জাতীয় স্বার্থে বস্তুনিষ্ঠ ও জবাবদিহীমূলক গণমাধ্যম অপরিহার্য: পরিবেশ উপদেষ্টা পল্লী বিদ্যুৎ কর্মীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কাজে ফিরতে নির্দেশ নারী ও শিশুদের জন্য সাইবার স্পেস নিরাপদ করতে উদ্যোগ জরুরি: উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশীদ নির্বাচনের সময় গণমাধ্যমের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ নিশ্চিতের আহ্বান আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস আজ আগামী এক মাসের মধ্যে আলুর দাম কিছুটা বাড়তে পারে: বাণিজ্য উপদেষ্টার আশঙ্কা মৎস্য খাতে বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের অবদান দেশের গর্বের বিষয়: মৎস্য উপদেষ্টা চিকিৎসকদের মানবিকতা 강조 করে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার আহ্বান মহানবী (সা.)-এর জীবনাদর্শ বিশ্বে শান্তি ও কল্যাণের পথ দেখাতে পারে মেধাভিত্তিক নিয়োগ হলে সকলেই দেশের সম্পদ হবেন: আসিফ মাহমুদ

বাংলাদেশ ব্যাংক ডিল করেছে ৪৭.৫০ মিলিয়ন ডলার

বাংলাদেশ ব্যাংক তিনি সম্প্রতি ডলার নিলামে ৪৭.৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার কিনেছে। এই অনন্য মিশনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকটি এখন পর্যন্ত মোট ছয় দফায় ৬৮ কোটি ডলারের বেশি ডলার ক্রয় করেছেন যেটা সাম্প্রতিক সময়ে তার অন্যতম। চলতি অর্থবছরে, অর্থাৎ ২০২৫-২৬ সালের প্রথম ছয় মাসের মধ্যে, বাংলাদেস ব্যাংক বাজারের সঙ্গে তালমিল রেখে ডলার কেনাকাটা চালিয়ে যাচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার, এই ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, বর্তমানে দেশের বাজারে ডলারের চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি। এজন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি না করে বরং বাজার থেকেই ডলার ক্রয় করছে, যা অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়ক। ভবিষ্যতেও এই পদ্ধতিতে ডলার কেনাকাটা অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি। এবার ডলার কেনা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ (এফএক্স) নিলাম কমিটির মাধ্যমে মাল্টিপল প্রাইস অকশন পদ্ধতিতে। এক ডলার বিনিময় হার ছিল ১২১ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ১২১ টাকা ৭৫ পয়সা পর্যন্ত। এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক পাঁচ দফায় ডলার কিনেছে। ১৩ জুলাই ১৮টি ব্যাংক থেকে ১২১ টাকা ৫০ পয়সা দরে ১৭ কোটি ১০ লাখ ডলার কেনা হয়। এরপর ১৫ জুলাই একই দরে ৩১ কোটি ৩০ লাখ ডলার, ২৩ জুলাই ১২১ টাকা ৯৫ পয়সা দরে এক কোটি ডলার, ৭ আগস্ট ১২১ টাকা ৩৫ পয়সা থেকে ১২১ টাকা ৫০ পয়সা দরে ৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার এবং ১০ আগস্ট ১১ ব্যাংকের কাছ থেকে ১২১ টাকা ৪৭ পয়সা থেকে ১২১ টাকা ৫০ পয়সা দরে মোট ৮ কোটি ৩০ লাখ ডলার কেনা হয়। ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, ডলারের দাম হঠাৎ করে বেশি বাড়া বা হঠাৎ কমে যাওয়া দুটোই অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। বর্তমানে দেশে খাদ্যের যথেষ্ট মজুত রয়েছে এবং বিদেশি ঋণও সঠিকভাবে পুনঃপরিশোধ হচ্ছে। ফলে ভবিষ্যতে ডলার চাহিদা বাড়ার সম্ভাবনা কম। তারা আশ্বাস দেন যে, এই ডলার ক্রয় রিজার্ভকে আরও শক্তিশালী করবে। এছাড়া, জাতীয় নির্বাচন পরবর্তী রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসলে বিনিয়োগ বাড়বে ও তার ফলে ডলারের চাহিদাও বৃদ্ধি পাবে।

ট্যাগ :

বাংলাদেশ ব্যাংক ডিল করেছে ৪৭.৫০ মিলিয়ন ডলার

প্রকাশিতঃ ১০:৪৯:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশ ব্যাংক তিনি সম্প্রতি ডলার নিলামে ৪৭.৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার কিনেছে। এই অনন্য মিশনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকটি এখন পর্যন্ত মোট ছয় দফায় ৬৮ কোটি ডলারের বেশি ডলার ক্রয় করেছেন যেটা সাম্প্রতিক সময়ে তার অন্যতম। চলতি অর্থবছরে, অর্থাৎ ২০২৫-২৬ সালের প্রথম ছয় মাসের মধ্যে, বাংলাদেস ব্যাংক বাজারের সঙ্গে তালমিল রেখে ডলার কেনাকাটা চালিয়ে যাচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার, এই ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, বর্তমানে দেশের বাজারে ডলারের চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি। এজন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি না করে বরং বাজার থেকেই ডলার ক্রয় করছে, যা অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়ক। ভবিষ্যতেও এই পদ্ধতিতে ডলার কেনাকাটা অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি। এবার ডলার কেনা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ (এফএক্স) নিলাম কমিটির মাধ্যমে মাল্টিপল প্রাইস অকশন পদ্ধতিতে। এক ডলার বিনিময় হার ছিল ১২১ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ১২১ টাকা ৭৫ পয়সা পর্যন্ত। এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক পাঁচ দফায় ডলার কিনেছে। ১৩ জুলাই ১৮টি ব্যাংক থেকে ১২১ টাকা ৫০ পয়সা দরে ১৭ কোটি ১০ লাখ ডলার কেনা হয়। এরপর ১৫ জুলাই একই দরে ৩১ কোটি ৩০ লাখ ডলার, ২৩ জুলাই ১২১ টাকা ৯৫ পয়সা দরে এক কোটি ডলার, ৭ আগস্ট ১২১ টাকা ৩৫ পয়সা থেকে ১২১ টাকা ৫০ পয়সা দরে ৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার এবং ১০ আগস্ট ১১ ব্যাংকের কাছ থেকে ১২১ টাকা ৪৭ পয়সা থেকে ১২১ টাকা ৫০ পয়সা দরে মোট ৮ কোটি ৩০ লাখ ডলার কেনা হয়। ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, ডলারের দাম হঠাৎ করে বেশি বাড়া বা হঠাৎ কমে যাওয়া দুটোই অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। বর্তমানে দেশে খাদ্যের যথেষ্ট মজুত রয়েছে এবং বিদেশি ঋণও সঠিকভাবে পুনঃপরিশোধ হচ্ছে। ফলে ভবিষ্যতে ডলার চাহিদা বাড়ার সম্ভাবনা কম। তারা আশ্বাস দেন যে, এই ডলার ক্রয় রিজার্ভকে আরও শক্তিশালী করবে। এছাড়া, জাতীয় নির্বাচন পরবর্তী রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসলে বিনিয়োগ বাড়বে ও তার ফলে ডলারের চাহিদাও বৃদ্ধি পাবে।