০৬:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
তীব্র যানজটে আটকা পড়ে সড়ক উপদেষ্টা মোটরসাইকেলে গন্তব্যে পৌঁছেছেন ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের পাশে আবর্জনার স্তূপ ঢেকে দেওয়া হলো বিশিষ্ট উপদেষ্টার আগমনের জন্য পাঁচ দিন ধরে সাগরে ভাসমান ২৬ জেলেকে উদ্ধার করলো নৌ বাহিনী মেনন-পলক-দস্তগীরসহ চারজনের বিরুদ্ধে নতুন মামলায় গ্রেফতার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ: দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার প্রত্যয় আওয়ামী লীগের বিচারকাজের জন্য আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু জয়পুরহাটের কানাইপুকুর গ্রামে বিরল শামুকখোল পাখির অভয়ারণ্য শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়ার প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন সিইসির মনে অবস্থান: এবারের নির্বাচন জীবনশেষের সুযোগ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিদায় সাক্ষাৎ জাতিসংঘের অভিবাসী সমন্বয়কের

চট্টগ্রাম বন্দরে বর্ধিত ট্যারিফ কার্যকর ১৪ অক্টোবর থেকে

এক মাসের বিরতির পরে অবশেষে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছে যে, আগামী ১৪ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে বিভিন্ন সেবাখাতে বর্ধিত ট্যারিফ (মাশুল) আদায় শুরু হবে। দুই সপ্তাহ আগে, ৩০ সেপ্টেম্বর, বন্দরের অর্থ ও হিসাবরক্ষণ বিভাগের একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। বিষয়টি নিয়ে গত মাসে বেশ আলোচনা ও বিতর্ক হয়েছিল। বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, গত ২০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের এক কর্মশালায় নৌ-পরিবহণ উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ড. এম. সাখাওয়াত হোসেনের উপস্থিতিতে বন্দরের ব্যবহারকারীরা ট্যারিফ বৃদ্ধির বিরুদ্ধে আপত্তি তুলেছিলেন। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে, তিনি ওই সময় বর্ধিত ট্যারিফের কার্যকারিতা এক মাসের জন্য স্থগিত রেখেছিলেন। পরে, ১৫ সেপ্টেম্বর নতুন ট্যারিফের পরিপত্র জারি করা হয়। এখন, ১৪ অক্টোবর রাত ১২টার পর থেকে নতুন নির্ধারিত হারে ট্যারিফ কার্যকর হবে। এর ফলে, এখন থেকে সব জাহাজ, কনটেইনার এবং কার্গো বিল নতুন এই হারে চার্জ করা হবে। এ ছাড়া, সিঅ্যান্ডএফ প্রতিনিধিসহ অন্যান্য বন্দর ব্যবহারকারীরা নতুন ট্যারিফ পরিশোধ করবেন। বন্দরের সব শিপিং এজেন্টদের তফসিলি ব্যাংকে গিয়ে তাদের হিসাব নম্বরে পর্যাপ্ত অর্থ পাঠাতে বলা হয়েছে যেন জাহাজের ছাড়পত্র (এনওসি) সময়মতো পাওয়া যায়। উল্লেখ্য, গত ১৪ সেপ্টেম্বর পৃথক প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বিভিন্ন সেবা খাতে সর্বোচ্চ ৪১ শতাংশ পর্যন্ত মাশুল বৃদ্ধির ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। তবে ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্ট পক্ষের প্রতিক্রিয়ার কারণে সেটি এক মাসের জন্য স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বর্তমানে বন্দরে মোট ৫২টি খাতে মাশুল আদায় হয়। এর মধ্যে ২৩টি খাতে সরাসরি নতুন হারে ট্যারিফ কার্যকর করা হয়েছে। ভাড়া, টোল, ফি ও মাশুল জোড়া হয় ডলার বিনিময় মূল্যের ভিত্তিতে, যেখানে এক ডলারের মান ধরা হয়েছে ১২২ টাকা। মার্কিন dollar-এর মূল্য বাড়লে, মাশুলের পরিমাণও স্বয়ংক্রিয়ভাবে বৃদ্ধি পাবে। সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে কনটেইনার পরিবহন খাত। ২০ ফুটের কনটেইনারের জন্য মাশুল এখন ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ২৪৩ টাকা, যা আগের ১১ হাজার ৮৪৯ টাকার চেয়ে প্রায় ৩৭ শতাংশ বেশি। এছাড়া, আমদানি কনটেইনারের জন্য অতিরিক্ত ৫ হাজার ৭২০ টাকা, রফতানি কনটেইনারের জন্য ৩ হাজার ৪৫২ টাকা দিতে হবে। প্রতি কনটেইনার ওঠানামার ক্ষেত্রেও আরও প্রায় ৩ হাজার টাকা অতিরিক্ত খরচ সূত্র ধরে দিন। এই সব নতুন হার অনুযায়ী, কনটেইনার পরিবহনকে মোটেই ২৫ থেকে ৪১ শতাংশের বেশি মূল্য দিতে হবে।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

