সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সভায় দেশের চাহিদা পূরণের জন্য প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানির পাশাপাশি একটি মহাসড়ক সম্প্রসারণ প্রকল্পের প্রস্তাব অনুমোদনের সুপারিশ করা হয়। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকটি খুশির খবর নিয়ে আসে কৃষি ও পরিবহন বিভাগের জন্য।
বৈঠকে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) মাধ্যমে ডিএপি ও টিএসপি সার আমদানির পাঁচটি প্রস্তাবের ওপর আলোচনা হয়। এর মাধ্যমে দেশের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটানোর জন্য এই সারগুলো আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে।
বিশেষত, চীনের ব্যানিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডিং লিমিটেড থেকে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার (৩য় লট) আমদানি করা হবে, যার মূল্য ৩৭৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা এবং প্রতিমেট্রিক টনের দাম ধরা হয়েছে ৭৭২.৫০ মার্কিন ডলার।
অন্যদিকে, মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপস থেকে দুই ধাপে মোট ৬০ হাজার মেট্রিক টন টিএসপি সার (প্রতি ধাপ ৩০ হাজার টন), এবং আরও দুই ধাপে ৮০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার (প্রতি ধাপ ৪০ হাজার টন) আমদানি করা হবে। এর মোট মূল্য ৭৩২ কোটি ১ লাখ ১৬ হাজার টাকা। এই সারগুলো কৃষকদের জন্য সরবরাহ নির্বিঘ্ন করতে রাষ্ট্রীয় চুক্তির অংশ হিসেবে আমদানির ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া, মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যাপারে ভাবা হয়। আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে সরাইলের ছরাইল গোলচত্ত্বর পর্যন্ত ১১.৫৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ৪-লেন জাতীয় মহাসড়ক নির্মাণের জন্য ভেরিয়েশন অর্ডার অনুমোদন দেয়া হয়। মূল চুক্তির মূল্য ছিল ৫৫৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা, যেখানে অতিরিক্ত ১৬৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা যোগ হয়। এখন এ প্রকল্পের মোট মূল্য দাঁড়িয়েছে ৭১৭ কোটি ২৭ লাখ টাকা। এতে ভারতের ঢাকা-ভিত্তিক আফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড কাজ সম্পন্ন করবে।
অতিরিক্ত ব্যয় রাজ্যের মান ও স্থায়িত্বের জন্য জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
বৈঠকের শেষ পর্যায়ে, অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা পরিষদ আরও একটি সিদ্ধান্ত নেয়। সেখানে জিটুজি ভিত্তিতে চাল ক্রয়ের জন্য পিপিআর, ২০০৮ এর বিধি অনুসারে প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। এই সিদ্ধান্তগুলো দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও কৃষি ও অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।