১০:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
সংবিধান সংশোধনে গণভোটের মাধ্যমে বৈধতা নেওয়ার পরামর্শ তীব্র তাপপ্রবাহে দেশের ৬ কোটির বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীরা ‘রাজাকারের নাতিপুতি’ বলায় অপমানবোধ করেছিলেন দিল্লির বায়ুদূষণ: ঐতিহাসিক লালকেল্লা কালো হয়ে যাচ্ছে ব্যবসার ডিজিটাল রূপান্তরে ‘সার্ভিসিং২৪’ এর এআই ও আইওটি সেবা জিআইসিসি সম্মেলনে সেতু বিভাগের সচিবের অংশগ্রহণ ভুয়া প্রমাণিত হলে জুলাই যোদ্ধা তালিকা থেকে বাদ ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে ইসির দায়িত্ব চান নির্বাচনী কর্মকর্তারা, অবাধ নির্বাচন নিশ্চিতের প্রত্যাশা তীব্র গরমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি ২১ হাজার কোটি টাকা, সুস্থতা বিপন্ন লিবিয়ার উপকূলে নৌকায় আগুন, কমপক্ষে ৫০ সুদানি শরণার্থী মৃত্যু

নির্বাচন করার মাধ্যমে দায়িত্ব থেকে মুক্তি চান প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি

নেপালের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি বলেছেন, তিনি ছয় মাসের মধ্যে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করে দায়িত্ব থেকে মুক্তি চাইছেন। তিনি এই পরিকল্পনার ব্যাপারে বিবিসির সঙ্গে প্রথমবারের মতো সরাসরি আলাপের সময় এই কথা বলেন।

নেতৃত্ব নেওয়ার পর প্রথম সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ছয় মাসের মধ্যে নিবিরভাবে কাজ চালিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, ভোটের আয়োজন সম্পন্ন এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার লক্ষ্য রয়েছে। এর জন্য প্রথমে ভোটার তালিকা প্রস্তুত করতে হবে, যা পুরনো থাকলেও হালনাগাদ করতে হবে। তিনি জানান, যদি তিনি দিনরাত কাজ করতে পারেন, তবে এটি সম্ভব হবে। তিনি বলেন, যতশীঘ্র সম্ভব আমি নির্বাচন সম্পূর্ণ করে ক্ষমতা হস্তান্তর করব এবং সেদিন থেকে আমি দায়িত্ব থেকে মুক্ত।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। সুশীলা কার্কি বলেন, প্রথমে একটি ১০-১১ সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠন করা হবে, যারা নির্দিষ্ট দুর্নীতির ধরণ তদন্তে নিয়োজিত থাকবেন। তিনি যোগ করেন, দুর্নীতির বিষয়গুলো তদন্ত না হলে দেশকে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।

জেন জি-র আন্দোলনের সময় আটক ও প্রাণহানির ঘটনাগুলোও তদন্তের আওতায় আনতে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিশন গঠন করা হবে। তিনি বলেন, কমিশন কাজের জন্য এক মাস বা দেড় মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে, এবং এই কাজে তিনজন বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেওয়া হবে।

অপরদিকে, মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ নিয়ে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পোড়েল থেকে যখন প্রতিটি রাজনৈতিক দলের একজন করে সদস্য নেওয়ার পরামর্শ আসে, তখন তিনি মনে করেন, মন্ত্রিসভা একটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক হওয়া উচিত। তিনি এই সিদ্ধান্তে জানান, বিভিন্ন আদিবাসী, দলিত, নারীদের সদস্য রাখার ব্যাপারে গুরুত্ব দেওয়া হবে।

প্রেসিডেন্টের রাজনৈতিক সদস্য নেওয়ার পরামর্শে তিনি ব্যাখ্যা করেন, নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক প্রভাবের অপব্যবহার এড়ানোর জন্য তিনি অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি বলেন, এমন ব্যক্তিরা নির্বাচনে অংশ নেবেন না, যাতে অপব্যবহার না হয়।

মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের প্রক্রিয়া চলমান থাকলেও, বিবিসি জানতে চাইলে তিনি জানান, তাঁর কিছু পরামর্শের জন্য কিছু বন্ধু সহযোগিতা করছেন এবং মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন। তিনি সবাইকে বলছেন, ভোটের জন্য প্রস্তুত হতে আসুন যেন একটি সুষ্ঠু ও ধীরপ্রগতিশীল সংসদ গঠন সম্ভব হয়।