দৌলতপুরে মা ইলিশ রক্ষায় অভিযান, অবৈধ জাল জব্দ ও জেলেকে জরিমানা

চট্টগ্রাম বন্দরে বর্ধিত ট্যারিফ কার্যকর ১৪ অক্টোবর থেকে

প্রকাশিতঃ ১০:৪৮:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫

এক মাসের বিরতির পরে অবশেষে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছে যে, আগামী ১৪ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে বিভিন্ন সেবাখাতে বর্ধিত ট্যারিফ (মাশুল) আদায় শুরু হবে। দুই সপ্তাহ আগে, ৩০ সেপ্টেম্বর, বন্দরের অর্থ ও হিসাবরক্ষণ বিভাগের একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। বিষয়টি নিয়ে গত মাসে বেশ আলোচনা ও বিতর্ক হয়েছিল। বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, গত ২০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের এক কর্মশালায় নৌ-পরিবহণ উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ড. এম. সাখাওয়াত হোসেনের উপস্থিতিতে বন্দরের ব্যবহারকারীরা ট্যারিফ বৃদ্ধির বিরুদ্ধে আপত্তি তুলেছিলেন। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে, তিনি ওই সময় বর্ধিত ট্যারিফের কার্যকারিতা এক মাসের জন্য স্থগিত রেখেছিলেন। পরে, ১৫ সেপ্টেম্বর নতুন ট্যারিফের পরিপত্র জারি করা হয়। এখন, ১৪ অক্টোবর রাত ১২টার পর থেকে নতুন নির্ধারিত হারে ট্যারিফ কার্যকর হবে। এর ফলে, এখন থেকে সব জাহাজ, কনটেইনার এবং কার্গো বিল নতুন এই হারে চার্জ করা হবে। এ ছাড়া, সিঅ্যান্ডএফ প্রতিনিধিসহ অন্যান্য বন্দর ব্যবহারকারীরা নতুন ট্যারিফ পরিশোধ করবেন। বন্দরের সব শিপিং এজেন্টদের তফসিলি ব্যাংকে গিয়ে তাদের হিসাব নম্বরে পর্যাপ্ত অর্থ পাঠাতে বলা হয়েছে যেন জাহাজের ছাড়পত্র (এনওসি) সময়মতো পাওয়া যায়। উল্লেখ্য, গত ১৪ সেপ্টেম্বর পৃথক প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বিভিন্ন সেবা খাতে সর্বোচ্চ ৪১ শতাংশ পর্যন্ত মাশুল বৃদ্ধির ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। তবে ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্ট পক্ষের প্রতিক্রিয়ার কারণে সেটি এক মাসের জন্য স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বর্তমানে বন্দরে মোট ৫২টি খাতে মাশুল আদায় হয়। এর মধ্যে ২৩টি খাতে সরাসরি নতুন হারে ট্যারিফ কার্যকর করা হয়েছে। ভাড়া, টোল, ফি ও মাশুল জোড়া হয় ডলার বিনিময় মূল্যের ভিত্তিতে, যেখানে এক ডলারের মান ধরা হয়েছে ১২২ টাকা। মার্কিন dollar-এর মূল্য বাড়লে, মাশুলের পরিমাণও স্বয়ংক্রিয়ভাবে বৃদ্ধি পাবে। সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে কনটেইনার পরিবহন খাত। ২০ ফুটের কনটেইনারের জন্য মাশুল এখন ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ২৪৩ টাকা, যা আগের ১১ হাজার ৮৪৯ টাকার চেয়ে প্রায় ৩৭ শতাংশ বেশি। এছাড়া, আমদানি কনটেইনারের জন্য অতিরিক্ত ৫ হাজার ৭২০ টাকা, রফতানি কনটেইনারের জন্য ৩ হাজার ৪৫২ টাকা দিতে হবে। প্রতি কনটেইনার ওঠানামার ক্ষেত্রেও আরও প্রায় ৩ হাজার টাকা অতিরিক্ত খরচ সূত্র ধরে দিন। এই সব নতুন হার অনুযায়ী, কনটেইনার পরিবহনকে মোটেই ২৫ থেকে ৪১ শতাংশের বেশি মূল্য দিতে হবে।