অবশেষে, নতুন সরকার প্রতিষ্ঠার দাবি নিয়ে ঐ গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে বিরোধিতার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সেই গোষ্ঠীই ছিল সরকারের গঠনে নাম প্রস্তাবকারী। তিনি উল্লেখ করেন, ৮ সেপ্টেম্বর ছাত্রদের হত্যা সহ দেশের দুর্নীতি ও অর্থনৈতিক অনিয়মের বিরুদ্ধে সেই দাবিগুলি তুলে ধরে ব্যর্থতা স্বীকার করেছেন। তিনি ঘোষণা করেন, সব চেষ্টার পরও হয়তো সব দাবির পূরণ সম্ভব নয়, তবে তিনি সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাবেন এবং দায়িত্ব পালন করবেন। পরবর্তীতে বাড়তি দায়িত্বের জন্যও তিনি প্রস্তুত আছেন।

ট্যাগ :

নির্বাচন করার মাধ্যমে দায়িত্ব থেকে মুক্তি চান প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি

নির্বাচন করার মাধ্যমে দায়িত্ব থেকে মুক্তি চান প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি

প্রকাশিতঃ ১০:৫৫:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নেপালের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি বলেছেন, তিনি ছয় মাসের মধ্যে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করে দায়িত্ব থেকে মুক্তি চাইছেন। তিনি এই পরিকল্পনার ব্যাপারে বিবিসির সঙ্গে প্রথমবারের মতো সরাসরি আলাপের সময় এই কথা বলেন।

নেতৃত্ব নেওয়ার পর প্রথম সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ছয় মাসের মধ্যে নিবিরভাবে কাজ চালিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, ভোটের আয়োজন সম্পন্ন এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার লক্ষ্য রয়েছে। এর জন্য প্রথমে ভোটার তালিকা প্রস্তুত করতে হবে, যা পুরনো থাকলেও হালনাগাদ করতে হবে। তিনি জানান, যদি তিনি দিনরাত কাজ করতে পারেন, তবে এটি সম্ভব হবে। তিনি বলেন, যতশীঘ্র সম্ভব আমি নির্বাচন সম্পূর্ণ করে ক্ষমতা হস্তান্তর করব এবং সেদিন থেকে আমি দায়িত্ব থেকে মুক্ত।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। সুশীলা কার্কি বলেন, প্রথমে একটি ১০-১১ সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠন করা হবে, যারা নির্দিষ্ট দুর্নীতির ধরণ তদন্তে নিয়োজিত থাকবেন। তিনি যোগ করেন, দুর্নীতির বিষয়গুলো তদন্ত না হলে দেশকে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।

জেন জি-র আন্দোলনের সময় আটক ও প্রাণহানির ঘটনাগুলোও তদন্তের আওতায় আনতে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিশন গঠন করা হবে। তিনি বলেন, কমিশন কাজের জন্য এক মাস বা দেড় মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে, এবং এই কাজে তিনজন বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেওয়া হবে।

অপরদিকে, মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ নিয়ে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পোড়েল থেকে যখন প্রতিটি রাজনৈতিক দলের একজন করে সদস্য নেওয়ার পরামর্শ আসে, তখন তিনি মনে করেন, মন্ত্রিসভা একটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক হওয়া উচিত। তিনি এই সিদ্ধান্তে জানান, বিভিন্ন আদিবাসী, দলিত, নারীদের সদস্য রাখার ব্যাপারে গুরুত্ব দেওয়া হবে।

প্রেসিডেন্টের রাজনৈতিক সদস্য নেওয়ার পরামর্শে তিনি ব্যাখ্যা করেন, নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক প্রভাবের অপব্যবহার এড়ানোর জন্য তিনি অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি বলেন, এমন ব্যক্তিরা নির্বাচনে অংশ নেবেন না, যাতে অপব্যবহার না হয়।

মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের প্রক্রিয়া চলমান থাকলেও, বিবিসি জানতে চাইলে তিনি জানান, তাঁর কিছু পরামর্শের জন্য কিছু বন্ধু সহযোগিতা করছেন এবং মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন। তিনি সবাইকে বলছেন, ভোটের জন্য প্রস্তুত হতে আসুন যেন একটি সুষ্ঠু ও ধীরপ্রগতিশীল সংসদ গঠন সম্ভব হয়।

অবশেষে, নতুন সরকার প্রতিষ্ঠার দাবি নিয়ে ঐ গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে বিরোধিতার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সেই গোষ্ঠীই ছিল সরকারের গঠনে নাম প্রস্তাবকারী। তিনি উল্লেখ করেন, ৮ সেপ্টেম্বর ছাত্রদের হত্যা সহ দেশের দুর্নীতি ও অর্থনৈতিক অনিয়মের বিরুদ্ধে সেই দাবিগুলি তুলে ধরে ব্যর্থতা স্বীকার করেছেন। তিনি ঘোষণা করেন, সব চেষ্টার পরও হয়তো সব দাবির পূরণ সম্ভব নয়, তবে তিনি সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাবেন এবং দায়িত্ব পালন করবেন। পরবর্তীতে বাড়তি দায়িত্বের জন্যও তিনি প্রস্তুত আছেন।